এটিকে মোহনবাগান –১ (ডেভিড উইলিয়ামস)
মুম্বই সিটি এফসি–১ (প্রীতম আত্মঘাতী)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডার্বি জয়ের পরের ম্যাচে ড্র করল এটিকে মোহনবাগান। তাও আবার শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে। যে মুম্বই সিটি এফসি আইএসএলের ইতিহাসে চিরকাল বেগ দিয়ে এসেছে সবুজ-মেরুনকে। আগের সাক্ষাতেই মুম্বইয়ের কাছে পাঁচ গোল হজম করতে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানকে। সেই ম্যাচের পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। আন্তোনিও হাবাসের পরিবর্তে এটিকে মোহনবাগানের রিমোট কন্ট্রোল হাতে নেন জুয়ান ফেরান্দো। বৃহস্পতিবার অবশ্য দু’ দলের খেলা ঢলে পড়ল ড্রয়ের কোলে। এটিকে মোহনবাগান প্রথমে গোল করেও গোল ধরে রাখতে পারল না। গোলের সুযোগও তৈরি করেছিল এটিকে মোহনবাগান। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেনি জুয়ান ফেরান্দোর দল।
খেলার ৯ মিনিটে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। মুম্বই সিটির রক্ষণের ভুলে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। জাহুর পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে উইলিয়ামসকে পাস বাড়ান বুমো। উইলিয়ামসের সামনে তখন মোর্তাদা ফল। মোর্তাদা ফলকে বোকা বানিয়ে মুম্বইয়ের জালে বল জড়ান উইলিয়ামস।
আরও পড়ুন: রনজি খেলে নিজেদের প্রমাণ করো, পূজারা-রাহানেদের বলে দিলেন সৌরভ
কিন্তু ৯ মিনিটে এগিয়ে গেলেও সেই গোল বেশিক্ষণ ধরে রাখা গেল না। এই একটা সমস্যাই এবারের টুর্নামেন্টে ভোগাচ্ছে এটিকে মোহনবাগানকে। গোল পেয়ে যাওয়ার পরে মুম্বইয়ের উপর চাপ বাড়িয়েছিল। কিন্তু সেই চাপ হঠাৎই আলগা হয়ে যায়। সেই সুযোগে বিপিনের সেন্টার প্রীতম কোটালের মাথায় লেগে গোল হয়ে যায়। ম্যাচে ফিরে আসে মুম্বই সিটি। খেলার বয়স তখন ২৪ মিনিট।
সুযোগ যে তৈরি করেনি এটিকে মোহনবাগান, তা নয়। কিন্তু গোলটাই হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে ফেরান্দো তুলে নেন গোলদাতা উইলিয়ামসকে। তাঁর পরিবর্তে মাঠে পাঠান কাউকোকে। ফেরান্দো কেন যে উইলিয়ামসকে তুলে নিলেন, তা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করতে পারেন। উইলিয়ামস থাকলে মানসিক দিক থেকে মুম্বই চাপে থাকতেই পারত। ডার্বিতে খেলেননি রয় কৃষ্ণ। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও তিনি নামেননি। তিনি থাকা এবং না থাকার মধ্যে যে অনেকটাই পার্থক্য তা বোঝা গেল আরও একবার। আগের ম্যাচে এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে কিয়ান নাসিরি পরিবর্ত হিসেবে নামার পরে ম্যাচের গতিপ্রকৃতি বদলে দিয়েছিলেন। এদিনও ৮৩ মিনিটে ফেরান্দো নামান ডার্বির নায়ককে। কিন্তু দিনটা তাঁর ছিল না।
[আরও পড়ুন: লম্বা চুল, হাতে রক্তমাখা অস্ত্র! নতুন অবতারে ধোনিকে দেখে জোর চর্চা নেটপাড়ায়]