লক্ষ্য সেন (ছবি-সাই মিডিয়া টুইটার)
মিউনিখ: যেন চমক দেখানোর জন্যই কোর্টে নামছেন ম্যাচের পর ম্যাচ। ব়্যাঙ্কিংয়ে প্রথম দশে থাকা ভারতের এইচএস প্রণয়কে হারিয়ে চমকে দিয়েছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। এ বার সেই লক্ষ্য সেনের (Lakshya Sen) শিকার অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন ভিক্টর অ্যাক্সেলসেন (Viktor Axelsen)। বিশ্বের এক নম্বর ও শীর্ষবাছাই শাটলারের বিরুদ্ধে জার্মান ওপেনের (German Open) সেমিফাইনালে অবিশ্বাস্য জয় পেলেন প্রবাসী বাঙালি ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার। ২১-১৩, ১২-২১, ২২-২০ জিতে ফাইনালে উঠে পড়লেন লক্ষ্য। গত মরসুম থেকেই দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, নিজেকে যেন প্রতি টুর্নামেন্টেই পরিণত করে তুলছেন। তারই ঝলক দেখা গিয়েছিল বিশ্ব মিটে। সেমিফাইনালে কিদাম্বি শ্রীকান্তের কাছে হেরে ব্রোঞ্জে থেমেছিলেন। তারপর আবার কেরিয়ারের প্রথম খেতাব হিসেবে ইন্ডিয়ান ওপেনে জিতে চমকে দিয়েছিলেন। জার্মান ওপেনেও সেই ছন্দেই তুলে ধরেছেন লক্ষ্য। ফাইনালে তাইল্যান্ডের কুনলাভাত ভিতিদস্রানের বিরুদ্ধে নামবেন তিনি।
?????? ?♂️?
??@lakshya_sen drops another master class performance as he bt World no 1️⃣ & Tokyo Olympics ? medalist ??’s @ViktorAxelsen in a 3 game thriller to enter the FINAL at #GermanOpen2022 . 21-13,12-21,22-20.
Keep rocking, lad! ??#IndiaontheRise #Badminton pic.twitter.com/LixguQIV9v
— BAI Media (@BAI_Media) March 12, 2022
বিশ্বের ১২ নম্বর শাটলার লক্ষ্যর কাছে সেমিফাইনাল ম্যাচটা যে বেশ কঠিন ছিল, তা নিয়ে কারওরই কোনও সন্দেহ ছিল না। ভাবা হয়েছিল, এক তরফাই জিতে যাবেন ভিক্টর। শ্রীকান্তকে হারিয়ে শেষ চারে পা দিয়েছিলেন ভিক্টর। সেই তাঁকেই প্রথম গেমে কার্যত নড়তেই দেননি। ২১-১৩ জেতার পর মনোবল বেড়ে গিয়েছিল লক্ষ্যর। তবে ভিক্টর ম্যাচে ফেরার কোনও ত্রুটি রাখেননি। প্রবল ভাবে ফিরেও এসেছিলেন। ২১-১২ জিতে ১-১ করেও ফেলেছিলেন। দ্বিতীয় গেমে বেশ কিছু ভুল করেছিলেন লক্ষ্য। তৃতীয় গেমে সে সব মুছে আগ্রাসী স্ট্র্যাটেজিই আঁকড়ে ধরেছিলেন। তুমুল উত্তেজনার গেমে শেষ পর্যন্ত ২২-২০ জিতে যান। এর আগে ভিক্টরের বিরুদ্ধে বরাবরই হেরেছেন লক্ষ্য। এ বার আর তাঁকে রুখতে পারেননি অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন শাটলার।
জার্মান ওপেন ব্যাডমিন্টনের দুনিয়ায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট বলে ধরা হয়। বিশ্বের সেরা তারকারা এতে অংশ নেন। পিভি সিন্ধু, কিদাম্বি শ্রীকান্তদের মতো ভারতের সেরা শাটলাররা যখন ব্যর্থ, তখন লক্ষ্যকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে স্বপ্ন। যদি চ্যাম্পিয়ন হতে পারেন, বিদেশের মাটিতে জেতা কেরিয়ারের প্রথম খেতাব হবে তাঁর।