কার্তিক-শাহাবাজ, জুটিতে লুটি।
Image Credit source: Twitter
রাজস্থান রয়্যালস – ১৬৯/৩ (২০)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর – ১৭৩/৬ (১৯.১)
মুম্বই: অভিজ্ঞতা কাকে বলে দেখালেন তিনি। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্য একসঙ্গে কোনও কাজ করতে চাইলে কি হয় দেখালেন তাঁরা। প্রথমজন দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik)। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। দ্বিতীয়জন বাংলার তরুণ অলরাউন্ডার শাহাবাজ আহমেদ। রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) বোলিংয়ের দাপটে যখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (Royal Challengers Bangalore) দুমরে গেছে, তখনই জ্বলে উঠল, নবীন-প্রবীনের জুটি। অভিজ্ঞ অশ্বিনকে পাল্টা মারের রাস্থায় হেঁটে দলকে ম্যাচে ফেরালেন কার্তিক। অভিজ্ঞ পার্টনারের তৈরি করা মঞ্চে ট্রেন্ট বোল্টকে বাউন্ডারির বাইরে ফেলে ম্যাচ জয়ের রাস্তাটা তৈরি করলেন শাহাবাজ। কিন্তু স্কুপ করতে গিয়ে আউট হলেন ২৬ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে। শেষ ২ ওভারে ১৫ রান দরকার ছিল আরসিবির। কার্তিক শেষে দেখেই ছাড়লেন। শেষ ওভারে মাত্র তিন রানের হিসেব বাকি রেখেছিলেন। হর্ষল প্যাটেল ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতালেন দলকে। লিগে প্রথম হার রাজস্থান রয়্যালসের। ম্যাচ হারলেও যদিও আইপিএল (IPL 2022) টেবিলে লিগ শীর্ষেই থাকল সঞ্জুর দল।
WE NEVER GIVE UP! ????
✌? points in the bag. ??#PlayBold #WeAreChallengers #IPL2022 #Mission2022 #RCB #ನಮ್ಮRCB #RRvRCB pic.twitter.com/koJmR7r0cH
— Royal Challengers Bangalore (@RCBTweets) April 5, 2022
টস জিতে রাজস্থানকে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠান রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। ওয়াংখেড়ের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হয়, কিন্তু এই ম্যাচে ছবিটা একটি অন্যরকম। আরসিবির মাপা বোলিং শুরুতে হাত খুলতে দেয়নি জস বাটলারদের। যশস্বী জয়সোয়ার এদিনও ব্যর্থ। বাটলার ও দেবদত্তের পার্টানারশিপে ভর করে একটু একটু করে এগোতে থাকে রাজস্থান। দেবদত্ত ৩৭ রানে আউট হলেন। দুরন্ত ছন্দে থাকা সঞ্জু এ দিন হাসারাঙ্গার সামনে ধরা পরে গেলেন একটা ছক্কা হাঁকানোর পর। কিন্তু উল্টো দিকে দলের হাল ধরে ছিলেন বাটলার (Jos Buttler)। হেটমারকে সঙ্গে নিয়ে আবার পার্টনারশিপ তৈরি করলেন। স্লগ ওভার শুরু হতেই মেজাজ বদলে গেল ইংল্যান্ড কিপারের। হাত খুলতে শুরু করলেন। বল যেতে শুরু করল বাউন্ডারির বাইরে। একটা সময় মনে হচ্ছিল ১৫০ রানের গন্ডিও পার করতে পারবে না রাজস্থান। যদিও ২০ ওভার শেষে ১৬৯ রানে পৌঁছে গেল রাজস্থান। সৌজন্যে বাটলারের ৪৭ বলে অপরাজিত ৭০ ও হেটমায়ারের ৩১ বলে অপরাজিত ৪২।
বড় রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণের মেজাজে হাঁটলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি ও তরুণ ওপেনার অনুজ রাওয়াত। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে প্রথম ছয় ওভারে ৪৮ রান স্কোর বোর্ডে তুলে ফেলেন আরসিবির দুই ওপেনার। তবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের দুই প্রাক্তন বোলার বল হাতে তুলে নিতেই কাঁপুনি। চাহাল ফেরালেন ফাফ’কে। নবদীপ ফেরালেন অনুজ রাওয়াতকে। এরপর চাহালের হাতেই রান আউট হলেন বিরাট। মাত্র ৫ রানে। পরের বলেই ডেভিড উইলিকে ফেরালেন চাহাল। ম্যাচ ঘুড়ে গেল রাজস্থানের দিকে। কিন্তু অভিজ্ঞ দীনেশ কার্তিক আবার ম্যাচ নিয়ে নিয়ে গেলেন আরসিবির দিকে। মাঠে নেমেই ঝড় তুললেন প্রাক্তন নাইট অধিনায়ক কার্তিক। সঙ্গ দিলেন বাংলার শাহাবাজ আহমেদ। শেষ ৫ ওভারে ৪৫ রান প্রয়োজন ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। কার্তিক ও শাহাবাজ লড়ে গেলেন। ২৬ বলে শাহাবাজ ৪৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হলেন। কিন্তু অভিজ্ঞ কার্তিক তখনও ক্রিজে। ফিনিশারের ভূমিকায় এখনও তিনি ম্যাচ শেষ করতে পারেন। দেখিয়ে দিলেন কার্তিক। দলকে এনে দিলেন দ্বিতীয় জয়। ম্যাচের সেরা কার্তিক।
আরও পড়ুন : IPL 2022: ঘরেই শ্যাডো প্র্যাকটিস করতেন রাসেল