সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েক মাস ধরে সংবাদমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া সব জায়গায় চর্চা হয়েছে শুধু তাঁকে নিয়েই। কেন রান পাচ্ছেন না বিরাট কোহলি? মানসিকভাবে কি ১০০ শতাংশ দিতে পারছেন না বিরাট? খেলায় আদৌ মন আছে তো তাঁর? এমন হাজারো প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে ক্রিকেট মহলে। শুক্রবারের ইডেনে এমন বহু প্রশ্নেরই জবাব দিয়ে দিলেন কিং কোহলি। ৪১ বলে ৫২ রানের ইনিংসে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, বিরাট কোহলি আছেন, বিরাট কোহলিতেই।
এদিন ইডেনে রোহিত টস হারায় প্রথমে ফিল্ডিং করতে বাধ্য হয় ভারত। শুরুটাও ভাল হয়নি। ১০ রানেই ঈশান আউট হয়ে যান। রোহিতকেও ছন্দে দেখাচ্ছিল না তেমন। অথচ, শিশির ভেজা ইডেনে জিততে প্রয়োজন বড় রান। এই অবস্থায় নেমে একেবারে নিজের স্বাভাবিক ছন্দে ধরা দিলেন কিং কোহলি। ৭টি চার এবং একটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩৯ বলে নিজের টি-২০ কেরিয়ারের ৩০তম হাফ সেঞ্চুরিটি করে ফেললেন তিনি। এদিন ভাগ্যও কিছুটা সঙ্গ দিয়েছে টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়কের। যে বলটিতে ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি অর্ধশতরান করলেন, সেটি অবশ্য ক্যাচও হতে পারত। যাই হোক হাফ সেঞ্চুরির পরই রস্টন চেজের শিকার হন বিরাট।
কোহলি আউট হওয়ার পর ভারত চাপের মুখে পড়ে যায়। কিন্তু তখনই পালটা আক্রমণের পথে হাঁটেন ঋষভ পন্থ এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ক্যারিবিয়ানদের পালটা চাপ দেন তাঁরা। ডেথ অভারে ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকেন দুই বাঁহাতি ব্যাটার। মাত্র ১৮ বলে ৩৩ রান করেন ভেঙ্কটেশ। চারটি চার এবং একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। পন্থ অনবদ্য অর্ধশতরান করেন। ২৮ বলে ৫২ রান করেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের ১৮৬ রান তলে ভারত।
বড় ইনিংস গড়লেও ইডেনে দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে হলে ভাল বল করতে হবে ভারতকে। কারণ, শিশির ভেজা ইডেনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করাটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনাররাও বল করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন।