India vs West Indies: শ্রেয়স-কুলদীপের দাপটে উড়ে গেল ক্যারিবিয়ানরা


India vs West Indies: শ্রেয়স-কুলদীপের দাপটে উড়ে গেল ক্যারিবিয়ানরা

সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

ভারত ২৬৫ (৫০ ওভার)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬৯ (৩৭.১ ওভার)

৯৬ রানে জয়ী ভারত

৩-০ সিরিজ জয় ভারতের

কুল-চা জুটির সম্ভাবনা কি উস্কে দিল আমেদাবাদ? যুজবেন্দ্র চাহালকে নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। প্রথম দুটো ওয়ান ডে ম্যাচে যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করেছিলেন। দেখার ছিল, তাঁর জুড়িদার কী করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের (West Indies) বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে চায়নাম্যান বোলার নিরাশ তো করেননি, উল্টে বলা যেতে পারে কুলদীপ যাদবের (Kuldeep Yadav) আন্তর্জাতিক প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা যথেষ্ট। সিরিজের শেষ ম্যাচে ৮ ওভার বল করে ৫১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। নিকোলাস পুরানকে ফেরালেন ৩৪ রানের মাথায়। ফ্যাবিয়ান অ্যালেন এলেন আর ফিরলেন।

যাঁর ঘূর্ণি, যাঁর আগ্রাসী স্পিন, যাঁর উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা একটা সময় ভারতকে ম্যাচের পর ম্যাচ জেতাতো, সেই তিনিই ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছিলেনন ভারতীয় টিম থেকে। আইপিএলে কেকেআরের হয়ে একেবারেই মেলে ধরতে পারছিলেন না কুলদীপ নিজেকে। গত আইপিএলে শুরুর দিকে টিমে জায়গা পাননি। দ্বিতীয়ার্ধে আবার হাঁটুর চোটে ছিটকে গিয়েছিলেন। সেই কুলদীপ যাদব ফিরলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দূর্বলতম টিমকে হোয়াইটওয়াশ করা খুব বেশি গুরুত্ব পাবে না। গুরুত্ব পাবে, এক ঝাঁক তরুণকে দেখে নেওয়ার সুযোগ পাওয়া। সেই সঙ্গে গুরুত্ব পাবে কুলদীপ যাদবের আবার ফিরে আসা।

আমেদাবাদের পিচে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা কঠিন, তার বড় কারণ হল বল থমকে আসা। এইরকম পিচের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সময় দিতে হয়। সেই সময়টুকু নিজেকে একেবারেই দিলেন না বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। প্রথম ম্যাচে ৮, দ্বিতীয় ম্যাচে ১৮ এবং তৃতীয় ম্যাচে খাতা খোলার আগেই ড্রেসিংরুমে ফিরলেন বিরাট। রোহিত শর্মার ক্যাপ্টেন্সিতে তাঁর শুরুটা যে ভালো হল না এটা বোঝার জন্য ক্রিকেটবোদ্ধা হতে হবে না। তবে বিরাটের মতোই রোহিতও রানের মধ্যে নেই। প্রথম ওয়ান ডে ৬০ রান করেলও পরের দুটো ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন রোহিত। যেমন ব্যর্থ ভারতের দ্বিতীয় ওপেনার ঈশান কিষাণ, ঋষভ পন্থ এবং শিখর ধাওয়ান। আগের ম্যাচে ভারতকে লড়াই করার মতো স্কোর এনে দিয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। এই ম্যাচে আবার টিমকে টানলেন শ্রেয়স আইয়ার। এখানে ১১১ বল খেলে তাঁর ৮০ রান সেঞ্চুরির সমতূল্য। নিজের ইনিংস ৯টি চার দিয়ে সাজিয়েছিলেন শ্রেয়স। ৪২-৩ থেকে টিমকে শুধু বিপদ সীমাই পার করে দেওয়াই নয়, লড়াই করার মতো স্কোরও দিয়েছিলেন বোলারদের। শ্রেয়স-সূর্য এরা যে ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, এ নিয়ে এটুকু বলা যেতে পারে, ওয়ান ডে ক্রিকেটে মিডল অর্ডার নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করতে হবে না রাহুল দ্রাবিড়কে। শ্রেয়সের সঙ্গে লড়লেন পন্থও। ৫৬ করলেন।

ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে তুলেছিল ২৬৫ রান। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬৯ রানে থেমে যায়। নিয়মরক্ষার ম্যাচেও ক্যারিবিয়ানরা জেতা হল না। ৩৭.১ ওভারেই শেষ পুরানদের ইনিংস। ক্যারিবিয়ান টিমকে মূলত ভাঙলেন ভারতের বোলাররা। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণ ও মহম্মদ সিরাজ। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন কুলদীপ যাদব ও দীপক চাহার। ২০২৩ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ রয়েছে। তার জন্য এখন থেকেই টিম তৈরি করার চেষ্টা শুরু করেছে সব দেশই। ভারতকে ওপেনিং স্লটটা নিয়ে ভাবতে হবেই। এ ছাড়া যা বোলিং শক্তি রয়েছে ভারতের এবং মিডল অর্ডার যদি এভাবেই পারফর্ম করতে পারে তা হলে মোটামুটি বলা যায় ২০২৩ এর বিশ্বকাপের অনেক আগেই ভারত দল গুছিয়ে নিতে পারবে।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা



Leave a Reply