ফাইনালে উঠে কী বলছেন গুজরাতের নায়ক কিলার মিলার?


ফাইনালে উঠে কী বলছেন গুজরাতের নায়ক কিলার মিলার?

আইপিএলের মঞ্চে অভিষেকের বছরেই গুজরাতের ফাইনালে ওঠা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। একইসঙ্গে টাইটান্সকে ফাইনালে তোলার নেপথ্যে থাকা ম্যাচ উইনারদের নিয়েও কথা থামছে না।

কলকাতা: এ বারের আইপিএলের (IPL 2022) নতুন দল গুজরাত টাইটান্সের জার্সি গায়ে চাপিয়ে ইডেনে মেগা শো দেখিয়ে গেলেন প্রোটিয়া তারকা ক্রিকেটার ডেভিড মিলার (David Miller)। প্রথম কোয়ালিফায়ারের কাঁটা পেরিয়ে ২৯ মে-র ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) দল। আইপিএলের মঞ্চে অভিষেকের বছরেই গুজরাতের ফাইনালে ওঠা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। একইসঙ্গে টাইটান্সকে ফাইনালে তোলার নেপথ্যে থাকা ম্যাচ উইনারদের নিয়েও কথা থামছে না। দলকে ফাইনালে তুলেও এতটা শান্ত, এতটা নির্লিপ্ত দেখা যাবে হার্দিক পান্ডিয়াকে তা কখনও ক্রিকেটপ্রেমীরা হয়তো কল্পনা করতে পারেননি। শেষ ওভারে মিলারের ম্যাচ জেতানো শেষের ছয়টার পর হার্দিক এগিয়ে গেলেন মিলারের দিকে। মুখে তাঁর এক অমলিন হাসি। জড়িয়ে ধরলেন ম্যাচের নায়ককে। শেষ ওভারে ৩ ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ফাইনালে তোলা নায়ক মিলার ম্যাচের শেষে জানালেন, রান তাড়া করার সময় তিনি খানিকটা নার্ভাস ছিলেন। তবে ক্যাপ্টেন পান্ডিয়া যে পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে বলেছিলেন, তাতেই সাফল্য ধরা দিয়েছে।

৩৮ বলে ৬৮ নট আউট ম্যাচ জেতানো ইনিংসের জন্য ম্যাচের সেরার পুরষ্কারও পেয়েছেন ডেভিড মিলার। ম্যাচের শেষে মিলার বলেন, “সত্যি বলতে কি আমি একটু নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু হার্দিক বার বার বলে যাচ্ছিল ভালো ক্রিকেট শট নিতে হবে আমাদের এবং ফাঁক পেলেই সেখানে যেন বল মারতে থাকি। দেখা গিয়েছে ও খুব বেশি দৌড়াচ্ছিল না। আমি বেশ উপভোগ করেছি। তবে আমাদের পরিকল্পনা বেশ কাজে লেগেছিল।”

শেষ দুটো ওভারের আগে হার্দিক মিলারকে বলে যান, নিজের সেরাটা দিয়ে খেলতে। মিলার বলেন, “হার্দিক ভীষণ ধীর স্থির ও শান্ত ছিল। রান তাড়া করতে গিয়ে ওকে মনে হচ্ছিল ও ভীষণ স্বস্তিতেই এগোচ্ছে।”

বিদেশি প্লেয়ার হয়ে নিজেকে যে প্রমাণ করতে পেরেছেন মিলার, তাতে তিনি খুশিষ তবে ম্যাচের পরে ডেভিড মিলার বলেন, “আমি মনে করি সুযোগ দেওয়াটাই প্রথম। আমি এমন একটা ভূমিকা পালন করেছি যার জন্য আমাকে বাছা হয়েছিল এবং রান করেছি। আমি শুরু থেকেই বাইরে থেকে প্রচুর সমর্থন পেয়েছি। আমার ব্যক্তিগত খেলা নিয়ে বলতে গেলে, বলতে হবে আমি আমার ভূমিকা বেশ উপভোগ করছি। আমি এখন অনেক বছর ধরে খেলছি, এবং আমি মনে করি আমার খেলাটা ভালো করে বুঝে গিয়েছি। আমি আমার গেম প্ল্যান অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি। ব্যাপক চাপের পরিস্থিতিতেও আমি আমার গেমপ্ল্যানের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করছি।”

চলতি মরসুমটা পুরো স্বপ্নের মতো কাটছে গুজরাত টাইটান্সের। নতুন দল হয়েও টেবল টপার হয়ে প্লে অফে ওঠা। এ বার মিশন ইডেন পূর্ণ করে আমেদাবাদে পাড়ি দেওয়ার পথে গুজরাত। হার্দিকদের এ বার মিশন আইপিএল-২০২২ ট্রফি। এ বারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত হলে নিশ্চিত কেউ অবাক হবে না।

Leave a Reply