County Championships: চেতেশ্বর পূজারার পরামর্শ কাজে লাগিয়ে কী ভাবে সাফল্য পাচ্ছেন, ফাঁস করলেন মহম্মদ রিজওয়ান


County Championships: চেতেশ্বর পূজারার পরামর্শ কাজে লাগিয়ে কী ভাবে সাফল্য পাচ্ছেন, ফাঁস করলেন মহম্মদ রিজওয়ান

ভারত বনাম পাকিস্তানের ক্রিকেট যুদ্ধ দূরে সরিয়ে রেখে তাঁরা এখন দুই বন্ধু। পূজারা আর রিজওয়ান চুটিয়ে উপভোগ করছেন সাসেক্সের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট। পূজারাকে নিয়ে কী বলছেন রিজওয়ান?

লন্ডন: যখন দেশের হয়ে খেলেন, একে অপরকে দুরমুশ করার জন্যই নামেন মাঠে। ভারত বনাম পাকিস্তানের (India vs Pakistan) ম্যাচ তো এমনই হবে। কিন্তু যখন তাঁরাই আবার একসঙ্গে খেলেন কোনও টিমে, তখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জয়ের খোঁজে নামেন। ঠিক যেমনটা সাসেক্সের জন্য করছেন ভারতের চেতেশ্বর পূজারা (Cheteshwar Pujara) ও পাকিস্তানের মহম্মদ রিজওয়ান (Mohammad Rizwan)। কাউন্টি খেলতে ব্যস্ত দু’জনই। ভারতীয় টিম থেকে বাদ পড়া পূজারার কাছে এই কাউন্টি নতুন করে টিমে ফিরে আসার লড়াই ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ তিনি নেওয়ার পাশাপাশি নিজেকে প্রমাণ করছেন প্রতি ম্যাচে। সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরির আলো জ্বালাচ্ছেন প্রায় প্রতি ইনিংসেই। রিজওয়ান আবার গত বছর থেকেই দারুণ ছন্দে। পাক কিপার-ব্যাটারের সঙ্গে জুটি বেঁধে পূজারা সদ্য ডারহ্যামের বিরুদ্ধে করেছেন ১৫৪ রান। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেস আলোচনা হয়েছিল। বরাবর দুই ক্রিকেটাররা মাঠে নামেন মুখোমুখি। তাঁরাই যখন টিমমেট হন, বন্ধুত্ব হয়?

ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ নিয়ে কী ভাবেন ওঁরা? রিজওয়ান বলছেন, ‘আমার আর পূজারার দিক থেকে বলতে পারি, আমাদের দু’জনের বন্ধুত্বের মধ্যে ও সব ব্যাপার নিয়ে কোনও সমস্যাই তৈরি হয়নি। আমার মতো এই ব্যাপারটা নিয়ে ওকে জিজ্ঞেস করলে, ও-ও ঠিক একই কথা বলবে। ওর সঙ্গে মজা রসিকতা করি, খুনসুটি করি। আর এটা টিমের সবাই জানে।’

মাঠ ও মাঠের বাইরের পূজারা যে অত্যন্ত ভালো মানুষ, তা মেনে নিয়েছেন পাক ক্রিকেটার। রিজওয়ানের কথায়, ‘ও খুব ভালো মানুষ। ওকে পছন্দ করতেই হবে। ভীষণ ফোকাসড। ওর কাছ থেকে এটা শেখার মতো ব্যাপার। ওর মনোঃসংযোগ মাত্রা যে বিশাল, সেটা আমি এখানকার কোচদেরও বলি। আমি কেরিয়ারে অনেকের সঙ্গে খেলেছি। ইউনিস ভাই, ফওয়াদ আলমের সঙ্গে পূজারাও থাকবে তালিকায়। ইউনিস ভাইয়ের পরেই রাখব ওকে।’

সাদা বলের ক্রিকেটে নিয়মিত খেলার জন্য লাল বলের ক্রিকেটে নিজেকে মেলে ধরা যে বেস কঠিন কাজ, খুব ভালো করে জানেন রিজওয়ান। আর তাই পূজারার কাছ থেকে পরামর্শ নেন পাক ক্রিকেটার। ‘একটা সময় ফোকাস আর মনোঃসংযোগের মাত্রা কমতে থাকে। আমি তখন এই তিনজন ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলি। যাতে নিজেকে আবার ফিরে পাই। ইউনিস ভাইয়ের সঙ্গে নিয়মিত কথা হয়। ফওয়াদের সঙ্গে এখন কথা হচ্ছে না। তবে পূজারার সঙ্গে এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। ও অনেক কিছু আমাকে বলেছে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল, শরীরে যতটা কাছে এনে শট নেওয়া উচিত। সাদা বলের ক্রিকেটের ক্ষেত্রে কিন্তু এটাই আবার উল্টো হয়। তখন শরীরের দূর থেকে শট নিই বেশি করে। যে কারণে কাউন্টি ম্যাচের শুরুর দিকে রান পাচ্ছিলাম না। কী ভাবে রানে ফিরব, বুঝতে না পেরে নেটে পূজারার কাছে যাই। ও বলেছিল, উপমহাদেশের উইকেটে আমরা ড্রাইভ করার চেষ্টা করি বেশি। কিন্তু ইংল্যান্ডে সফল হতে গেলে শরীরের দূর থেকে খেললে চলবে না। শরীরের যতটা কাছ থেকে শট নেব, ততই বেশি রান পাব। ওর এই পরামর্শটা কিন্তু কাজে লেগেছে।’

Leave a Reply