Ranji Trophy Quarterfinal: জন্মদিনে ছেলেকে শতরান উপহার অনুষ্টুপের


অনুষ্টুপকে শুভেচ্ছা সুদীপের।

Image Credit source: BCCI DOMESTIC TWITTER

অল্পের জন্য দ্বিশতরান হাতছাড়া সুদীপ ঘরামির। ঝাড়খণ্ডের ডানহাতি পেসার রাহুল শুক্লার রাউন্ড দ্য উইকেট বোলিং। লেগ সাইডে কট বিহাইন্ড সুদীপ।

বেঙ্গালুরু : বাউন্ডারি মেরে শতরান পূর্ণ করে হেলমেট খুললেন অনুষ্টুপ। হাতে একটা কাগজ। ডাগআউটের দিকে তুলে ধরলেন। কাগজে লেখা- হ্যাপি বার্থডে পোপ। লাভ ইউ। বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে টিভি নাইনকে অনুষ্টুপ জানালেন, ‘ছেলের আজ জন্মদিন। আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম, এভাবে শতরানের সেলিব্রেশন করবো। এই শতরান ছেলেকে জন্মদিনের উপহার।‘ রঞ্জি ট্রফি কোয়ার্টার ফাইনালে (Ranji Trophy) ম্যাচের দ্বিতীয় দিন অনবদ্য শতরান অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদারের (Anustup Majumdar)। সুদীপের (Sudip Gharami) ১৮৬ রানের ইনিংস মজবুত জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে বাংলাকে। গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন অভিষেক রামন, অভিষেক পোড়েল এবং অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary)। দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৫৭৭/৫। ক্রিজে রয়েছেন প্রাক্তন অধিনায়ক মনোজ (৫৪) এবং অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ (৭)।

অল্পের জন্য দ্বিশতরান হাতছাড়া সুদীপ ঘরামির। ঝাড়খণ্ডের ডানহাতি পেসার রাহুল শুক্লার রাউন্ড দ্য উইকেট বোলিং। লেগ সাইডে কট বিহাইন্ড সুদীপ। রঞ্জিতে ডিআরএস নেই। সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক থাকলই। হতাশায় মাথা নাড়তে নাড়তে মাঠ ছাড়েন সুদীপ। দ্বিতীয় দিন ৩১০/১ স্কোরে খেলা শুরু করে বাংলা। অনুষ্টুপের আউটে ২৪৩ রানের জুটি ভাঙে। প্রথম দিন অসুস্থতার কারণে মাঠ ছেড়েছিলেন অভিষেক রামন। এদিন নেমে অর্ধশতরান করেন। সাময়িক ধৈর্যচ্যুতি। বাঁ হাতি স্পিনার অনুকূল রায়ের অফসাইডের অনেকটা বাইরের বলে স্টেপ আউট করে স্টাম্প আউট হন অভিষেক রামন (৬১)। বাংলার নতুন আবিষ্কার অভিষেক পোড়েলও অনবদ্য ব্যাটিং করেন। ৬৮ রান করে সুশান্ত মিশ্রর বোলিংয়ে কট বিহাইন্ড হন।

শতরানকে আরও বড় স্কোরে পরিবর্তিত করতে না পারায় বিরক্ত অনুষ্টুপ। বাংলার অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার বলছেন, ‘বাংলার হয়ে বড় রান করার অনুভূতি সবসময়ই দারুণ। একই সঙ্গে খুবই হতাশ লাগছে শতরানকে আরও বড় স্কোরে পরিবর্তন করতে পারলাম না। পিচ খুবই ভালো। আরও বড় রান করা উচিত ছিল।‘

সতীর্থদেরও প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন অনুষ্টুপ। বলছেন, ‘কেউই উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেনি। দল হিসেবে খুবই ইতিবাচক পারফরম্যান্স হয়েছে। পিচ থেকে পেসাররা সাহায্য পাবে। শৃঙ্খলাবদ্ধ বোলিং করতে পারলে ম্যাচে আমরাই দাপট দেখাব।‘ সুদীপকে নিয়ে আলাদা করে বলছেন, ‘অনবদ্য ব্যাট করেছে। যখন রান পাচ্ছিল না, সকলেই পাশে ছিলাম। ভরসার মর্যাদা রেখেছে।‘ ৫৭৭ রান হলেও এখনই দান ছাড়তে নারাজ বাংলা। তৃতীয় দিন অন্তত লাঞ্চ অবধি ব্যোট করাই লক্ষ্য।

Leave a Reply