Image Credit source: AIFF
মিক্সড জোনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে সুনীলের কপালে স্নেহের চুমু এঁকে দিলেন ভারতীয় দলের কোচ। এ ছবি অনেক কথা বলে দেয়।
কলকাতা: ভারতের ফুটবল ম্যাচ সবে শুরু হয়েছে। শহরজুড়ে ঝোড়ো হাওয়া আর তুমুল বৃষ্টি। স্বস্তির বৃষ্টি নামল শহর কলকাতায়। সেই সঙ্গে স্বস্তি দিল সুনীল ছেত্রীদের (Sunil Chhetri) দাপুটে পারফরম্যান্স। বৃষ্টিমাখা যুবভারতীতে দুরন্ত গোল সুনীলের। ডান পায়ে বল রিসিভ করে বাঁ-পায়ের শটে গোল। যে গোল চোখকে আরাম দিতে বাধ্য। আর এই গোলের সঙ্গেই ফেরেঙ্ক পুসকাসের (Ferenc Puskas) ৮৪ গোলের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন ভারত অধিনায়ক। ম্যাচের পর এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রেকর্ড নিয়ে আমি ভাবি না। দলের জার্সিতে যতদিন খেলব, সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে যাব।’ সুনীল তো সত্যি ভারতীয় ফুটবলের রত্ন। যে রত্নের পা থেকে ১০০ গোল দেখতে চেয়েছেন ইগর স্টিমাচ (Igor Stimac)। মিক্সড জোনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে সুনীলের কপালে স্নেহের চুমু এঁকে দিলেন ভারতীয় দলের কোচ। এ ছবি অনেক কথা বলে দেয়। বাছাই পর্বের খেলা শেষ। মূলপর্ব ২০২৪ সালে। সুনীলের বয়স এখন ৩৭। মূলপর্বে কি তাঁকে খেলতে দেখা যাবে? সুনীলের উত্তর, ‘যতদিন পারব ফুটবল খেলে যাব। অবসর নিয়ে ভাবি না। যখন মনে হবে আর পারছি না, তখন অবসর নেব। তবে আমি থাকি কিংবা না থাকি, এশিয়ান কাপে ভারতকে খেলতে দেখা যাবে।’
টানা ২ বার এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলতে দেখা যাবে ভারতকে। ভারতীয় ফুটবল কি এগোচ্ছে? সুনীলের উত্তর, ‘অবশ্যই। এই ছেলেরা সত্যিই আলাদা। আশা রাখি এশিয়ার শীর্ষ স্তরের দলগুলোর বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার ক্ষমতা এখন ভারতের হয়ে গিয়েছে।’
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন, মঙ্গলবার ভারতের ম্যাচ দেখতে ভিড় জমায় কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা। যুবভারতীতে উপচে পড়ে ভিড়। যে দৃশ্য দেখে আপ্লুত ভারত অধিনায়কও। সুনীল বললেন, ‘ক্লাবের হয়ে যখন খেলতে আসি তখন এই যুবভারতীর দর্শক আমাদের বিরুদ্ধে থাকে। যখন ভারতের জার্সিতে খেলি, সবার সমর্থন আমাদের দিকেই থাকে। যুবভারতীর দর্শকদের ধন্যবাদ, এত বৃষ্টিতেও ওরা গ্যালারি ছেড়ে বেরোয়নি।’ এ দিনও সুনীলকে ছুঁতে গ্যালারি থেকে ঢুকে পড়ে ২ দর্শক। ভারতীয় ফুটবলকে এক অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন ৮৪ গোলের মালিক।
একই সঙ্গে প্রশংসা করেন আনোয়ার আলির। হংকংয়ের বিরুদ্ধে প্রথম গোলটি আসে তাঁর পা থেকেই। অথচ একটা সময় ফুটবল জীবন অন্ধকারে চলে যাচ্ছিল। হৃদযন্ত্রের সমস্যায় পা থেকে বলই চলে যাচ্ছিল। সুনীল বলেন, ‘দুরন্ত ফুটবল উপহার দিল ও। ওর কঠিন সময়ে যারা পাশে দাঁড়িয়েছিল, তাদের ধন্যবাদ দিতে চাই।’ আপাতত এক সপ্তাহ বিশ্রাম। ৭ দিন পর ফের অনুশীলনে নেমে পড়বেন। ক্লাব দলের জার্সিতে এ বার সন্দেশ, লিস্টনদের সঙ্গে লড়াই। ডুরান্ড কাপ খেলতেও মুখিয়ে আছেন সুনীল। আপাতত দু’দিন শহরে আছেন ভারত অধিনায়ক। বুধবার শ্বশুরবাড়িতেও যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। যদিও লাজুক হাসিতেই সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন সুনীল ছেত্রী।