সুরজিত্ সেনগুপ্ত।
ছবি: নিজস্ব
কলকাতা: সুরজিত্ সেনগুপ্তর (Surajit Sengupta) শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি। সোমবার সকাল থেকেই প্রাক্তন ফুটবলারের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। যা কিছুটা হলেও উদ্বেগজনক। কখনও ভালো কখনও খারাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার। কোভিড সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সুরজিত্ সেনগুপ্তকে জেনারেল আইসিইউ-তে সরানো হয়। চিকিত্সকদের টিম কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল। ভাবা হয়েছিল, এখান থেকে ফিরে আসবেন লড়াকু ফুটবলার। কিন্তু ফের সংকটজনক অবস্থা তাঁর। এক সপ্তাহের উপর ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। ফলে অন্যান্য সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। তাঁর শরীরে ৯০ শতাংশ অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।
রোজই প্রায় একাধিক পরীক্ষা চলছে সুরজিতের। সেই সঙ্গে বেড়েছে ওষুধের পরিমাণও। সুরজিত্ কখনও সাড়া দিচ্ছেন চিকিত্সায়, কখনও দিচ্ছেন না। এই ওঠা-পড়াই দুশ্চিন্তায় রেখেছে চিকিত্সকদের। ভেন্টিলেশনে থাকলেও ধীরে ধীরে তাঁর অবস্থার অবনতিই হচ্ছে। সুরজিত্ অসুস্থ জানার পর সব মহল থেকেই নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। দুই প্রধানসহ আইএফএ-ও খোঁজ নিচ্ছেন সত্তরোর্ধ্ব ফুটবলারের। সুরজিতের খেলা যাঁদের এখনও মনে রয়েছে, তাঁরা প্রার্থনা করছেন। সাত ও আটের দশকে ময়দানে বল প্লেয়ার হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন চন্দননগরের ফুটবলার। দুই উইং থেকে ফুল ফোটাতে পারতেন। গোল করানোর পাশাপাশি গোল করাতেও ছিলেন একই রকম দক্ষ। ধারাবাহিক ভাবে সাফল্য পেয়েছেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানে। জাতীয় টিমের হয়ে হোক, বাংলার জার্সিতে সুরজিত্ ছিলেন অপ্রতিরোধ্য এবং অপরিহার্য্য। ১৯৮০ সালে সুরজিতের নেতৃত্বেই দুই প্রধান থেকে একঝাঁক ফুটবলার বেরিয়ে এসে যোগ দিয়েছিলেন মহমেডানে। সে বার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তাঁরা। সেই ইতিহাস এখনও ভোলেনি ময়দান। যেমন মনে রেখেছে সুরজিত্ সেনগুপ্তকে।
পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়, ‘চিকিত্সকরাও খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। ভেন্টিলেশনে রেখে দেওয়ায় অন্যান্য সমস্যা মাথাচাড়া দিচ্ছে। চিকিত্সকরা আমাদের আগেই এ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। সেই আশঙ্কাই এখন সত্যি হয়ে দেখা দিচ্ছে। কিন্তু ভেন্টিলেশনে রাখা ছাড়া কোনও উপায়ও নেই। চিকিত্সকরা সাধ্য মতো চেষ্টা চালাচ্ছেন। বুকের এক্স-রে রিপোর্টও ইতিবাচক নয়। ফুসফুসেও সমস্যা রয়েছে।’
গত দু’দিন কার্যত অবচেতনই রয়েছেন সুরজিত্। যা আরও বেশি দুর্ভাবনায় ফেলে দিচ্ছে তাঁর পরিবারকে। ওঁর ছেলে স্নিগ্ধদেব বললেন, ‘শুধু একটাই প্রার্থনা, বাবা যেন ভালো হয়ে ওঠে।’
আরও পড়ুন: AIFF AGM: কুশল কি নেশাগ্রস্থ ছিলেন, প্রশ্নে তোলপাড় ফেডারেশনের সভা