You are currently viewing হ্যাকিং প্রতিরোধ করার উপায়

হ্যাকিং প্রতিরোধ করার উপায়

অনলাইন দুনিয়ায় হ্যাকিং একটি পরিচিত ঘটনা। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, পাসওয়ার্ড, ডকুমেন্টস ইত্যাদি চুরি করার জন্য ওত পেতে থাকে সাইবার ক্রিমিনালরা। তবে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করেই আপনি হ্যাকিং প্রতিরোধ করতে পারেন। এমন কিছু উপায় হলো

  • সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষ করে ফেসবুক একাউন্ট খোলার সময় আপনার যে মোবাইল নম্বর বা ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করবেন সেগুলো সবসময় চালু রাখুন। কেননা হ্যাকার আপনার একাউন্টের পাসওয়ার্ড বা ইমেইল এড্রেস পরিবর্তন করলে সাথে সাথেই ফেসবুক হতে ইমেইল পাঠিয়ে (একাউন্ট হোল্ডারকে) সতর্ক করে একটি রিকোভারি লিঙ্ক পাঠিয়ে দেয়; তাতে ক্লিক করে সহজেই হওয়া আইডি রিকভার করা সম্ভব।
  • সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (F2A) অপশনটি চালু রাখুন। এজন্য ফেসবুকের সেটিংস অপশনে security and login অপশনে থাকা two factor authentication এ গিয়ে মোবাইল নম্বর কিংবা ইমেইল যুক্ত করুন।
  • সরল/দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। ব্যক্তিগত তথ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট তথ্য (জন্মতারিখ, নিজের নাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ইত্যাদি) পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
  • Capital letter, Small Letter, Number & Symbol মিলিয়ে কমপক্ষে ১২ ক্যারেক্টারের শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
  • ফেসবুকের ক্ষেত্রে Trusted Contact এ ৩ থেকে ৫ জন ঘনিষ্ঠ ফেসবুক বন্ধুকে যুক্ত রাখুন। এর ফলে আইডি হ্যাক হয়ে গেলেও তা উদ্ধার করা সহজ হবে।
  • সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট খোলার সময় জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নাম ও জন্মতারিখ ব্যবহার করুন। এতে আপনার আইডি হ্যাক হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হবে।
  • জন্ম তারিখ, ফোন নাম্বারসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত রাখবেন না। এতে বিভিন্ন রকমের হয়রানি ও প্রতারণা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা সহজ হবে।
  • ফেসবুকের ক্ষেত্রে Privacy Settings অপশনটি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি, পোস্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে প্রোফাইল লক করে রাখুন।

স্ট্যাটাস, ছবি ইত্যাদি সতর্কতার সাথে এবং প্রাইভেসি নিশ্চিত করে শেয়ার করুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের জীবনাচরণকে যতবেশি উন্মুক্ত করবেন আপনি ততবেশি ঝুঁকিতে পরবেন।

ছবিঃ সংগৃহীত

Leave a Reply