Image Credit source: Twitter
তিরি চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তেই বাগান ডিফেন্স পুরো খোলা দরজা। একের পর এক আক্রমণে বাগান বক্স ছারখার করে দিলেন জিথিন, রিশাদ, লুকারা।
কলকাতা: কেরল ৩, বাংলা ০। সন্তোষ ট্রফি, আই লিগ, এএফসি কাপ। এটাই এখন বাংলা বনাম গোয়ার সার্বিক রেজাল্ট। যুবভারতীতে হেভিওয়েট সবুজ-মেরুনকে উড়িয়ে এএফসি কাপে (AFC Cup) অ্যাডভান্টেজ পজিশনে গোকুলাম কেরালা এফসি। আইএসএলের দলকে হারিয়ে দিল আই লিগ চ্যাম্পিয়নরা। কলার তুলে মাঠ ছেড়ে বেরোলেন ভিনচেঞ্জো আলবার্তো। খেলা শেষের পর এটিকে মোহনবাগানকে তাচ্ছিল্যে ওড়াতেও ভুললেন না বাগান কোচ। লুকা ম্যাজসেনরা মাঠে মাটি ধরালেন প্রীতমদের। আর মাঠের বাইরে আগুন ঝরালেন আলবার্তো।
তিরি চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তেই বাগান ডিফেন্স পুরো খোলা দরজা। একের পর এক আক্রমণে বাগান বক্স ছারখার করে দিলেন জিথিন, রিশাদ, লুকারা। ম্যাচের পর গোকুলাম কোচ বললেন, ‘ আমার দলের অধিকাংশ ফুটবলাররাও ফিট ছিল না। লুকার চোট সারিয়ে ফিরেছে। ছেলেরা ক্লান্ত ছিল। তারপরও মাঠে যে ফুটবলটা আজ খেলল, তা যথেষ্ট প্রশংসনীয়।’ এখানেই থামলেন না গোকুলাম কোচ। ফেডারেশনকে একহাত নেওয়ার পাশাপাশি মোহনবাগানকে বিঁধে গোকুলাম কোচ বললেন, ‘আইএসএল আর আইলিগের মধ্যে কোনও তফাতই নেই। এটিকে মোহনবাগানের চেয়ে তো রিয়াল কাশ্মীর আমাদের বেশি সমস্যায় ফেলেছিল। আই লিগে রেলিগেশন ফাইট করেছে রিয়াল কাশ্মীর। আইএসএল আর আই লিগের দলের মধ্যে যে কোনও তফাত নেই, এটা ফেডারেশনের বোঝা উচিত।’ এখানেই থামলেন না। তিনি এও বললেন, ‘বিপক্ষের ৮ ফুটবলার জাতীয় দলের স্কোয়াডে আছে। আমার দলে কেউ জাতীয় দলে খেলে না। এই ম্যাচটা আমাকে প্রমাণ করতে হত। আমার দল সেটা দেখিয়ে দিয়েছে।’
অন্যদিকে এটিকে মোহনবাগান যেন মিনি হাসপাতাল। তিরির (Tiri) চোট চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিল। ম্যাচের মাঝেই লিগামেন্টে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছেড়েছিলেন তিরি। তখনই বোঝা গিয়েছিল চোট গুরুতর। তবে ধাক্কাটা আরোও বেশি। এসিএল টিয়ারে ৮ মাস মাঠের বাইরে তিরি। বাকি ২টো ম্যাচ ডু অর ডাই সবুজ মেরুনের কাছে। তাকিয়ে থাকতে হবে গোকুলামের পয়েন্ট নষ্টের দিকেও। ম্যাকহিউ, বোমাস, তিরিদের ছাড়াই দল সাজাতে হবে ফেরান্দোকে। রক্ষণের কঙ্কালসার চেহারা চিন্তায় রাখতে বাধ্য। এএফসির কাপের শুরুতেই বাগান ব্রিগেডকে অশনি সংকেত দেখিয়ে গেল