বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সতীর্থদের কোন দামি উপহার দিলেন আর্লিং হালান্ড?


বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সতীর্থদের কোন দামি উপহার দিলেন আর্লিং হালান্ড?

পুরনো দলের সকলে যেন তাঁকে মনে রাখেন, তাই সকলকে চমকে দেওয়ার মতো উপহার দিয়েছেন হালান্ড।

লন্ডন: জার্মান ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ড (Borussia Dortmund) ছেড়ে ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে (Manchester City) যাচ্ছেন আর্লিং হালান্ড (Erling Haaland)। ২১ বছরের হালান্ড ডর্টমুন্ড ছেড়ে নতুন ক্লাবে যোগ দিতে যাওয়ার আগে তাঁর দলের সতীর্থদের ও সদস্যদের ‘গুডবাই গিফ্ট’ দিয়েছেন। বরুশিয়াতে বিদায়বেলায় প্রায় ৫০ লক্ষ পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় ৪ কোটি ৮১ লক্ষ ২২ হাজার ৬৮১টাকা) খরচ করে দলের সতীর্থদের উপহার দিয়েছেন হালান্ড। নরওয়ের এই স্ট্রাইকার জুনের শেষে জার্মান ক্লাব ছেড়ে চবে যাবেন। পুরনো দলের সকলে যেন তাঁকে মনে রাখেন, তাই সকলকে চমকে দেওয়ার মতো উপহার দিয়েছেন হালান্ড।

বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সতীর্থদের কোন দামি উপহার দিয়েছেন আর্লিং হালান্ড?

বিল্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, হালান্ড মোট ৩৩টি রোলেক্সের ঘড়ি কিনেছেন বরুসিয়া দলে তাঁর সতীর্থ ও সাপোর্ট স্টাফদের দেওয়ার জন্য। প্রতিটি ঘড়ির মূল্য প্রায় ১২ হাজার ৭৩০ পাউন্ড করে। ৩৩ টি রোলেক্সের ঘড়ি কিনতে তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ পাউন্ড। তিনি যে ঘড়িগুলো উপহার দিচ্ছেন সেগুলি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। ওই ঘড়ির প্রতিটি বক্সে তিনটি করে ছবি রয়েছে। একটি ছবিতে রয়েছে হালান্ডের জার্সির নম্বর। অন্য পাশের ছবিতে রয়েছে হালান্ডের গোল সেলিব্রেশনের সিগনেচার স্টাইলের ছবি। আর জার্মান বুন্দেশলিগার একটি লোগোও রয়েছে বক্সে। এ ছাড়াও হালান্ডের নামের প্রথম তিন ইংরেজি অক্ষর, অর্থাৎ ‘ইবিএইচ’ও লেখা রয়েছে বক্সে।

পাশাপাশি হালান্ড তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ফ্যানেদের জন্য ফেয়ারওয়েল বার্তাও দিয়েছেন। তিনি তাঁর সকল সমর্থককে তাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। টুইটারে তিনি যে ভিডিও শেয়ার করেছেন তার ক্যাপশনে লিখেছেন, “এই জার্সিটা পরার সম্মান পেয়ে আমি আল্পুত। বরুসিয়াতে, আমি প্রচুর স্মরণীয় মুহূর্ত কাটিয়েছি। বিশেষ মানুষদের সঙ্গে দেখা করেছি। ইয়েলো ওয়ালের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। আমি এই ভালোবাসাটা কখনও ভুলব না। সকলকে ধন্যবাদ।”

হালান্ডের বাবা আলফে লেং হালান্ডও এর আগে খেলেছেন ম্যান সিটির হয়ে। ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত সিটির হয়ে খেলেছেন তিনি। হালান্ড তাঁর ছেলেবেলার একখানা ছবি পোস্ট করেছেন টুইটারে। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘শিগগির আসছি।’ ছেলেবেলার ছবিতে হালান্ড যে জার্সিটি পরেছিলেন, তাতে জার্সি নম্বর ১৫ এবং নামের জায়গায় লেখা ছিল ‘বাবা (DAD)’। তাঁর বাবা আলফে হালান্ড সিটিতে ১৫ নম্বর জার্সিই পরে খেলতেন। এই পোস্ট থেকেই বোঝা যায় সিটিতে যোগ দেওয়ার জন্য উৎসুক রয়েছেন আর্লিং হালান্ড।



Leave a Reply