দীনেশ কার্তিককে কোন বিশেষ ভূমিকার জন্য নেওয়া হয়েছে!


বিধ্বংসী মেজাজে কার্তিক। (ফাইল ছবি)

Image Credit source: BCCI

সিরিজে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইকরেট ছিল কার্তিকেরই, প্রায় ১৫৯। রাজকোটে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে দলের খারাপ পরিস্থিতিতে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে ৩৩ বলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন।

বেঙ্গালুরু: বিশ্বকাপ থেকে আরও একটা বিশ্বকাপ (World Cup)। আলাদা ফরম্যাট। ২০১৯ ওডিআই বিশ্বকাপের পর কার্যত বাতিলের খাতায় দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik)। ধারাভাষ্যেও যোগ দেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। যুক্তরাজ্যের যে চ্যানেলে ধারাভাষ্য দিয়েছিলেন, কার্তিককে ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছিল। দীনেশ কার্তিক নিজেকে বাতিলের খাতায় ফেলেননি। বরং বাড়তি তাগিদ নিয়ে প্রস্তুতি সেরেছেন। জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্নকে আস্তাকুড়োয় ফেলে দেননি। এবারের আইপিএলে (IPL) যেন দীনেশ কার্তিকের নতুন সংস্করণ দেখা গিয়েছে। ১৬ ম্যাচে করেছেন ৩৩০ রান। অর্ধশতক একটি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক, তাঁর স্ট্রাইকরেট। ব়য়্যাল চ্যালেঞ্জার্সে তাঁর ভূমিকা ছিল ফিনিশারের। প্রায় ১৮৪-র স্ট্রাইকরেটে, সেই দায়িত্ব বেশিরভাগ ম্যাচেই পালন করেছেন। ভারতীয় দলে সুযোগও যে বিশেষ ভূমিকায়, পরিষ্কার করে দিলেন হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)।

রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে দীনেশ কার্তিক প্রসঙ্গে রাহুল দ্রাবিড় বলেন, ‘ওকে বিশেষ দক্ষতার জন্যই দলে নেওয়া হয়েছে। গত দু তিন বছর ও যেভাবে পারফর্ম করছে, অনবদ্য। রাজকোটে প্রয়োজনের সময় ওর থেকে যা প্রত্যাশা ছিল, সেটা করে দেখিয়েছে। লড়াই করার মতো স্কোরের জন্য শেষ পাঁচ ওভারে ওরকম পারফরম্যান্সই দরকার ছিল। ও এবং হার্দিক দুর্দান্ত ব্যাট করেছে। সম্ভবত বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটার কার্তিক ও হার্দিক, যারা শেষ পাঁচ ওভার খুব ভালো ভাবে কাজে লাগাতে পারে। কার্তিককে যে কারণে নেওয়া হয়েছে, সেটা করতে দেখাটা ভালো লাগার বিষয়।‘

বয়স সংখ্যা মাত্র বললেও, অনেকেই অবাক হয়েছিলেন ৩৭ বছরের দীনেশ কার্তিক জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই সিরিজে চার ইনিংসে ব্যাট করেছেন কার্তিক। চার ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ ৯২ রান। এর মধ্যে দুই ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন। ব্যাটিং গড় ৪৬। সিরিজে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইকরেট ছিল কার্তিকেরই, প্রায় ১৫৯। রাজকোটে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে দলের খারাপ পরিস্থিতিতে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে ৩৩ বলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিতে কার্তিকের অবদান ছিল ২২ বলে ৪৩ রান। রাজকোটের ম্যাচেই আন্তর্জাতিক টি ২০ কেরিয়ারে প্রথম অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন তিনি। বৈচিত্রে ভরা শট। শেষ অবধি মাত্র ২৭ বলে ৫৫ রান করেন কার্তিক। স্ট্রাইকরেট ২০০-র উপর। রাহুল দ্রাবিড় এবং ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট যে, তাঁকে ফিনিশারের ভূমিকার জন্যই দলে নিয়েছে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। সাংবাদিক সম্মেলনে দ্রাবিড়ের মন্তব্যেও তা পরিষ্কার। সামনের সিরিজগুলিতে সাফল্য পেলে অস্ট্রেলিয়ায় টি ২০ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে দীনেশ কার্তিকের নাম থাকবে, ধরে নেওয়াই যায়।

Leave a Reply