বিসিসিআইয়ের ধাঁচে এ বার ফেডারেশনেও কুলিং অফ পিরিয়ড


Image Credit source: TWITTER

একটা বিষয় নিয়েই মতানৈক্য তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক কমিটির সঙ্গে রাজ্য সংস্থাগুলির।

কলকাতা: কয়েক বছর আগে লোধা কমিশনের হাত ধরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) আমূল সংস্কার হয়েছিল। নতুন গঠনতন্ত্র তৈরি করেছিল লোধা কমিশন। ঠিক সেই ধাঁচেই এ বার পরিবর্তন আসতে চলেছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে (AIFF)। রাজ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে আজ বৈঠকে বসে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিত প্রশাসনিক কমিটি। যদিও সেই বৈঠকে ছিলেন না প্রশাসনিক কমিটির অন্যতম সদস্য প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি। দিল্লি ফুটবল ক্লাবের অন্যতম কর্তা রঞ্জিত বাজাজ ছিলেন বৈঠকে। বেশ কয়েকটি নতুন প্রস্তাব এনেছে কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (COA)। তবে একটা বিষয় নিয়েই মতানৈক্য তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক কমিটির সঙ্গে রাজ্য সংস্থাগুলির।

বিসিসিআইয়ের মতো এবার সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনেও আসছে কুলিং অফ পিরিয়ড। টানা ৩টে টার্মে আর কোনও পদাধিকারী থাকতে পারবেন না। ২টো টার্ম অর্থাৎ ৮ বছরের মেয়াদের পরই ৩ বছর কুলিং অফ পিরিয়ডে চলে যেতে হবে। এরপর আবার ৪ বছরের জন্য প্রশাসনিক পদে ফিরতে পারেন সেই কর্তা। ১২ বছরের মেয়াদ ফুরানোর পর আর কোনও ভাবেই প্রশাসনিক পদে আসতে পারবেন না সেই কর্তা। তবে টানা ১২ বছর কেউই একটি নির্দিষ্ট পদে থাকতে পারবেন না। ৮ বছরের পরই যেতে হবে ৩ বছরের কুলিং অফ পিরিয়ডে।

প্রস্তাবে যে বিষয়টা নিয়ে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে, তা হল বয়সসীমা। রঞ্জিত বাজাজসহ অধিকাংশ কর্তাদের দাবি, ৬০ বছর বয়সসীমা বেঁধে দেওয়া হোক। তাঁদের দাবি, যে কোনও সরকারি ক্ষেত্রেই ৬০ বছর পর অবসরে যেতে হয়। প্রশাসনিক কমিটির অন্যতম সদস্য ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, ফেডারেশনের প্রাক্তন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্তরা এটা নিয়ে আপত্তি তোলেন। তাঁদের দাবি, ৬০ থেকে বয়স সীমা বাড়িয়ে ৭০ করা হোক। ফেডারেশন কর্তাদের এই আপত্তিগুলো নোটবুকে তুলে রেখেছেন প্রশাসনিক কমিটির অন্যতম সদস্য তথা প্রাক্তন আইনজীবী অনিল দাভে। উল্লেখ্য, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডেও পদাধিকারীর সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭০ বছর।

এই খবরটিও পড়ুন



২১ তারিখ ভারতে আসছে ফিফার প্রতিনিধি দল। ওইদিনই ফিফার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে প্রশাসনিক কমিটি। তাঁদের মতামত নেওয়ার পরই প্রস্তাবিত খসড়া সুপ্রিম কোর্টে পেশ করবে প্রশাসনিক কমিটি। সূত্রের খবর, ৩০ জুন অথবা জুলাইয়ের প্রথম দিনই সেই প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্রের খসড়া দেশের শীর্ষ আদালতে পেশ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই শুরু হবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া।

Leave a Reply