Indian Football: ‘আইপিএলের সূচি দেখে ভারতে ফুটবল ক্যালেন্ডার তৈরি হয়’, তোপ স্টিম্যাচের


ইগর স্টিম্যাচ।

ছবি: টুইটার

স্টিম্যাচ বলেছেন, ‘আইপিএলের সূচি এবং ব্রডকাস্টারদের কথা মেনেই এ দেশে ফুটবল ক্যালেন্ডার তৈরি হয়।’ খুব একটা ভুল কথা বলেননি ইগর স্টিম্যাচ। প্রত্যেক বছরই আইএসএলের সূচি ঠিক করার সময় ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে কথা বলতে হয় এফএসডিএলকে। এমনকি আইপিএলের আগে আইএসএল শেষ করার চাপও দেয় ব্রডকাস্টাররা।

কলকাতা: কিছুতেই থামছেন না ইগর স্টিম্যাচ (Igor Stimach)। ভারতকে এএফসি এশিয়ান কাপের (AFC Asian Cup) মূলপর্বে তুলে একের পর এক বোমা ফাটিয়ে যাচ্ছেন ভারতের ক্রোট কোচ। বাছাই পর্বের ম্যাচের আগেই খাদের কিনারায় দাঁড়িয়েছিলেন স্টিম্যাচ। ব্যর্থ হলেই ছুটি হয়ে যেত। বাছাই পর্বে জয়ের হ্যাটট্রিকের পর এ বার সরব সুনীলদের হেডস্যার। কিছুতেই তাঁকে থামানো যাচ্ছে না। হংকংকে ৪-০ গোলে ওড়ানোর দিনেই ফেডারেশনকে (AIFF) একহাত নিয়েছিলেন। সেপ্টেম্বরেই মেয়াদ ফুরোচ্ছে স্টিম্যাচের। তিনি কি এরপরেও জাতীয় দলের দায়িত্ব থাকবেন? উত্তর অজানা। ফেডারেশনে নতুন কমিটি আসার পরই স্টিম্যাচের ভবিষ্যৎ ঠিক হবে। তবে তার আগেই ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে কার্যত তুলোধনা করছেন ক্রোট কোচ। কয়েক দিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর শর্তাবলী মেনে চললে তবেই সুনীলদের দায়িত্বে থাকবেন। তাঁর কথা শুনেই দেশে লিগ শুরু করতে হবে ফেডারেশনকে। ভারতীয় ফুটবলের সংস্কারের জন্যই এই পরামর্শ দিয়েছেন স্টিম্যাচ। পরিকাঠামো এবং মানসিক দিক দিয়ে এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর চেয়ে ভারত ৮-১০ বছর পিছিয়ে। হংকং ম্যাচ জেতার পরই সেই বোমা ফাটিয়েছিলেন স্টিম্যাচ।

এ বার তিনি আরও এক কদম এগিয়ে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে ফের একহাত নিলেন। স্টিম্যাচ বলেছেন, ‘আইপিএলের সূচি এবং ব্রডকাস্টারদের কথা মেনেই এ দেশে ফুটবল ক্যালেন্ডার তৈরি হয়।’ খুব একটা ভুল কথা বলেননি ইগর স্টিম্যাচ। প্রত্যেক বছরই আইএসএলের সূচি ঠিক করার সময় ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে কথা বলতে হয় এফএসডিএলকে। এমনকি আইপিএলের আগে আইএসএল শেষ করার চাপও দেয় ব্রডকাস্টাররা। আইপিএলের সঙ্গে যাতে আইএসএলের সূচি এক না হয়ে যায়, সে দিকেই মূলত ফোকাস দেওয়া হয়। এ ভাবে কি সত্যিই ভারতীয় ফুটবল এগনো সম্ভব? ভারতে ফুটবলের তুলনায় ক্রিকেট অনেক বেশি জনপ্রিয়।

২০১৯ সালের মে মাসে ভারতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইগর স্টিম্যাচ। তাঁর কোচিংয়ে ওমান, কাতারের মতো দলগুলোর বিরুদ্ধে পাল্লা দিয়ে লড়াই চালিয়েছে ভারত। স্টিম্যাচ এও বলেন, ‘যখন কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন এক ভেবেছিলাম। পরে দেখি অন্য পরিস্থিতি। ক্লাবের হয়ে অনেক ফুটবলাররা বেশ ভালো খেললেও, দেশের জার্সিতে খেলার সময়ই অনেক সমস্যা তৈরি হত। বেশিরভাগই চোট আঘাতে ভুগত। তাই বাধ্য হয়েই নতুন ফুটবলারদের মাঠে নামাতে হত।’ তিনি বলেন, ‘ভারতীয় ফুটবলের প্রতি আমি দায়বদ্ধ। তিন বছরের কঠিন লড়াইয়ের পর আমরা এশিয়ান কাপের মূলপর্বে কোয়ালিফাই করেছি। এশিয়ান কাপের মূলপর্বে এই দল যে অনেক ভালো ফল করতে পারে, সেটা প্রমাণ করে দেখাতে চাই।’

যদিও স্টিম্যাচের ভবিষ্যৎ এখনও ধোঁয়াশায়। নতুন কমিটি আসার পরই তাঁর ভবিষ্যৎ ঠিক করবে। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিত তিন সদস্যের প্রশাসনিক কমিটি এখন ভারতীয় ফুটবলের দায়িত্বে। ফিফার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলার পরই সুপ্রিম কোর্টকে সংবিধানের খসড়া পাঠাবে প্রশাসনিক কমিটি। দেশের শীর্ষ আদালতের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই নতুন ভাবে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র তৈরি হবে।

আরও পড়ুন: Neeraj Chopra: মরসুমের প্রথম সোনা পেয়ে কী বললেন সোনার ছেলে নীরজ চোপড়া?

Leave a Reply