IPL 2022: সেঞ্চুরি ম্যাচে সেঞ্চুরি করে রোহিত শর্মাকে হারালেন লোকেশ রাহুল
লখনউ সুপার জায়েন্ট ১৯৯-৪ (২০ ওভারে)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৮১-৯ (২০৯ ওভারে)
মুম্বই: সেঞ্চুরি আসলে মাইলস্টোন। যেই পৌঁছন না কেন, তৃপ্তি ঠিক খুঁজে পান। কিন্তু মাইলস্টোন ম্যাচে সেঞ্চুরি? ক্রিকেট দুনিয়া খুব বেশি দেখেনি। লোকেশ রাহুল (KL Rahul) দেখালেন। ১০০তম আইপিএল ম্য়াচ খেলতে নেমেছিলেন। ওই ম্য়াচকেই সেঞ্চুরি দিয়ে বাঁধিয়ে রাখলেন লখনউয়ের সুপার জায়েন্টের (Lucknow Super Giants) ক্যাপ্টেন। আর তাতেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians) শেষ হলে গেল। এ বারের আইপিএলে রোহিত শর্মার টিমের হাল অত্যন্ত খারাপ। শুরু থেকে বলা হচ্ছিল, পাঁচ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা একটু ধীরে গতি তোলে। কিন্তু হাফডজন ম্যাচ হয়ে গেল। মুম্বই জয়ের দেখা পেল না। টানা ছ’টা হারের পর একটা ব্যাপার পরিষ্কার, আশ্চর্য উত্তরণ না হলে এ বারের আইপিএলে প্লে-অফে পৌঁছনো খুব কঠিন। উল্টো দিকের ছবিটা কিন্তু ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। যতই নতুন টিম হোক, রাহুলের লখনউ অনেক দূর যাওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
@klrahul11 scores a #Supergiant 100, the highest individual score by a batter in their 100th IPL match ?
Macha diya Kaptaan sahaab!#AbApniBaariHai?#IPL2022 ? #bhaukaalmachadenge #lsg #LucknowSuperGiants #T20 #TataIPL #Lucknow #UttarPradesh #LSG2022 pic.twitter.com/i9R0s8uh5F
— Lucknow Super Giants (@LucknowIPL) April 16, 2022
২০০ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামলে যে কোনও টিমকে ওভার প্রতি ১০ রানের চাপ নিতে হয়। তা সামলাতে হলে ওপেনিং জুটিকে ঝড় তুলতেই হয়। মুম্বই এই প্রাথমিক শর্তটা পূরণই করতে পারছে না। রোহিত রানের মধ্যে নেই শুরু থেকে। এই ম্যাচেও ৬ করে ফিরলেন। ঈশান কিষানও রান পেলেন না। ১৩ করে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন। ৩-৫৭ হয়ে যাওযার পরও এই ম্যাচ জেতা যেত। ডিওয়াল্ড ব্রেভিসের মতো সাহসী ইনিংস যদি কেউ খেলতে পারতেন। ১৯ বছরের দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ১৩ বলে ৩১ করে গেলেন। তার পর কিন্তুই লখনউয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতার তাগিদ দেখাতে পারেননি। সূর্যকুমার যাদব (৩৭), তিলক ভার্মা (২৬), কায়রন পোলার্ড (২৫) ফিরলেন পর পর। মুম্বইয়ে মূলত ধাক্কা দিলেন লখনউয়ের আবেশ খান। ৩০ রান দিয়ে নিলেন ৩ উইকেট।
এই ম্য়াচ আসলে লোকেশ রাহুলের। ৬০ বলে নট আউট ১০৩ করলেন তিনি। এই আইপিএলে রাজস্তান রয়্যালসের ওপেনার জনি বেয়ারস্টো প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন। সে দিক থেকে দেখলে রাহুল প্রথম ভারতীয়, যিনি শতরান করলেন আইপিএল ১৫-তে। ১০ বলে মাত্র ৯ করেছিলেন শুরুতে। তখন মনেই হয়নি সেঞ্চুরির ঝলকও দেখাতে পারেন। গত বারও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন রাহুল। এ বারও তাই। কেরিয়ারের তিনটে সেঞ্চুরির দুটোই করলেন রোহিতের টিমের বিরুদ্ধে। সেঞ্চুরির করার পথে মেরেছেন ৯টা চার ও ৫টা ছয়। সেঞ্চুরির পর রাহুলের সেলিব্রেশন আলোচনার খোরাক হয়ে উঠল। কানে আঙুল দিয়ে কি বোঝাতে চাইলেন, সমালোচকদের কথা তিনি শোনেনই না?
প্রশ্ন হল, এই ম্য়াচের শুরু থেকেই মুম্বই জেতার মানসিকতা নিয়ে মাঠে নেমেছিল? যদি তাই হয়, সুনীল গাভাসকরের মতো প্রাক্তন বলতেন না, ‘কোনও ফর্মে থাকা টপ অর্ডার ব্যাটারকে যদি পাঁচ কিংবা ছয়ে নামানো হয়, সে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারবে না। বোলারদের ক্ষেত্রেও কিন্তু একই কথা বলতে হবে। জশপ্রীত বুমরাকে চার নম্বর ওভারে বল করতে আনা হবে কেন?’
ম্য়াচ হারের পর কী যুক্তি দিচ্ছেন ক্যাপ্টেন রোহিত? ‘আমরা লম্বা পার্টনারশিপ তৈরি করতে পারিনি। আমরা সব সময় ব্যক্তিগত ক্রিকেটারের থেকে টিমকে এগিয়ে রাখি। চেষ্টা করেছিলাম, সেরা বোলারকে পরে ব্যবহার করতে। কিন্তু ওটা কাজে লাগেনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: লখনউ সুপার জায়ান্টস ১৯৯-৪ (রাহুল নট আউট ১০৩, মণীশ ৩৮, কুইন্টন ২৪, উনাদকট ২-৩২, অশ্বিন ১-৩৩, ফাবিয়ান ১-৪৬)। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৮১-৯ (সূর্য ৩৭, ব্রেভিস ৩১, তিলক ২৬, আবেশ ৩-৩০, স্টোইনিস ১-১৩, হোল্ডার ১-৩৪)।