Image Credit source: IPL
মূল লক্ষ্য বিশ্বকাপ জেতা। এটাই সঠিক সময় ছন্দে ফেরার, মনে করছেন হার্দিক।
কটক: একটা টিভি শো, বেফাঁস মন্তব্য, চোট আঘাত, ফিটনেস সমস্যা। হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya) ‘ফিনিশ’ এমনটাই মনে করেছিলেন অনেকে। গত টি২০ বিশ্বকাপে খেলেছেন। এরপরই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। মূল প্রশ্ন ছিল ফিটনেস নিয়েই। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাব, ব্যক্তিগত অনুশীলন, কঠোর পরিশ্রমের পর হার্দিক ক্রিকেটে ফিরেছেন। তাঁর ফেরাটা রাজকীয় হয়েছে। আইপিএলে (IPL) অভিষেককারী গুজরাত টাইটান্সকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন করেছেন। নিজে অলরাউন্ড পারফর্ম করেছে। এবার দেশের হয়েও সেগুলোই করে দেখাতে চান হার্দিক। জাতীয় দলে তাঁর ভূমিকা বদলালেও, মূল লক্ষ্য একটাই। দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা। তার আগে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa) সিরিজে ভালো কিছু করে দেখাতে চান হার্দিক। বোর্ডের (BCCI) ওয়েবসাইটে নিজের লড়াই, প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে অনেক কিছুই ভাগ করে নিয়েছেন হার্দিক।
ভারতীয় দলের এই অলরাউন্ডার বলছেন, ‘প্রতিটা সিরিজ, ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। শেষ ম্যাচটাও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার কাছে মূল লক্ষ্য বিশ্বকাপ জেতা। এটাই সঠিক সময় ছন্দে ফেরার। এর জন্য নিজেকেও নিজের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমার কাছে এই সিরিজটা দারুণ সুযোগ নিজেকে প্রকাশ করার। এখানে আমার ভূমিকা এক নয়। আমি অধিনায়ক নই বা ব্যাটিং অর্ডারেও উপরের দিকে ব্যাট করার সুযোগ পাব না। ইনিংস গড়ার সুযোগ পাব না। তবে পুরোনো হার্দিক ফিরবে এটুকু বলতে পারি।’
From emotions on making a comeback to #TeamIndia and #TATAIPL triumph to goals for the future. ? ?
DO NOT MISS as @hardikpandya7 discusses this and more. ? ?
Full interview ? ? #INDvSA | @Paytm https://t.co/2q8kGRpyij pic.twitter.com/BS2zvnxbpP
— BCCI (@BCCI) June 11, 2022
জাতীয় দল থেকে বাদ, প্রত্যাবর্তনের মাঝের সময় প্রসঙ্গে বলেন, ‘ইতিবাচক দিনের অপেক্ষা করছি। ভালো কিছু হবেই। আমার ক্ষেত্রে লড়াইটা ছিল নিজের কাছে। সেটায় জিততে পেরেছি। আরও অনেক দিক ছিল। আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া অবশ্যই বড় ব্যাপার। এমনকি, কোয়ালিফায়ার অবধি পৌঁছানোটাও আমার কাছে বিরাট ব্যাপার ছিল। অনেকেই আমাদের দক্ষতা নিয়ে সন্দীহান ছিলেন। অনেকে দল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমার সম্পর্কেও অনেক কিছু বলা হয়েছিল। প্রশ্নও তোলা হয়েছিল। কাউকে জবাব দেওয়াটা লক্ষ্য ছিল না। আমি শুধু একটা প্রক্রিয়া মেনে চলেছি এবং নিজের সঙ্গেই লড়াই করেছি। এই যে দীর্ঘ সময় জাতীয় দলের এবং ক্রিকেটের বাইরে ছিলাম, ফেরার জন্য যেভাবে পরিশ্রম করেছি, তার জন্য গর্বিত। দিনে দু’বেলা অনুশীলন করতাম। রাতে ৯.৩০’র মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তাম। অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয়েছে। সবটাই নিজের সঙ্গে লড়াই জেতার জন্য। আইপিএলে ভালো ফলের পর মনে হয়েছিল, লড়াইটা জিতেছি। আমি শুধু জানি, নিজের জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছি, লড়াই করেছি এবং জিতেছিও। ফল নিয়ে ভাবিনি। হয়তো সে কারণেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও অনেকটা শান্ত ছিলাম।‘