IPL 2022: জানেন আরসিবিতে কাটানো কোন যুগ রয়েছে কোহলির মনের মনিকোঠায়?


IPL 2022: জানেন আরসিবিতে কাটানো কোন যুগ রয়েছে কোহলির মনের মনিকোঠায়?

বেঙ্গালুরু: ক্রিকেট পাগল দর্শকদের কানে আইপিএলের বিউগলটা এখন থেকেই বাজতে শুরু করে দিয়েছে। আগামী শনিবার (২৬ মার্চ) আইপিএলের (IPL 2022) ঢাকে কাঠি পড়বে। ১০টি দল পুরোদমে তাদের অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে। আসন্ন আইপিএলে চাপমুক্ত বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) আবার দেখা যাবে ২২ গজে ব্যাট হাতে আগুন ঝরাতে। আরসিবির (RCB) ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। কিন্তু এই দলের হয়েই আইপিএল কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ভিকে। আর এখনও ব্যাঙ্গালোরের হয়েই খেলে চলেছেন। ২০০৮ সাল থেকে আরসিবির জার্সিতে একাধিক মুহূর্ত তৈরি করেছেন। সাক্ষী থেকেছেন বহু ক্রিকেটারের উত্থানের। শুধু তাই নেই, এই দলের হয়েই একাধিক কিংবদন্তিদের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতাও হয়েছে কোহলির। আরসিবির পডকাস্টে সেই সকল অভিজ্ঞতার কথাই তুলে ধরেছেন ব্যাঙ্গালোরের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি।

কোন যুগকে সব থেকে বেশি নম্বর দিতে চান ভিকে

আমার কাছে ২০০৯-১০ মরসুমটা বেশ ভালো কেটেছে। ওই সময় আমরা রানার্স আপ হয়েছি, সেমিফাইনালেও খেলেছি। পাশাপাশি ২০১০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও খেলেছিলাম। তাই ওই সময়টা আমার কাছে সেরা, যখন অনিল কুম্বলে, রাহুল দ্রাবিড়ের মতো ব্যাঙ্গালোরের কিংবদন্তিরা আরসিবির হয়ে খেলত। ওই সময় দলে থাকাটা আমার কাছে সেরা ছিল। কিন্তু আমার বিশেষ মনে আছে, যখন ২০১১ সালে এবি দলে এসেছিল। ক্রিস ২০১১-র মাঝ মরসুমে দলে যোগ দিয়েছিল। তখন আমার মনে হয়েছিল, আমরা সেরা কিছু করে দেখাতে পারি। আমরা টুর্নামেন্টের রানার্স হয়েছিলাম। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও খেলেছিলাম। আমরা তিনজন যেভাবে খেলতাম, সেটা সত্যিই বোলারদের কাছেও চাপের ছিল। তাঁরাও জানত এই তিন প্লেয়ারদের মধ্যে দু’জন টিকে গেলে তাঁদের চাপ বাড়বে। এর পর লোকেশ রাহুলের দলে যোগ দেওয়ার সময়টাও বিশেষ বলতে হবে। কেএল আরসিবিতে যোগ দেওয়ার পর ধীরে ধীরে ওর যে পরিবর্তনটা হয়েছিল, তা সত্যিই নজরকাড়া। ও একটা আলাদা প্লেয়ারের পরিণত হয়েছিল। আমার মনে হয়, কেএলও এটা স্বীকার করবে। ও এখানে ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পায়। আমরা চারজনই টি-২০ ক্রিকেটে বেশ ভালো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলাম।

কোন প্লেয়ারের পরিবর্তন নজর কেড়েছে কোহলির

কেএল রাহুল ও যুজি চাহালের কথা এখানে বলতেই হয়। কেএল যখন আরসিবিতে যখন যোগ দিয়েছিল, তখন ও টি-২০ স্পেশালিস্ট হিসেবে খেলত না। ২০১৩ সালে কেএল আরসিবিতে এসেছিল। ২০১৫ সালে ও হায়দরাবাদে গিয়েছিল। ও আরসিবি থেকে যাওয়ার পর আমি ওর ব্যাপারে শুনেছিলাম, ও প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ভালো খেলছে, কিন্তু আমি ওকে দেশের হয়ে খেলতেও দেখিনি। ওই সময় আমরা খুব খোলামেলা ভাবে মিশিনি। আরসিবিতে যোগ দেওয়ার সময় যথেষ্ট তরুণ ছিল। দলের তরুণ প্লেয়াররা আলাদা করে কথাবার্তা বলত, আমাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে একটু ইতস্তত করত। আর আমি আরসিবির হয়ে নিয়মিত খেলতাম। আমি ২০১৪ সালে ওর টেস্ট অভিষেকের সময় ওকে খেলতে দেখেছিলাম। ওর শরীরি ভাষা দেখে আমি ভীষণ প্রভাবিত হয়েছিলাম। বুঝতে পেরেছিলাম ও বেশ ভালো কাজ করেছে। নিজের কাজে অনেকটা উন্নতি করেছে। এরপর ও হায়দরাবাদে যখন খেলত, তখন খুব বেশি সুযোগ পায়নি। আর যতটুকু সুযোগ পেত তাতে ওকে দেখে মনে হত চাপ নিয়ে খেলছে। ওকে দেখে মনে হত ও নিজেকে আইপিএলে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। ফলে আরসিবিতে কেএল সুযোগ পেয়ে যেভাবে নজর কেড়েছিল সেটা আমার কাছে স্মরণীয়। একইভাবে যুজিও আইপিএলে খুব বেশি সুযোগ পায়নি আরসিবিতে খেলার আগে। একটা ছেলে বল হাতে কী করে দেখাতে পারে আমরা আরসিবিতে সেটা যুজির পারফরম্যান্স দেখে বুঝেছি।

ব্যাঙ্গালোর ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে বিরাটের সম্পর্ক নিয়ে অনুষ্কার মতামত

ও ব্যাঙ্গালোরের মেয়ে। এখানেই ওর বেড়ে ওঠা। ও আমার থেকেও বেশি সময় ব্যাঙ্গালোরে কাটিয়েছে। ওর এই শহরটার সঙ্গে আলাদা একটা সম্পর্ক আছে। ও আমার জন্যও খুশি। আমি ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলার জন্য ও ভীষণ খুশি। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ওকেও যেভাবে স্বাগত জানায়, সেটাও ওর কাছে বিশেষ। আমরা যখন ভালো খেলি ও গর্ববোধ করে, খুশি হয়। আমরা খারাপ খেললে ও কষ্ট পায়। ব্যাঙ্গালোরের সঙ্গে ওর একটা আলাদা সম্পর্ক থাকায় এটা একটা যোগসূত্রের মতো হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন: IPL 2022: ঘরের মাঠে সুবিধে পাবে না মুম্বই, বলছেন রোহিত শর্মা



Leave a Reply