দুলাল দে, মারগাঁও: দীর্ঘদিন বন্দিদশায় থাকার পর মুক্তি পেলে যেরকমটা হয়, এদিন হায়দরাবাদ এফসি (Hydrabad FC) আর কেরালা ব্লাস্টার্সের কোচ ফুটবলারদের দেখে সেরকমটাই মনে হচ্ছিল। মানোলো মার্কুইজ আর ইভান ভুকোমানোভিচ আলাদা আলাদা সময়ে একই ভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে গেলন, “উফ, দুটো বছর যেভাবে গ্যালারিশূন্য অবস্থায় খেলতে হল, রবিরার নিজেদের ফ্যানদের সামনে খেলতে নামার আগে ফুটবলারদের আর আলাদা করে উদ্বুদ্ধ করতে হবে না।” গোয়ার ফাতোরদা স্টেডিয়ামে রবিবার ম্যাচ শুরুর আগে এটাই দুই শিবিরের না বলে ভারতীয় ফুটবলের মোদ্দা কথা।
Football, banter and a lot of mutual respect!
Here’s how the conversation between @HydFCOfficial‘s @2014_manel and @KeralaBlasters‘ @ivanvuko19 panned out before the #HeroISLFinal! #HFCKBFC #HeroISL #LetsFootball #FinalForTheFans https://t.co/jw34s1REUH
— Indian Super League (@IndSuperLeague) March 20, 2022
গ্যালারি ভরতি দর্শক রেখেই ফাইনাল হচ্ছে। আর এই জায়গাতেই মূল সমস্যাটা। তাহলে কি জনপ্রিয়তার নিরিখে ভারতীয় ফুটবলের (Indian Football) ফ্যানদের চরিত্রও বদলে যাচ্ছে? ফাইনালে গোয়ার কোনও দল নেই। তবুও টিকিটের হাহাকার। একটা টিকিটও আর পড়ে নেই। টিকিটের চাহিদা কতটা, একটা উদহারণ দিলেই বোঝা যাবে। কেরালা ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) বিশেষ অতিথি হয়ে মাঠে থাকবেন আইএম বিজয়ন। এদিন হঠাৎ করেই জানালেন, তাঁর অতিরিক্ত দুটো টিকিট লাগবে। কিন্তু দেবেটা কে? কোথাও কোনও টিকিট নেই। কেরালা দিতে পারছে না। অবশেষে ডেরেক পেরেরাকে ধরে ম্যানেজ করেছেন। কিন্তু এম সুরেশ শেষ পর্যন্ত সেটাও পারেননি। কেরালা ব্লাস্টার্স দিতে পারেনি। আইএসএল কর্তৃপক্ষ দিতে পারছে না। শেষ মুহূর্তে তার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন আলভিটো ডি’কুনহা। বিক্রিত টিকিটের বাইরে সংগঠকদের হাতে যে টিকিটগুলি ছিল তা বেশিটাই দিয়ে দিতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। পর পর দু’বছর গোয়া সরকার যেভাবে আইএসএল চালাতে সাহায্য করেছে, তাতে রাজ্য সরকারকে টিকিট না দিয়ে উপায়ও ছিল না এফএসডিএলের। ফলে অনেকদিন পর ভরা দর্শকদের সামনে হতে চলেছে আইএসএল ফাইনাল।
[আরও পড়ুন: কেমন হতে পারে হার্দিকের গুজরাটের প্রথম একাদশ, দলের শক্তি-দুর্বলতা কী? একনজরে টিম প্রোফাইল]
এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসে দু’দলই কথা বলল। কথা বলতে গিয়ে হায়দরাবাদ কোচ মানোলো মার্কুইজ হঠাৎই বলে ফেললেন, “যেটা বাস্তব, সেটা স্বীকার করতেই হবে। এবারের আইএসএলের সেরা দল ছিল এটিকে মোহনবাগান। তাদের হারিয়ে যখন ফাইনালে উঠতে পেরেছি, তখন ভেবে নিন, এই চ্যাম্পিয়নশিপটা জেতার জন্য কতটা মুখিয়ে আছি।” হায়দরাবাদ কোচ ভাববেন নাই কেন? দলে রয়েছেন, ১৯ ম্যাচে ১৮ গোল করা ওগবেচে। যাঁর পিএসজির (PSG) হয়ে গোলের রেকর্ড রয়েছে। রোনাল্ডিনহোর একদা সতীর্থ সম্পর্কে কেরালার কোচ ইভান ভুকোমানোভিচ বললেন, “ওগেবেচের হয়তো বয়স হয়েছে। কিন্তু যে পর্যায়ে ও খেলে এসেছে, তাতে ফিটনেস থাকলে কতটা ভয়ংকর হতে পারে, এবারের আইএসএলে ওগবেচে দেখাচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: শুরু হচ্ছে রিজার্ভ দলের চ্যাম্পিয়নশিপ, চুক্তি নবীকরণ নিয়ে ফেডারেশনের সঙ্গে কথা FSDL-এর]
একদিকে, ওগেবেচেকে কেন্দ্র করে আইএসএলের ইতিহাসে চার বছর বয়সী হায়দরাবাদ এফসি চ্যাম্পিয়নের স্বপ্ন দেখছে। অপরদিকে, ফাইনাল খেললেও কোনওদিন আইএসএল (ISL) ট্রফি ছুঁতে না পারা কেরালার চোখেও চ্যাম্পিয়নের স্বপ্ন। ট্রফি যেদিকেই যাক, রবিবার রাতে ফাতোরদা স্টেডিয়ামে আইএসএল পেতে চলছে নতুন এক চ্যাম্পিয়নকে।
আজ আইএসএল ফাইনালে
হায়দরাবাদ বনাম কেরালা ব্লাস্টার্স
গোয়া, সন্ধে ৭.৩০
স্টার স্পোর্টস