India vs South Africa: রাজকোটে ডিকে-আবেশ ‘রাজ’, সিরিজে সমতা ফেরাল টিম ইন্ডিয়া


রাজকোটে ডিকে-আবেশ ‘রাজ’, সিরিজে সমতা ফেরাল টিম ইন্ডিয়া

প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে চতুর্থ ম্যাচে জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল টিম ইন্ডিয়া।

ভারত ১৬৯-৬ (২০ ওভার)

দক্ষিণ আফ্রিকা ৮৭ (১৬.৫ ওভার)

 

রাজকোট: বয়স সংখ্যা মাত্র। বহু ব্যবহৃত বাক্য। তবু ঘুরে ফিরে লিখতে হয়। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa) ম্যাচে যেমন লিখতে হচ্ছে। একদিকে ৩৭ বছরের দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik), আর অন্যদিকে ২৫ বছরের আবেশ খান (Avesh Khan)। বুড়ো হাড়ে ভেলকি। তরুণ রক্তের বাড়তি তাগিদ, পারফর্ম করার খিদে। এই দুই তারকাই রাজকোটে ‘রাজ’ করলেন। যার ফল গেল টিম ইন্ডিয়ার পক্ষে। ৮২ রানের বড় ব্যবধানে জয়। টানা দ্বিতীয় জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত। সিরিজের গত ৩ টি ম্যাচের মতো এদিনও টস জিতলেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। প্রত্যাশিতভাবেই ঋষভ পন্থদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তোলে ভারত। জবাবে ১৬.৫ ওভারে ৮৭ রানে অল আউট দক্ষিণ আফ্রিকা।

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশে জোড়া পরিবর্তন। ওয়েন পার্নেল এবং কাগিসো রাবাডার পরিবর্তে মার্কো জানসেন ও লুনগি এনগিডি। আন্তর্জাতিক টি ২০ অভিষেক হল জানসেনের। আইপিএলে ভালো পারফর্ম করেছেন সানরাইজার্সে খেলা জানসেন। বিশেষ করে বলতে হয় আরসিবির বিরুদ্ধে ম্যাচের কথা। নিজের প্রথম ওভারে পরপর ফেরান ফাফ ডু প্লেসি এবং বিরাট কোহলিকে এবং শেষ বলে অনুজ রাওয়াতের উইকেট। ম্যাচে আরসিবি মাত্র ৬৮ রানে গুটিয়ে যায়। আন্তর্জাতিক টি ২০ তে প্রথম উইকেট শ্রেয়স আইয়ার। তাঁর শুরুটা মন্দ নয়। ভারতের শুরুটা ভালো হয়নি। পিচ থেকে সিম বোলারদের জন্য সাহায্য ছিল। ৪০-৩ স্কোরে প্রমাদ গুণছিল ভারত। ভরসা দিল হার্দিক-পন্থ এবং হার্দিক-কার্তিক জুটি। বিশেষ করে বলতে হয় দ্বিতীয় জুটির কথা। ৩৩ বলে ৬৫ রান যোগ করে হার্দিক-কার্তিক। শুরুতে পেসারদের সামলাতে সমস্যা হচ্ছিল হার্দিকের। তাবরাইজ শামসির ওভারে আক্রমণ শুরু। হতাশ করলেন পন্থ। বাঁ হাতি স্পিনার কেশব মহারাজের অফস্টাম্পের অনেকটা বাইরের বল তাড়া করে শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচে ফেরেন ঋষভ (১৭)। দীনেশ কার্তিক শুরুতেই রান আউট থেকে বাঁচেন। এরপর হার্দিক-কার্তিক জুটি দিশেহারা করে প্রোটিয়া বোলার, ফিল্ডারদের। অল্পের জন্য অর্ধশতক হাতছাড়া হার্দিকের। তাঁর আপারকাট বাউন্ডারির সামনে দারুণ ক্যাচ নেন শামসি। ৩১ বলে ৪৬ রানে ফেরেন হার্দিক।

কার্তিককে আটকানো যায়নি। ছয় মেরে আন্তর্জাতিক টি-২০ কেরিয়ারে প্রথম অর্ধশতরান করলেন কার্তিক। বৈচিত্রে ভরা শটে ব্যতিব্যস্ত করলেন। বিশেষ করে বলতে হয় কেশব মহারাজের বোলিংয়ে রিভার্স পুল শটের কথা। শর্ট থার্ডম্যানের উপর দিয়ে চার। পেসারকে স্লগ সুইপ! চক্ষু ছানাবড়া করে দেওয়ার মতোই ব্যাটিং কার্তিকের। ২৭ বলে ৫৫ রানের ইনিংসে বিনোদন, দলকে ভরসা সবই দিলেন।

ভুবির বোলিংয়ে বুকে, রান আউট থেকে বাঁচতে ডাইভ, আবেশ খানের বলে কনুইতে চোটে এরপরই মাঠ ছাড়লেন তেম্বা বাভুমা। কুড়ি-বিশের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে সেরা বোলিং করলেন আবেশ। প্রথম তিন ম্যাচে রান আটকাতে সক্ষম হয়েছিলেন। শর্টপিচ, কাটার, স্লোয়ারে অস্বস্তিতে ফেলেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের। এদিন ৪ উইকেট নিলেন। এর মধ্যে তিন উইকেট এল ১৪ তম ওভারে। চাহাল নিলেন ২ উইকেট। ম্যাচের সেরার পুরস্কার কার্তিকের ঝুলিতে।সিরিজ ২-২ হওয়ায় রবিবার বেঙ্গালুরুতে শেষ ম্যাচ ‘ফাইনাল’ হয়ে দাঁড়াল।

 সংক্ষিপ্ত স্কোর : ভারত ১৬৯-৬ (দীনেশ কার্তিক ৫৫, হার্দিক পান্ডিয়া ৪৬ লুনগি এনগিডি ২-২০, অনরিখ নর্টজে ১-২১)। দক্ষিণ আফ্রিকা ১৩১ (রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ২০, কুইন্টন ডি কক ১৪, আবেশ খান ৪-১৮, যুজবেন্দ্র চাহাল ২-২১)।



Leave a Reply