Russia-Ukraine Conflict: রাশিয়ার আগ্রাসনের ফল, পদত্যাগ চেলসি মালিকের


আপাতত চেলসির মালিক পদে আর নেই রোমান। Pics Courtesy: Twitter

লন্ডন: ২০০৩ সালে চেলসির (Chelsea) মালিকানা কেনেন রাশিয়ার ব্যবসায়ী রোমান আব্রামোভিচ (Roman Abramovich)। তারপর থেকে ২০ বছর সাফল্যের সঙ্গেই ক্লাব সামলেছেন তিনি। রোমানের সময়কালে পাঁচটি প্রিমিয়ার লিগে ও দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (UEFA Champions League) খেতাব জিতেছে ইংল্যান্ডের ব্লুজরা। সব ঠিক চলছিল, কিন্তু ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা সব ছবি বদলে দিল। ইংল্যান্ডের সাধারণ মানুষ থেকে গোটা বিশ্বের ক্রীড়া মহল, রাশিয়ার আগ্রাসন মেনে নিতে পারছেন না কেউ। চাপের কাছে অবশেষে মাথা নোয়াতে হল চেলসির মালিক রোমান আব্রামোভিচকে। শনিবার ক্লাবের মালিক পদ থেকে সড়ে দাঁড়ানোর কথা জানালেন রোমান। ক্লাবের দায়িত্ব তুল দেওয়া হল চেলসি চ্যারিটিবল ট্রাস্টের ওপর। নিজের বিবৃতিতে চেলসির মালিক জানিয়েছেন, “আমি সব সময় ক্লাবের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত এসেছে হৃদয় থেকে। সেই কথা মনে রেখেই আমি ক্লাবের ভার ছেড়ে দিচ্ছে চেলসি চ্যারিটিবল ফাউন্ডেশনের হাতে। আমার মতে বর্তমান সময়ে, ক্লাব, ফুটবলার, কোচিং টিম, সমর্থকদের জন্য ফাউন্ডেশনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।”

ফুটবল মহলের মতে এই অবস্থায় ক্লাবের পদ থেকে সড়ে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না রোমানের সামনে। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আগ্রাসনের ব্যপক প্রভাব পরেছে ফুটবল মহলে। উয়েফা সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে সরিয়ে নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। রাশিয়াতে গিয়ে বিশ্বকাপের যোগ্যত আর্জন পর্বে ম্যাচ খেলবে না বলে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে পোল্যান্ড। যুদ্ধ থামানোর বার্তা উঠে এসেছে ক্রীড়া মহল থেকে। বাতিল হয়ে গেছে রাশিয়ান গ্র্যাঁপি। ইউক্রেনের একাধিক খেলোয়াড় দেশের পাশে দাঁড়াতে মাঠ ছেড়ে সেনাতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) সরিয়ে দিয়েছে সংস্থার সাম্মানিক সভাপতি পদ থেকে।

খেলার মাঠে তুমুল চাপের মুখে পরেছে রাশিয়া (Russia)। এই অবস্থায় চেলসির পদ না ছাড়লে বড় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হত চেলসির মালিক রোমান আব্রামোভিচকে। তবে খেলার মাঠে দেশের ওপর তৈরি হওয়া চাপ নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। উল্টে হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি, “ইউক্রেনে রাশিয়ার পদক্ষেপ নিয়ে যদিও তৃতীয় কোনও দেশ নাক গলানোর চেষ্টা করে তাহলে, এমন ফলাফল ভোগ করতে হবে যা তারা কখনও ভাবেনি।” তাই খেলার দুনিয়া শান্তির বার্তা দিলেও শান্তি যে খুব সহজে আসছে না, মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। যুদ্ধের প্রভাব পরবে খেলার মাঠেও। একাধিক প্রতিযোগিতা নিয়ে যেন সমস্যা তৈরি হবে।

আরও পড়ুন : Russia-Ukrain Conflict: বক্সিং গ্লাভস ছেড়ে বন্দুক হাতে ২ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন



Leave a Reply