Santosh Trophy: কুঁড়ি থেকে ফুল হয়ে ফুটতে চান মহিতোষ, ফারদিনরা


Santosh Trophy: কুঁড়ি থেকে ফুল হয়ে ফুটতে চান মহিতোষ, ফারদিনরা

সন্তোষ ট্রফি (Santosh Trophy) বরাবরই নতুন তারকার জন্ম দেয়। এই টুর্নামেন্টে থেকেই দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার স্বপ্ন দেখেন ফুটবলাররা। এবারের বাংলা দলেও অধিকাংশ তরুণ ফুটবলাররা স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়

সন্তোষ ট্রফি (Santosh Trophy) বরাবরই নতুন তারকার জন্ম দেয়। এই টুর্নামেন্টে থেকেই দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার স্বপ্ন দেখেন ফুটবলাররা। এবারের বাংলা দলেও অধিকাংশ তরুণ ফুটবলাররা স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। বাংলাকে চ্যাম্পিয়ন করানোর পাশাপাশি নিজেদের কেরিয়ারও মজবুত করার পালা। আর সেই লক্ষ্যেই আগুয়ান প্রতিভাবান ফুটবলাররা। দুই সিনিয়র ফুটবলার ছাড়া অধিকাংশ দলটাই জুনিয়রদের নিয়ে গড়া। ফারদিন, দিলীপরাও কুঁড়ি থেকে ফুল হয়ে ফুটতে চান।

মহিতোষ রায়: এরিয়ান, বিএসএস হয়ে জর্জ টেলিগ্রাফে খেলেছেন মহিতোষ। নতুন মরসুমে লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চাপাবেন। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে ফুটবল কে বেছে নিয়েছিলেন মহিতোষ। আর তার জন্য বাড়িতে কম সমস্যায় পড়তে হয়নি এই মিডফিল্ডারকে। যেখানে বাবা আবার পুলিশে চাকরি করেন। ছোট থেকে ফুটবলই নেশা ২৩ বছরের এই ছেলের। উচ্চমাধ্যমিকের পর জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ২৫ হাজার Rank হয়েছিল মহিতোষের। রাজারহাটের টেকনো ইন্ডিয়া কলেজে ৬ মাস পড়াশোনা করেও ফুটবলের নেশায় ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে দেয় মহিতোষ। সন্তোষে ২টো গোলও রয়েছে তাঁর নামের পাশে। ফাইনালে কেরলকে হারিয়ে ট্রফি নিয়েই ঘরে ফিরতে চান মহিতোষ।

ফারদিন আলি মোল্লা: সন্তোষে এ বার বাংলা দলের হায়েস্ট স্কোরার। এরই মধ্যে ৫ গোল করে ফেলেছেন। বাবা ফরিদ আলি ইস্টার্ন রেলে খেলতেন। ছেলেকে ফুটবলার তৈরির স্বপ্ন ছিল আগাগোড়া। মহামেডানে খেললেও রেলের চাকরির জন্য বড় দলের অফার ছাড়েন। মোহনবাগানের অনূর্ধ্ব-১৫ দলে খেলার পাশাপাশি ২০১৯ দলে এটিকের অনূর্ধ্ব-১৮ দলে খেলেন ফারদিন। সন্তোষে খেলার পরই এটিকে মোহনবাগানে ডাক পান ফারদিন। এএফসি কাপের দলেও ছিলেন। এ বার বাংলার জার্সিতে ফাইনালে গোল করে খেতাব এনে দিতে চান ফারদিন।

তন্ময় ঘোষ: স্ট্রাইকার থেকে ডিফেন্সিভ ব্লকার হওয়ার কাহিনি। ইস্টবেঙ্গলের অনূর্ধ্ব ১৮ দলের আই লিগেও স্ট্রাইকারে খেলতেন তন্ময়। এরপর প্রথম ডিভিশন ক্লাব উয়াড়িতে সই করেন হুগলির ছেলে। জর্জ টেলিগ্রাফেও উইংয়ে খেলতেন। এ বছরই সই করেন ইউনাইটেড স্পোর্টসে। আর তারপরই ফুটবল জীবন বদলে যায় তন্ময়ের। আক্রমণের ফুটবলার হয়ে যান ডিফেন্সিভ ব্লকার।

দিলীপ ওঁরাও: সেমিফাইনালে বাংলার হয়ে গোল করেন দিলীপ। নাগেরবাজারের ছেলে দিলীপকে স্পট করে নবাব ভট্টাচার্যের ইউনাইটেড স্পোর্টস। সেখানেই থেকে উত্থান দিলীপের। সন্তোষে ভালো খেলে আইএসএলের দলে জায়গা করে নেওয়াই লক্ষ্য দিলীপের।

আরও পড়ুন: Santosh Trophy Final: কেরলের বিরুদ্ধে সন্তোষ ফাইনালে বদলা নিতে চাইছেন মনোতোষ-প্রিয়ন্তরা

Leave a Reply