Vinod Rai Book: ‘শৃঙ্খলাপরায়ণ’ কুম্বলের কোচিংয়ে ভয় পেয়ে যাচ্ছে তরুণরা, বলেছিলেন বিরাট


বিনোদ রাইয়ের বুকে চাঞ্চল্যাকর তথ্য।
ছবি: টুইটার

কলকাতা: ৯ বছর আগের তীব্র বিতর্ক নিয়ে বহু প্রশ্ন এত দিন থেকে গিয়েছিল। কেন বিতর্ক, জটিলতা শুরু হল কী ভাবে, সমস্যা মেটানো গেল না কেন? এমন প্রশ্ন বারবার উঠেছে। ৯ বছর পর তার কিছু উত্তর মিলল। আর সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন খোদ বিনোদ রাই (Vinod Rai)। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ২০১৩ সাল থেকে বোর্ডের প্রশাসনিক প্রধান ছিলেন। আইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পর দায়িত্বে এসেছিলেন তিনি। ওই সময় ভারতীয় টিমের কোচ ছিলেন অনিল কুম্বলে (Anil Kumble)। আর ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। কোচ ও ক্যাপ্টেনের মধ্যে তুমুল ঝামেলা শুরু হয়ে গিয়েছিল। শৃঙ্খলাপরায়ণ কুম্বলেকে মেনে নিতে পারছিলেন না ভারতীয় টিমের অধিকাংশ ক্রিকেটার। তাঁরা সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন বিনোদ রাইয়ের কাছে। তাঁর সদ্য প্রকাশিত বই ‘নট জাস্ট নাইটওয়াচম্যান— মাই ইনিংস ইন দ্য বিসিসিআই’এ এমন অনেক বিতর্ক ফাঁস করে দিয়েছেন। আর তা যে নতুন করে ভারতীয় ক্রিকেট ও বোর্ড কর্তাদের অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

ভারতের কিংবদন্তি লেগস্পিনার কুম্বলে ভারতীয় টিমের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ঝামেলা শুরু হয়ে গিয়েছিল টিমে। কুম্বলের অতি মাত্রায় শৃঙ্খলা কেউই মেনে নিতে পারছিলেন না। নিজের বইয়ে বিনোদ লিখেছেন, ‘ক্যাপ্টেন এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল ওই সময়। আমাকে বলা হয়েছিল, কোচ কুম্বলে অতিরিক্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ। আর সেই কারণেই টিমের অধিকাংশ ক্রিকেটার কোচকে নিয়ে অখুশি। ওই ব্যাপারটা নিয়ে বিরাট কোহলির সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছিলাম। ও বলেছিল, কুম্বলে যে ভাবে কাজ করছে, তাতে তরুণ ক্রিকেটাররা ভয় পেয়ে যাচ্ছে।’

বিরাট কোহলিদের এমন মন্তব্যের পর কুম্বলে কী বলেছিলেন? বিনোদ রাই-ই তাঁর বইয়ে লিখেছেন, প্রাক্তন লেগস্পিনার খুব ভেঙে পড়েছিলেন। বিনোদ লিখেছেন, ‘ইংল্যান্ড সফর থেকে ফেরার পর কুম্বলের সঙ্গে লম্বা আলোচনা হয়েছিল এ নিয়ে। পুরো ব্যাপারটা যে ভাবে ঘটেছিল, তাতে ও খুব ভেঙে পড়েছিল। কুম্বলের মনে হয়েছিল, ওর বিরুদ্ধে যেটা হয়েছে, সেটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। টিম কিংবা ক্যাপ্টেন কী বলছে, তার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কোনও মানে হয় না। একটা টিমে শৃঙ্খলা যাতে থাকে, পেশাদারিত্ব থাকে, সেটার দায়িত্ব কোচের উপরেই বর্তায়। কুম্বলের মতামত ছিল, ওর এই দর্শনকে সম্মান জানাতে হবে টিমের প্লেয়ারদের।’

২০১৬ সালে ভারতীয় টিমের কোচ হয়েছিলেন কুম্বলে। ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হারের পর চাকরি গিয়েছিল তাঁর। তখন থেকেই বলা শুরু হয়েছিল, কুম্বলের চাকরি যাওয়ার পিছনে বিরাট কোহলিদের হাত অনেক বেশি। সেই জল্পনা যে সত্যিই ছিল, সেটাই প্রমাণ করে দিচ্ছে বিনোদ রাইয়ের সদ্য প্রকাশিত বই।

আরও পড়ুন: ICC Chairman: সর্বোচ্চ পর্যায়ের লড়াইয়ে মুখোমুখি সৌরভ-জয়!

Leave a Reply