Image Credit source: CAB
মিডিয়াম পেসার সায়নশেখর মণ্ডল এবং শাহবাজ আহমেদের সৌজন্যে দারুণ জায়গায় বাংলা। ব্যাট হাতে ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংসের পর ৩ উইকেটও নিলেন সায়ন। বাকি দুটি উইকেট নেন শাহবাজ। বাংলা এগিয়ে ৬৩৪ রানে।
কলকাতা: রঞ্জি ট্রফি কোয়ার্টার (Ranji Trophy) ফাইনালে বিশ্ব রেকর্ড গড়ল বাংলা (Bengal)। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১২৯ বছরের বিশ্ব রেকর্ড (World Record) ভাঙল তারা। ১৮৯৩ সালে অস্ট্রেলিয়ান্সদের সঙ্গে অক্সফোর্ড-কেমব্রিজ বিশ্ব বিদ্যালয়ের ম্যাচে প্রথম ৮ ব্যাটসম্যান সকলেই ৫০-র বেশি রান করেছিলেন। সেই রেকর্ড ছাপিয়ে গেল বাংলা। কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ৭৭৩-৭ স্কোরে প্রথম ইনিংস সমাপ্তি ঘোষণা করে বাংলা। সুদীপ ঘরামির ১৮৬, অনুষ্টুপ মজুমদারের জোড়া শতরানের সঙ্গে নজর কাড়ল লোয়ার অর্ডারও। বাংলার রেকর্ড হওয়া নিয়ে ধাক্কা ছিল তৃতীয় দিনের শুরুতেই। দিনের প্রথম বলেই স্লিপে শাহবাজ আহমেদের ক্যাচ পড়ে। এরপর আর কোনও সুযোগ দেননি বাংলার ব্যাটসম্যানরা। ক্রিজে নামা ৯ জনের নামের পাশেই ৫০-র অধিক স্কোর। জবাবে তৃতীয় দিনের শেষে ঝাড়খণ্ডের স্কোর ১৩৯-৫।
CAB President #AvishekDalmiya‘s message for #TeamBengal after they put up a mammoth total of 773 runs in the first Innings of the #RanjiTrophy quarter final against #Jharkhand.#CAB pic.twitter.com/kB0wXUI8KM
— CABCricket (@CabCricket) June 8, 2022
শেষদিকে বিনোদন আকাশদীপের ব্যাটে। মাত্র ১৮ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। একটিও চার মারেননি। বাংলা ইনিংসে ১৫টির মধ্যে ৮টি ছয় মেরেছেন আকাশদীপ। রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে দ্রুততম অর্ধশতরান জম্মু-কাশ্মীরের বনদীপ সিংয়ের। তিনি ১৫ বলে অর্ধশতরান করেন। দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতক ১৮ বলে। শক্তি সিং, ইউসুফ পাঠানের সঙ্গে এই তালিকায় নাম লেখালেন আকাশদীপও।
ঝাড়খণ্ডের শুরুটা মন্দ হয়নি। শুরুতে জোড়া ক্যাচ মিস হয় বাংলার। দ্রুতই রিকোভারি করে তারা। মিডিয়াম পেসার সায়নশেখর মণ্ডল এবং শাহবাজ আহমেদের সৌজন্যে দারুণ জায়গায় বাংলা। ব্যাট হাতে ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংসের পর ৩ উইকেটও নিলেন সায়ন। বাকি দুটি উইকেট নেন শাহবাজ। বাংলা এগিয়ে ৬৩৪ রানে।
প্রথম তিনদিনের পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত বাংলা শিবির। হেড কোচ অরুণ লাল বলেন, ‘ইনক্রেডিবল পারফরম্যান্স। এর আগে প্রথম আট ব্যাটসম্যানের ৫০-র বেশি রান করার এই রেকর্ড ছিল। আমাদের ন-জন করেছে। আমার তো মনে হয়, দশম ব্যাটসম্যান নামলে সেও করতে পারত।‘তিনটি ক্যাচ মিস নিয়ে অবশ্য চিন্তিত নন কোচ। বলছেন, ‘দুটো ক্যাচ বলা যায়। ওদের জিজ্ঞাসাও করেছিলাম। বলটা খুব জোরে গিয়েছে। রিয়্যাক্ট করার সুযোগই পায়নি। এটা কোনও চিন্তার বিষয় নয় আমাদের কাছে। সবাই খুব ভালো অনুশীলন করছে। বাকি ক্যাচ দুটিও কঠিন ছিল।‘
অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ বলছেন, ‘বিশ্ব রেকর্ড হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সবাই ভালো পারফর্ম করেছে। এটা খুবই ভালো দিক। স্লিপ ফিল্ডিং নিয়ে ভাবছি না। সব কিছু নিখুঁত হতে পারে না। পরিশ্রম করবো, যাতে ভুল না হয়। পাঁচ উইকেট নিয়েছি। কাল দ্রুত অলআউট করতে চাই।‘