সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বরাবরই ঠোঁটকাটা মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এবারও বিরাট কোহলির টেস্ট নেতৃত্ব ছাড়া প্রসঙ্গে মুখ খুলে যেন নতুন বিতর্কতেই উসকে দিলেন। তিনি সঞ্জয় মঞ্জরেকর। যাঁর দাবি, বিরাট বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁর টেস্ট অধিনায়কত্বও যেতে বলেছে। আর তাই আগেভাগেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন।
টেস্টে ভারতীয় দলকে আর নেতৃত্ব দেবেন না। ১৫ জানুয়ারি কোহলির এমন আকস্মিক ঘোষণায় বহু প্রাক্তন ও বর্তমান তারকার মাথায় যেন বাজ ভেঙে পড়েছিল। জয়ের নিরিখে দেশের সফলতম অধিনায়কের হঠাৎ এহেন সিদ্ধান্ত যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে একেবারে উলটো সুর মঞ্জরেকরের গলায়। প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটার সোজাসাপটা বলে দিচ্ছেন, কার্যত নেতৃত্ব হারানোর ভয়েই নাকি নিজে থেকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেন কোহলি।
একটি ইংরাজি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মঞ্জরেকর বলেন, “আমার মনে হয়, কোহলি চায়নি যে ওকে নেতৃত্ব থেকে বহিষ্কার করা হোক। আর যখন মনে হয়েছিল এমনটা হতে পারে, তখনই ছাড়ার সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলে।” গত বছরই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নেতৃ্ত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। আবার আইপিএলে আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়কের দায়িত্বও ছেড়ে দেন। এরপরই ওয়ানডের দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেওয়া হয় কোহলিকে। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। মঞ্জরেকরের কথায়, “একটার পর একটা ফরম্যাটের ক্যাপ্টেন্সি ছাড়লেন। ব্যাপারটা অপ্রত্যাশিতই ছিল। তবে এত দ্রুত সিদ্ধান্তগুলো নেওয়াটার বিষয়টা বেশ অদ্ভুত।”
কিন্তু কেন এমনটা হল? মঞ্জরেকরের মতে, টিম ম্যানেজমেন্টে সম্প্রতি যে বদল ঘটেছে, সেই প্রভাবও পড়েছে কোহলির সিদ্ধান্তে। রবি শাস্ত্রীর জমানা শেষ হয়ে দ্রাবিড় যুগের শুরুর দিকে ইঙ্গিত করেছেন। বলছেন, অনিল কুম্বলের সময় কোহলির অস্বস্তিতে দেখাত। শাস্ত্রী ও তাঁর সাপোর্ট স্টাফদের সময় অনেক বেশি চনমনে ছিলেন। রাহুল দ্রাবিড়ের সময়ও হয়তো সেই কমফোর্ট জোনটা হারাচ্ছিলেন কোহলি।