BWF World Championships: লড়াই করেছি, কিন্তু স্বপ্নপূরণ হল না: শ্রীকান্ত (ছবি-টুইটার)
হুয়েলভা: চার বছর আগে লো কিনের সঙ্গে প্রথম কোন ম্যাচ খেলেছিলেন কিদাম্বি শ্রীকান্ত (Kidambi Srikanth)। তখন মাত্র ২০ বছর বয়স সিঙ্গাপুরের শাটলারের। চার বছর পর ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের (BWF World Championships) ফাইনালে সেই লো কিন যে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন প্লেয়ারকে রীতিমতো চমকে দিয়েছেন, কোনও সন্দেহ নেই। দু গেমের ফাইনালে দু’বার পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত কামব্যাক করেছিলেন কিন। ভারতের শ্রীকান্তকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সিঙ্গাপুরিয়ান।
কিদাম্বি বলছেন, ‘চার বছর আগে ওর সঙ্গে শেষবার খেলেছিলাম। অনেক দিন আগের কথা। ও আগের থেকে অনেক পরিণত হয়েছে। ফাইনাল টা সত্যিই ভালো খেলল।’ প্রথম গেমে ১৫-২১ হেরেছিলেন শ্রীকান্ত। পরের পরের গেমে ২০-২২ হার। শ্রীকান্তের মতো অভিজ্ঞ প্লেয়ারকে সামলাতে শুরু কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল কিনের। ধীরে ধীরে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন ২৪ বছরের ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার।
কিদাম্বি মানছেন, সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘দুটো গেমই জেতার মতো সুযোগ আমার সামনে ছিল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি। প্রথম গেমে আমি চমৎকার লিভ নিয়েছিলাম। দ্বিতীয় গেমেও একই ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুটোকে আমি আমি চিনতে পারিনি। ফাইনাল আমার প্রতিপক্ষ যথেষ্ট ভালো খেলেছে। দীর্ঘদিন ধরে খেলছি, তাই খুব ভাল করে জানি, এই রকম ঘটনা অনেক সময় ঘটে। আমি যে কোনও ভাবে ম্যাচে টিকে থাকার চেষ্টা করেছিলাম। সেই কারণে দ্বিতীয় গেমটা জিততে মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম। শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।’
“I wasn’t sure until (last) Thursday if I could compete…”
Despite the uncertainty, Kidambi Srikanth was ready when the opportunity came knocking. Listen in to what the #BWFWorldChampionships2021 silver medallist had to say. ?#Huelva2021 | @BAI_Media | @srikidambi pic.twitter.com/A48W9mNTLY
— Olympic Khel (@OlympicKhel) December 19, 2021
লো কিন খুব ভালো করে জানতেন, শ্রীকান্তের মতো অ্যাটাকিং শাটলারের মুখে নামার জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা উচিত। তিনি বলেন, ‘শ্রীকান্ত ভয়ঙ্কর আগ্রাসী প্লেয়ার। ওকে থামানোর জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল আমার। কিন্তু ও যে পাল্টা চাপ তৈরি করেছিল, সেটা সামলান সহজ ছিল না। নিজেকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি ধৈর্য ধরার চেষ্টা করেছিলাম। অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন ভিক্টরের সঙ্গে ট্রেনিংটা খুব কাজে দিয়েছে।’
ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের ইতিহাসে এর আগে বিশ্বে কোন ভারতীয় শাটলার কখনও ফাইনালে ওঠেননি। কিদাম্বি ইতিহাস তৈরি করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত রুপোতে থামলেও, ভারতীয় হিসেবে বিশ্ব মিনিটে তাঁর রেকর্ড তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। শ্রীকান্ত অবশ্য মন খারাপে ডুবে রয়েছেন। ২০১৯ সালে পিভি সিন্ধু বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে সোনা নিয়ে ফিরেছিলেন। সিন্ধুর মতো একই কৃতিত্ব একটুর জন্য হাতছাড়া হয়ে গেল শ্রীকান্তের।
আরও পড়ুন: BWF World Championships Final: নিজেরই ভুলে ডুবলেন শ্রীকান্ত