লুঙ্গি এনগিডি।
ছবি: টুইটার
কেপ টাউন: কাগিসো রাবাডা (Kagiso Rabada), অনরিখ নর্টজেদের মতো পেস বোলিং সামলানো সহজ হবে না বিরাট কোহলির টিমের। শুধু তাই নয়, পেস ব্যাটারি দিয়েই ঘরের মাঠে সিরিজ জেতার ছক কষছে দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। তবে লুঙ্গি এনগিডির মতো সিনিয়র বোলার এও মেনে নিচ্ছেন, ভারতের বিরুদ্ধে হোম সিরিজ প্রোটিয়া ক্রিকেটকে নতুন দিশা দেখাবে।
প্রোটিয়াদের দেশে এ বার সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন বিরাট-রোহিতরা। যা এর আগে কখনও করে দেখাতে পারেনি ভারতীয় টিম। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে পর পর দুটো সিরিজ জয় বিদেশে মাটিতে সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে ভারতকে। ওই আত্মবিশ্বাসই কাজে লাগাতে চায় বিরাটবাহিনী। সফরে যাওয়ার আগেই বিপক্ষ শিবিরের একটা খবর কিছু হলেও স্বস্তি দিচ্ছে টিম ইন্ডিয়াকে। কুইন্টন ডি’ককের স্ত্রী সাশা সন্তানসম্ভবা। জানুয়ারির শুরুতেই সন্তান জন্ম দিতে পারেন তিনি। ওই সময় পিতৃত্বকালীন ছুটি নিতে পারেন ডি’কক। তা যদি হয়, ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টে খেলতে পারবেন না দক্ষিণ আফ্রিকান উইকেটকিপার।
ডি’ককের না থাকা চাপে ফেলতে পারে হয়তো, কিন্তু প্রোটিয়ারা পেস বোলিংকেই ভারতের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে। দক্ষিণ আফ্রিকার আর এক পেসার লুঙ্গি এনগিডি কিন্তু বলেই দিচ্ছেন, ‘আমাদের মধ্যে দারুণ প্রতিযোগিতা রয়েছে। সে দিকেই ফোকাস রাখছি। এ টুকু বলতে পারি, নিজেদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতাটা প্লেয়ারদের আরও বেশি করে তাতাবে।’ একই সঙ্গে তিনি এও বলছেন, ‘ভারতের মতো টিমের বিরুদ্ধে সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটকে নতুন দিশা দেখাবে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো জায়গায় নিজেদের দেখাটাই আমাদের লক্ষ্য। নতুন করে অনেক কিছুই সাজিয়ে নিতে হবে। তবে যাই হোক না কেন, সেটা ভালোই হবে।’
বায়ো বাবল নিয়ে অবশ্য চাপ থাকছেই। লুঙ্গির কথায়, ‘বায়ো বাবলের জন্য যারা টিম থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছে, তাদের সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান করি। কারণ, তাদের মনে হয়েছে, এই নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ তাদের পক্ষে সামলানো সম্ভব নয়। একটা সময় আমারও এমন মনে হয়েছে। বায়ো বাবল একটা সমস্যা তৈরি করে। চাপ কাটানোর জন্য অন্য রাস্তা খুঁজে নিতে হয়।’
আরও পড়ুন: India Tour Of South Africa: হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট টিমে নেই রোহিত