বিশ্বকাপ জিতে ছেলেবেলার স্বপ্নপূরণ করতে চান বিশ্বের সেরা এই ব্যাটার


Babar Azam: বিশ্বকাপ জিতে ছেলেবেলার স্বপ্নপূরণ করতে চান বিশ্বের সেরা এই ব্যাটার

Image Credit source: Babar Azam Twitter

তিন ফর্ম্যাটেই দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন তিনি। ওয়ান ডে ক্রিকেটে টানা তিনটে সেঞ্চুরি করেছেন সদ্য। এই ছন্দই ধরে রাখতে চান, যাতে বিশ্বকাপ (ICC World Cup) জিততে পারেন।

করাচি: তিন ফর্ম্যাটেই দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন তিনি। ওয়ান ডে ক্রিকেটে টানা তিনটে সেঞ্চুরি করেছেন সদ্য। এই ছন্দই ধরে রাখতে চান, যাতে বিশ্বকাপ (ICC World Cup) জিততে পারেন। পাকিস্তানকে (Pakistan Cricket) যদি বিশ্বকাপ জেতাতে পারেন, তাঁর ছেলেবেলার স্বপ্নপূরণ হবে। অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। আগামী বছর ভারতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। এই দুটোতেই চোখ রেখেছেন বাবর আজম (Babar Azam)। পাক অধিনায়কের সোজা সাপ্টা মন্তব্য, যদি এই দুটো কোনও একটা জিততে পারেন, তা হলে তাঁর অনেক দিনের স্বপ্নপূরণ হবে। এর আগে বাবর ২০১০ ও ২০১২ সালে জুনিয়র বিশ্বকাপ খেলেছেন। তিনি নিজে প্রচুর রান করলেও পাকিস্তান বিশ্বকাপ জিততে পারেননি। সেই আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে এখনও। গত বছর আমিরশাহির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দারুণ শুরু করেও সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছিল পাকিস্তান। সেই আক্ষেপ এ বার মিটিয়ে নিতে চান।

বাবর এই মূহূর্তে ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এক নম্বর ব্যাটার। তাঁর কথায়, ‘আমি নিজের এই দুরন্ত ফর্ম দারুণ ভাবে উপভোগ করছি। তবে এই ফর্ম ধরে রাখার সঙ্গে সঙ্গে আমার লক্ষ্য হল বিশ্বকাপ জেতা। দেড় বছরে দুটো বিশ্বকাপ রয়েছে। এই দুটোই আমি পাকিস্তানের হয়ে জিততে চাই। আর সেটা যদি হয়, ধরে নেব আমার ছন্দে থাকা, রান পাওয়া কাজে লাগল।’

২০১৯ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে দুরন্ত সেঞ্চুরি করলেও পাকিস্তান হেরে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের কাছে। সে বার আর সেমিফাইনালে ওঠা হয়নি বাবরদের। আমিরশাহির টি-টোয়েন্টিতেও ফাইনালে উঠতে পারেননি তাঁরা। এ বার সেই পরিস্থিতি বদলে ফেলতে চাইছেন পাকিস্তান টিমের ক্যাপ্টেন। লাহোরের রাস্তায় ক্রিকেট খেলার সময় থেকেই স্বপ্ন দেখছেন বিশ্বকাপ জেতার। বাবর বলেছেন, ‘স্কুলে পড়ার সময় থেকেই রাস্তায় ক্রিকেট খেলে বড় হয়েছি। তখন থেকে একটাই স্বপ্ন দেখতাম, একদিন পাকিস্তানের হয়ে খেলব, বিশ্বের সেরা ব্যাটার হব, টিমকে বিশ্বকাপ জেতাব।’

২০০৭ সালে লাহোরে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ম্যাচে বলবয়ের ভূমিকায় ছিলেন বাবর। এবি ডে ভিলিয়ার্সকে সামনে থেকে দেখেছিলেন। সেই এবিই ছিলেন তাঁর আইডল। ‘আমি ছোট থেকে এবিডির ভক্ত। ও যে ভাবে ব্যাটিং করত, তা থেকে অনেক কিছু শিখেছি।’

এই খবরটিও পড়ুন



এখনকার ক্রিকেটে অনেক বেশি প্রতিযোগিতা, তা খুব ভালো করে জানেন। প্রস্তুতিতে জোর দিতে হয় যে কারণে। বাবরের মন্তব্য, ‘এখনকার ক্রিকেট ভীষণ কঠিন। প্লেয়ারদের স্কিলও বেড়েছে অনেকটাই। সেই কারণেই দারুণ প্রস্তুতি না থাকলে কিন্তু সাফল্য কঠিন। প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, নিজের উপর আস্থা রাখতে হবে। ব্যাট করতে যাওয়ার সময় ইতিবাচক মনোভাব থাকতে হবে। সেই সঙ্গে রাখতে হবে আগ্রাসী মনোভাবও। আমি সব সময় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জেতার চেষ্টা করি। যখন কেউ রান করে, তখন সারা বিশ্ব তাকে গুরুত্ব দেয়। শুধু তাই নয়, তাকে পারফর্ম করতে দেখে অন্যরাও উদ্দীপ্ত হয়।’

Leave a Reply