Image Credit source: Twitter
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অন্দরে নোংরা রাজনীতি চলছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কামিন্সদের প্রাক্তন হেড কোচ। বিশেষ করে জাস্টিন আক্রমণ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান রিচার্ড ফ্রয়েডেনস্টাইনকে।
সিডনি: গত ফেব্রুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান জাস্টিন ল্যাঙ্গার (Justin Langer)। তাঁর হাত ধরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup) ও ঘরের মাঠে অ্যাসেজ (Ashes) সিরিজ জেতার পর ভাবা হয়েছিল, ল্যাঙ্গারেই আস্থা রাখবে অজি ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু সিএ-র (CA) তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, জাতীয় টিমের হয়ে ল্যাঙ্গারের পারফরম্যান্স রিভিউ করার পরই তাঁকে ফের কোচ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই সবের মধ্যেই নিজেই সরে দাঁড়ান ল্যাঙ্গার। এ বার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অন্দরে নোংরা রাজনীতি চলছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কামিন্সদের প্রাক্তন হেড কোচ। বিশেষ করে জাস্টিন আক্রমণ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান রিচার্ড ফ্রয়েডেনস্টাইনকে।
ল্যাঙ্গারকে স্বল্পমেয়াদি কোচের পদে রাখার ব্যাপারে অজি ক্রিকেট মহলের অনেকেই এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন। মার্ক ওয়, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, রিকি পন্টিং, স্টিভ ওয়, ম্যাথু হেডেন এবং প্রয়াত শেন ওয়ার্ন সহ বেশ কয়েকজন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ল্যাঙ্গারের সঙ্গে সিএ-র এই আচরণের তীব্র নিন্দাও করেছিলেন। সদ্য পার্থে চেম্বার অল কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি ডব্লিউএ ইভেন্সে এই বিষয়ে ল্যাঙ্গার বলেন, “প্রথমে তিনি (রিচার্ড ফ্রয়েডেনস্টাইন) আমাকে বলেছিলেন যে, মিডিয়ার সামনে আপনার সতীর্থরা আপনাকে সমর্থন করছে জেনে আপনি নিশ্চয়ই খুশি হচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমি বলেছিলাম, ‘হ্যাঁ, সম্মান দিয়েই বলছি আমার সঙ্গীরাও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা। তাঁরা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ভীত গড়েছে। তাঁরা ক্রিকেট নিয়ে সারা বিশ্বে কাজ করে। তাই আমি আনন্দিত যে আমার সঙ্গীরা আমার ব্যাপারে ভেবেছে।’”
একইসঙ্গে ল্যাঙ্গার বলেন, “আমার ১২ বছরের কোচিং কেরিয়ারে আমি গত ছয় মাস সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছি। আমরা শুধু যে জিতেছি তা নয়, আমার শক্তি ছিল, ফোকাস ছিল এবং নোংরা রাজনীতি সত্ত্বেও আমি খুশি।” তিনি পরিষ্কার জানান যে ক্রিস সিলভারউডের পর ইংল্যান্ডের কোচ হওয়ার বিষয়ে তিনি কারও সঙ্গেই কথা বলেননি। ল্যাঙ্গারের কথায়, “ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রস আমার পদত্যাগের একদিন পর আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি তাকে অনেক দিন ধরে চিনি। তিনি ছাড়া ইংলিশ ক্রিকেটে আর কারও সঙ্গে আমার কথা হয়নি।”