Mohun Bagan: সুভাষ ভৌমিকের নামাঙ্কিত পুরস্কার পাচ্ছেন কিয়ান


সুভাষ ভৌমিক সম্মান পাচ্ছেন কিয়ান নাসিরি।

ছবি: টুইটার

কলকাতা: বড় ম্যাচে হ্যাটট্রিকের পর জীবনটাই পাল্টে গিয়েছে কিয়ান নাসিরির (Kiyaan Nassiri)। জামশিদ পুত্রের ফুটবলজাদুতে মুগ্ধ ভারতীয় ফুটবল। সময়টাও বেশ ভালো যাচ্ছে কিয়ানের। গোয়াতে বসেই পেলেন আরও একটি সুখবর। মোহনবাগান (Mohun Bagan) ক্লাবের তরফ থেকে বিশেষ সম্মান দেওয়া হবে কিয়ানকে। এ বছরের সেরা ফরোয়ার্ড কিয়ান নাসিরি। ২৯ জুলাই মোহনবাগান দিবসে তাঁকে সম্মানিত করা হবে। বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন টেকনিক্যাল কমিটি কিয়ানকে বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে বেছে নিলেন। সেরা ফরোয়ার্ডের পুরস্কার দেওয়া হবে সুভাষ ভৌমিকের (Subhash Bhowmick) নামে। প্রয়াত ফুটবলারকে শ্রদ্ধা জানাতেই এ বার থেকে সুভাষ ভৌমিকের নামে এই পুরস্কার চালু করল মোহনবাগান। একই সঙ্গে ক্লাবের বর্ষসেরা ডিফেন্ডারের পুরস্কার দেওয়া হবে জার্নেল সিংয়ের নামে।

বড় ম্যাচ জিতে কিয়ান বলছেন, ‘ডার্বিতে নেমেই হ্যাটট্রিক করেছি। এটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো। বড় ম্যাচে গোল করার স্বপ্ন সবারই থাকে। আমারও ছিল। স্ট্রাইকার হিসেবে আমার লক্ষ্য গোল করা। ইতিহাস নিয়ে ভাবতে চাই না। আরও বেশি সময় মাঠে থাকাই আমার লক্ষ্য। কোচের কাছে কৃতজ্ঞ, উনি আমার উপর ভরসা রেখেছে। আমাদের দল খুব শক্তিশালী। আমার মতো জুনিয়র ফুটবলারের সুযোগ পাওয়া ভীষণ কঠিন। তাই আরও পরিশ্রম করে দলে জায়গা পেতে চাই। বড় ম্যাচে গোল করেই থেমে থাকতে চাই না।’

তিনটে গোলের মধ্যে দ্বিতীয়টাই সেরা। জানিয়ে দিলেন জামশিদ পুত্র। বড় ম্যাচ জেতার পর আলাদা ভাবে কোনও সেলিব্রেশন হয়নি। বাবার সঙ্গে আলাদা করে কোনও কথা হয়নি। জামশিদ নাসিরিরও ডার্বিতে গোল রয়েছে। বড় ম্যাচে বাপ-ছেলের গোল ভারতীয় ফুটবলে এক বিরল নজির। কিয়ান বলেন, ‘বাবার খেলা দেখিনি। শুনেছি বড় ম্যাচে গোল আছে। বাবার সঙ্গে মাঠে প্র্যাকটিস করেছি। আমার কোনও লক্ষ্যে বাবা বাধা দেয়নি। শুধু বলত, পরিশ্রমের কোনও বিকল্প হয় না। ম্যাচের আগে বা শিবিরে থাকার সময় ফুটবল নিয়ে বাবার সঙ্গে কোনও কথা হয় না।’ কোচ হিসেবে হুয়ান ফেরান্দো, আন্তোনিও হাবাস ও টিয়েন ল-কে কৃতজ্ঞতা জানান বাগানের নয়া সুপারস্টার। গোটা দলকে নিজের হ্যাটট্রিক উত্‍সর্গ করেন ২১ বছরের ফরোয়ার্ড।

এখানেই থেমে থাকতে চান না। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোই লক্ষ্য মেসিভক্তের। দেশের হয়ে খেলে দেশকে গর্বিত করতে চান কিয়ান। বাবা জামশিদ কয়েক যুগ আগে ইরান থেকে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছিলেন। মজিদ, জামশিদ, খাবাজি- ইরানের ৩ ফুটবলারকে সই করিয়ে চমক দেয় ইস্টবেঙ্গল। ময়দানে মজিদ-জামশিদের খেলার স্মৃতি এখনও অমর। ইরানীয় জামশিদ ভালোবেসে ফেলেন এই শহরকে। চিরতরের জন্য থেকে যান কলকাতাতেই। আর সেই জামশিদের ছেলে কিয়ান ইরানীয় হলেও, আপাদমস্তক তিনি একজন ভারতীয়। ভারতের নাগরিকত্ব রয়েছে তাঁর। তাই দেশের জার্সিতে খেলে তেরঙ্গা ওড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন কিয়ান নাসিরি।

আরও পড়ুন: ISL 2021-22: ভারতের হয়ে খেলাই স্বপ্ন কিয়ানের

Leave a Reply