ত্রিপুরায় প্লেয়ার কাম মেন্টর হতে পারেন ঋদ্ধিমান।
ছবি: টুইটার
অভিমানী ঋদ্ধি এ বার বাংলার ছেড়ে ত্রিপুরার পথে। বেশ কয়েকটি রাজ্যের হয়েই খেলার অফার ছিল পাপালির। শোনা যাচ্ছে ত্রিপুরার প্লেয়ার কাম মেন্টর হতে পারেন ঋদ্ধিমান সাহা। খেলার পাশাপাশি সে রাজ্যের ক্রিকেটারদের মানোয়ন্নের কাজেও হাত লাগাতে পারবেন বঙ্গতনয়। ত্রিপুরার ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে এ ব্যাপারে অনেকদূরই কথা হয়েছে ঋদ্ধিমানের।
কলকাতা: বাংলা ছাড়ছেন এটা একপ্রকার নিশ্চিত। সিএবি-র (CAB) এক কর্তায় আঘাত পেয়েছিলেন বাংলার উইকেটকিপার। অভিমানী ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) এরপরই বাংলা ছাড়তে চান। সিএবি-র কাছে এনওসি চেয়ে রেখেছেন আগেই। বাংলার কোচ অরুণ লালের ফোনেও বরফ গলেনি। সিএবি-র পদস্থ এক কর্তা ঋদ্ধিমানের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। দেশের হয়ে ৪০ টেস্ট খেলা ঋদ্ধি স্বাভাবিক ভাবেই ওই কথায় আঘাত পেয়েছিলেন। সিএবি-র সেই কর্তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই নেয়নি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা। বরং কৈফিয়ৎ দিয়েছে, ‘ওই মন্তব্য সিএবি-র নয়।’ বাংলার রঞ্জি দলে ঋদ্ধির না থাকার প্রভাব পড়েছে প্রবল ভাবে। রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছেন অভিমণ্যুরা। যদিও বঙ্গতনয়ের সঙ্গে শুধু রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাই নয়, দেশের ক্রিকেট বোর্ডও বেশ খারাপ আচরণ করেছে। পারফরম্যান্স থাকা সত্ত্বেও জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন। এমনকি গুজরাত টাইটান্সের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে ঋদ্ধির অবদান থাকলেও, জাতীয় দলে কামব্যাক করেছেন দীনেশ কার্তিক।
অভিমানী ঋদ্ধি এ বার বাংলার ছেড়ে ত্রিপুরার পথে। বেশ কয়েকটি রাজ্যের হয়েই খেলার অফার ছিল পাপালির। শোনা যাচ্ছে ত্রিপুরার প্লেয়ার কাম মেন্টর হতে পারেন ঋদ্ধিমান সাহা। খেলার পাশাপাশি সে রাজ্যের ক্রিকেটারদের মানোয়ন্নের কাজেও হাত লাগাতে পারবেন বঙ্গতনয়। ত্রিপুরার ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে এ ব্যাপারে অনেকদূরই কথা হয়েছে ঋদ্ধিমানের।
রঞ্জি ট্রফির শুরুতেই ব্যক্তিগত কারণে বাংলা দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ঋদ্ধিমান। বাবল ক্লান্তি তার মধ্যে একটা অন্যতম প্রধান ফ্যাক্টর ছিল। এরপরই ঋদ্ধিমানের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিএবি-র যুগ্মসচিব। যে কর্তায় স্বাভাবিক ভাবেই বেশ আঘাত পান বাংলার উইকেটকিপার। এ মাসের শেষের দিকে সিএবি-তে গিয়ে এনওসি নিয়ে আসতে পারেন ঋদ্ধিমান। সোমবারই পরিবার নিয়ে শিলিগুড়ি যাওয়ার কথা বাংলার উইকেটকিপারের। বাংলার হয়ে ১২২টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন পাপালি। ২০০৭ সালে বাংলার জার্সিতে তাঁর অভিষেক হয়। সিএবি-র এক কর্তার আলটপকা মন্তব্যের জেরেই আজ ঋদ্ধির মতো রত্নকে হারাচ্ছে বঙ্গক্রিকেট।
আরও পড়ুন: Father’s day 2022: পাপা ক্যাহতে হ্যায়… ছেলেবেলার ‘হিরো’দের শ্রদ্ধায় ক্রীড়াজগত