India vs South Africa: মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় পার্লে হার ভারতের


India vs South Africa: মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় পার্লে হার ভারতের

দক্ষিণ আফ্রিকা ২৯৬-৪
ভারত ২৬৪-৮

পার্ল: হাফসেঞ্চুরির পর কি খুব তৃপ্ত দেখাল তাঁকে? না। বরং ফোকাসড ছিলেন। মনে হচ্ছিল, তাজ খুলে রেখে এসেছেন, দায়িত্ব থেকে ছুটি নেননি। ৫১ রানের ইনিংস দিয়ে হয়তো বিরাট কোহলিকে মাপা যাবে না। বলা যাবে না, রানে ফিরলেন। ঠিক তেমনই দেখা গেল না তাঁর চেনা আগ্রাসন। পার্ল বরং আপাত শান্ত এক বিদায়ী ক্যাপ্টেনকে দেখল। তাঁর বদলে যে যিনি অন্তর্বর্তীকালীন ক্যাপ্টেন হিসেবে ওয়ান ডে আত্মপ্রকাশ করলেন, সেই লোকেশ রাহুল জেতাতে পারলেন না ভারতকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের শুরুটা হার দিয়েই করল ভারত। প্রোটিয়া সফরে শেষ দুটো টেস্ট ধরলে টানা তিন ম্যাচ হার।

দক্ষিণ আফ্রিকার ২৯৬-৪ এর জবাবে ভারত থামল ২৬৪-৮ রানে। বুমরা-অশ্বিনের ধাক্কায় শুরুতেই যখন চাপে পড়ে গিয়েছিল প্রোটিয়ারা। ৩-৬৮ থেকে টিমকে টেনে তুলল জোড়া সেঞ্চুরি। ক্যাপ্টেন তেম্বা বাভুমা ১১০ রানের ইনিংস খেলে গেলেন। ১২৯ করে নট আউট থেকে যান রসি ভ্যান ডার ডুসেন। এই পার্টনারশিপটাই ম্যাচের ফেরার মতোই ম্যাচে জেতারও টার্নিং পয়েন্ট। ভারতীয় বোলাররা কিন্তু সে ভাবে চাপ ধরে রাখতে পারেননি। তা হলে অন্য রকম হতে পারত ম্যাচের ফলাফল।

১৪৩ বল খেলে ১১০ রানের ইনিংস সাজান বাভুমা। মেরেছেন ৮টা চার। মিডল অর্ডারে যে পরিণতবোধ দেখানো উচিত, তাই তুলে ধরলেন বাভুমা। ডুসেন সঙ্গ দিলেন ক্যাপ্টেনকে। ৯৬ বল খেলে ১২৯ করার পথে অনেক বেশি নির্মম ছিলেন তিনি। ৯টা চারের সঙ্গে ৪টে ছয়ও মেরেছেন।

প্রায় ৩০০-র কাছাকাছি টার্গেট যখন, জিততে হলে অন্তত দু-তিনজনকে বড় রান করতে হয়। একটা-দুটো জুটি দাঁড়িয়ে গেলে পাল্টা চাপে ফেলে দেওয়া যায় প্রতিপক্ষকে। বিরাট কোহলি আর শিখর ধাওয়ান যতক্ষণ খেলছিলেন, মনে হচ্ছিল ম্যাচটা জিততেও পারে ভারত। শুরুতেই অবশ্য ক্যাপ্টেন রাহুল (১২) ফিরে যেতেই যে চাপ তৈরি হয়েছিল, সেটা সামলে দিয়েছিলেন টিমের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার। বিরাট, শিখর আউট হতেই সে স্বপ্ন থমকে গেল। শেষ দিকে শার্দূল ঠাকুর চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর ঝোড়া হাফসেঞ্চুরি কাজে লাগল না।

গত বছর জুন মাসে শেষবার ভারতের হয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিলেন শিখর। প্রায় সাত মাস পর দলে ফিরে বাঁ হাতি ওপেনার বোঝালেন, এখনও তিনি ফুরিয়ে যাননি। ৮৪ বলে ৭৯ রান করে যান। এই ম্যাচে একটা ব্যাটার কম খেলিয়েছে ভারত। শ্রেয়স আইয়ার (১৭), ঋষভ পন্থরা (১৬) ফিরতেই চাপে পড়ে যায় ভারত। অশ্বিন, শার্দূল সহ তৃতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে খেলানো হল ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে। হার্দিক পান্ডিয়ার বিকল্প হিসেবে তৈরি করতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। অথচ তাঁকে এক ওভারও বল করানো হল না। ব্যাট হাতে অবদান মাত্র ২। আগামী বছর ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। সব টিমই ধীরে ধীরে টিম গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। কোচ রাহুল দ্রাবিড় টিম গোছানোর অনেকটা সময় পাবেন ঠিকই, কিন্তু এই ভারতকে নতুন করে সাজাতে হলে একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার তুলে আনতে হবে তাঁকে। শ্রেয়স, সূর্ষ, ভেঙ্কিদের মতো তরুণ প্রজন্মকে সাফল্যও তো পেতে হবে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা ২৯৬-৪ (ডুসেন নট আউট ১২৯, বাভুমা ১১০, বুমরা ২-৪৮, অশ্বিন ১-৫৩)। ভারত (শিখর ৭৯, কোহলি ৫১, শার্দূল নট আউট ৫০, ফেলুকায়ো ২-২৬, সামসি ২-৫২, লুঙ্গি ২-৬৪)।



Leave a Reply