Dhyan Chand: ধ্যানচাঁদের ৫৯ বছর আগের সাক্ষাৎকার কি এখনও প্রাসঙ্গিক হকি দুনিয়ায়?


ভারত ও বিশ্ব হকির প্রথম মহাতারকা মেজর ধ্যানচাঁদ। Pics Courtesy: Twitter

নয়া দিল্লি: অলিম্পিক (Olympic) হকির রেকর্ড বুক খুললে ভারতীয়রা সত্যিই গর্বিত হতে পারেন। কারণ মেডেল তালিকার শীর্ষে তেরঙ্গার উজ্জ্বল উপস্থিতি। আটটি সোনা জেতা ভারতীয় হকির (Hockey India) বর্তমান অবস্থা এতটা খারাপ কেন? এই নিয়ে বিস্তর গবেষণার মধ্যে গত বছর হওয়ার টোকিও অলিম্পিকে নিজেদের গৌরব কিছুটা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে মনপ্রীত সিংয়ের ভারত। কিন্তু সম্পুর্ণ অতীত ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। ঘাসের মাঠ থেকে হকি অস্ট্রো টার্ফে যেতেই কার্যত হারিয়ে যেতে শুরু করে ভারত। হকির জাদুকর ধ্যান চাঁদের (Dhyan Chand) দেশ আবার ফিরে আসার চেষ্টা করছে। আর এমন সময়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় জায়গা করে নিয়েছে হকির প্রথম সুপারস্টারের একটা ইন্টারভিউ। সালটা ১৯৬৩। তার অনেক আগেই খেলা ছেড়েছিলেন ধ্যানচাঁদ। নিজের সময়ের স্মতি চারণায় এমন কিছু কথা বলেছিলেন হকির যাদুকর যা বর্তমান সময়ের ভাষায় ভাইলার।

ইন্টারভিউয়ে ইউরোপের হকির উন্নতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল হকির যাদুকরকে। প্রসারভারতীকে দেওয়া সেই ইন্টারভিউয়ে তিনি শুনিয়েছিলেন জার্মানি (Germany) ও হল্যান্ডের (Netherlands) অভিজ্ঞতার কথা। ধ্যানচাঁদ বলেছিলেন, “ইউরোপিয়রা ড্রবল করতে শিখেছে ভারতীয় হকি খেলোয়াড়দের থেকে। আমার বার্লিনের কথা মনে পরছে, আমরা যখন মাঠে অনুশীলন করতে যেতাম, তখন জার্মানি ও হল্যান্ডের ফোটোগ্রাফাররা ভীড় জামাতেন। ওরা স্লো-মোশনে ছবি তুলত। তারপর সেই ছবি ও ভিডিও দেখানো হত তাদের দলকে। ভারতীয় খেলোয়াড়দের থেকেই ইউরোপের হকি শিখেছে, ড্রিবল করার কৌশল ঠিক কেমন। কোন সময় পা কোথায় রাখতে হবে, মাথার অবস্থান কোথায় থাকা উচিত।”

যে নেদারল্যান্ডস বা জার্মানির কথা ধ্যানচাঁদ বলেছিলেন তাদের হারিয়ে ১৯২৮ সালে ও ১৯৩২ সালে অলিম্পিকে সোনা জিতেছিল ভারত। বর্তমান সময়ে মাঠের পরিবর্তন, ফিটনেস, সিস্টেমে ভর করে ভারতকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও অস্ট্রেলিয়ার হকি। কিন্তু ভারতীয় হকির সমৃদ্ধ ইতিহাস এখনও আমাদের সঙ্গী। সেই সমৃদ্ধ ইতিহাসকে সঙ্গে নিয়ে আবার এগিয়ে যাওয়ার একটা চেষ্টা চলছে। সেই চেষ্টা সফল হওয়ার আশায় ধ্যানচাঁদের দেশের মানুষ।

আরও পড়ুন: UEFA Champions League: যুদ্ধের আবহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল সরছে রাশিয়া থেকে?



Leave a Reply