চ্যাম্পিয়নের চোখে জল। Pics Courtesy: Twitter
মাত্র কয়েকদিন আগেই নারী দিবস পালন করেছে গোটা বিশ্ব। মেয়েদের সমান অধিকার থেকে সম্মানের দাবিতে সরব হয়েচে খেলার মাঠও। কিন্তু বাস্তব ছবিটা কি বলছে? বাস্তব বলছে কিছু মানুষের মানসিতকা এখনও বদল হল না। নারী কি শুধুই বিনোদনের উপাদান? মঞ্চটা ইন্ডিয়ান ওয়েলস (Indian Wells) টেনিস (Tennis) টুর্নামেন্ট। মেয়েদের সিঙ্গেলস ম্যাচে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ খেলছিলেন ওসাকা। হঠাত্ করেই খেলা থামিয়ে এগিয়ে যান চেয়ার আম্পায়ারের দিকে। বলেন, চেয়ার অম্পায়েরার মাইকটা কি তিনি কিছুক্ষণের জন্য পেতে পারেন? কারণ? কোর্টে যখন নাওমি (Naomi Osaka) প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যস্ত তখন বারবার দর্শক গ্যালারি থেকে উড়ে আসতে থাকে আশালীন মন্তব্য। টানা অপমান সহ্য করার একটা ক্ষমতা থাকে। সেই ক্ষমতার বাঁধ ভাঙলে মানসিক বিপর্যয়। সেই ছবিটাই দেখা গেল টেনিস কোর্টে। খেলার মাঝে কোনও খেলোয়াড় বক্তব্য রাখতে চান এমন ঘটনা দেখা যায় না। আম্পায়ার অনুমতি দেননি। অনেক কষ্টে চোখের জল আটকান ওকাসা। আবার নেমে পরেন কোর্টে। তবে ওসাকার অভিব্যক্তি বলে দিচ্ছিল তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।
Naomi Osaka asking chair umpire if she can borrow umpires mic to talk to the woman in the crowd. And her convo with supervisor. Naomi was crying #IndianWells pic.twitter.com/lehS7qi8EZ
— NoFirstName claycourtdal (@SMSTNS) March 13, 2022
ম্যাচট জিততে পারেনি। খেলা শেষে মাইক হাতে কিছু কথা বলে কোর্ট ছাড়েন ওয়াসা। জানান ঠিক কি হয়েছিল। গ্যালারী থেকে এমন কিছু কটুক্তি তাঁকে করা হচ্ছিল যা একজন মহিলার পক্ষে অসম্মান জনক। চোখের জল আটকে, ওসাকা বলেন, “এর আগেও অনেক কটুক্তি শুনেত হয়েছে। আমার কাছে এখন এই বিষয় গুলো গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখানেও আমার সঙ্গে এমনটা হবে সেটা ভাবতে পারিনি। এর আগে এখানে ভেনাস (Venus Williams) ও সেরেনাকে (Serena Williams) যে কটুক্তি করা হয়েছিল সেই ভিডিও টা আমি দেখেছি। আপনাদেরও এই ভিডিওটা দেখা উচিত। ধন্যবাদ এবং আপনাদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।”
Naomi Osaka asked for the microphone after her loss against Veronika Kudermetova. Here’s what she said. pic.twitter.com/0Pj9WnNe4t
— The Tennis Letter (@TheTennisLetter) March 13, 2022
খেলার মাঠ দিন দিন কেমন যে বিষাক্ত হয়ে উঠছে। কোথাও বর্ণ বৈষম্য, কোথাও আবার মহিলা খেলোয়াড়দের কটুক্তি। যে খেলার মাঠ মিলনের গল্প শোনায় তার এই হাল কেন হচ্ছে? মানসিক ও সামাজিক বিকৃতি থেকে কবে মুক্ত হবে খেলার মাঠ? প্রশ্ন উঠছে। যদিও উত্তর অজানা।
আরও পড়ুন : Cristiano Ronaldo: হ্যাটট্রিক দিয়ে ক্লাব ফুটবলে অনন্য বিশ্বরেকর্ড সিআর সেভেনের