IPL 2022: ধোনির পথেই হেঁটেই সাফল্য পাচ্ছেন এই ক্রিকেটার, কার নাম বললেন রবি শাস্ত্রী?
Image Credit source: Twitter
মুম্বই: এক ক্রিকেটারের সঙ্গে অন্য প্রজন্মের আর এক ক্রিকেটারের তুলনা হয় কেন? প্রজন্ম আলাদা হলেও দুই ক্রিকেটারের মধ্যে মিল থাকে যথেষ্ট। তাদের ভাবনা, প্রকাশ একাকার হয়ে যায়। আর সেই কারণেই সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে তুলনা হয় বিরাট কোহলির। ভালো কোনও ক্যাপ্টেন কিংবা উইকেট কিপার এলে যেমন তুলনা হয় মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) সঙ্গে। নেতা এবং কিপার, একই ভূমিকায় যদি কেউ সফল হন খুব স্বাভাবিক ভাবেই ধোনি এসে যাবেন আলোচনায়। যেমন এখন হচ্ছে। ক্রিকেট মহলের অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই এখন আলোচনা করছেন ঋষভ পন্থকে (Rishabh Pant) নিয়ে। দেশের হয়ে বিস্ফোরক ব্যাটার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন নিজেকে। কিপার হিসেবেও শুধরে ফেলেছেন ভুলত্রুটি। আইপিএলে (IPL) নেতা হিসেবেও নিজেকে ক্রমশ তুলে ধরছেন। তাঁর ম্যাচ রিডিং, বোলারদের ব্যবহার, সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ অনেকেই। রবি শাস্ত্রীর (Ravi Shastri) মতো প্রাক্তন ক্রিকেটার কিন্তু বলেই পন্থের মধ্য়ে ভালো নেতা হওয়ার মশলা আছে।
দুটো পর্বে প্রায় সাত বছর ভারতীয় টিমের কোচ ছিলেন শাস্ত্রী। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন কোচের পদ থেকে। পন্থের উত্থান তাঁর চোখের সামনে। তাঁর ছাত্রকে নিয়ে বলছেন, ‘একজন ক্যাপ্টেনের যে যে পজিটিভ দিক থাকা উচিত, সেটা ওর আছে। সেই কারণেই ওকে আমার ভালো লাগে। কুলদীপকে ও কিন্তু চমৎকার ব্যবহার করছে। সেই সঙ্গে ভালো বোলিং চেঞ্জও করতে দেখছি। পন্থ কিন্তু স্ট্রিট-স্মার্ট ক্রিকেটার। ওর সবচেয়ে পজিটিভ দিক হল, ওর ব্যাটিং আর ক্যাপ্টেন্সি, দুটো বিষয় একেবারে আলাদা। ব্যাটিংয়ের সময় ও বিস্ফোরক। ক্যাপ্টেন্সির সময় ও অনেক বেশি গোছানো। পন্থের আইডল ধোনি। ধোনির মতোই ক্য়াপ্টেন্সিটা করার চেষ্টা করে। এমনকি, ম্যাচের আগে ওর প্র্যাক্টিস, ক্রিকেটের প্রতি ওর নিষ্ঠা অনেকটা ধোনির মতো।’
দিল্লির হয়ে একটু তলার দিকে নামছেন পন্থ। যে কারণে ব্যাটিং অ্যাভারেজ একটু কমতির দিকে। শাস্ত্রী কিন্তু পন্থের উপর অগাধ আস্থা রাখছেন। বলছেন, ‘পন্থ কখনও চাপে থাকে না। ও সব সময় নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলে। যে ভাবে ও খেলে, ধারাবাহিক থাকাটা কিন্তু সহজ নয়। কারণ ও সব সময় ঝুঁকি নেয়। যেখানে ও ব্যাট করে, সেই চার নম্বরে যারা নামে তাদের কিন্তু রানের গতি বাড়াতে হয়। তাই ওই জায়গায় ব্যাটিং করাটা সব সময় ঝুঁকির।’