Image Credit source: TWITTER
ফোনে কথা হলেও, এখনও সামনাসামনি কথা হয়নি। তাই দ্রুত এক টেবিলে বসে বিষয়টি ফয়সালা করে দিতে চান ক্লাব কর্তারা।
কলকাতা: গত মঙ্গলবারই ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal) চুক্তিপত্রের খসড়া পাঠিয়েছিল লগ্নিকারী সংস্থা। খসড়া হাতে পাওয়ার বৃহস্পতিবারই নিজেদের আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনায় বসল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। একই সঙ্গে ইমামির কর্তাদের সঙ্গেও চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে কথাবার্তা চালাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। যে যে বিষয়গুলোতে কিছুটা নমনীয় হওয়া সম্ভব সেই সেই বিষয়গুলো লগ্নিকারী সংস্থার কর্তাদের জানান ক্লাব কর্তারা। ফুটবল স্বত্বের ৮০ শতাংশ শেয়ার চেয়েছে ইমামি। সেই শেয়ারের অংশ কিছুটা কমাতে চাইছেন ক্লাব কর্তারা। সূত্রের খবর, ইনভেস্টরের হাতে ৭৬ শতাংশ বা ৭০ শতাংশ শেয়ার দিতে চাইছে ক্লাব। বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে এই বিষয়ে পুরো আলোচনাটাই করছেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট প্রণব দাশগুপ্ত। ফোনে কথা হলেও, এখনও সামনাসামনি কথা হয়নি। তাই দ্রুত এক টেবিলে বসে বিষয়টি ফয়সালা করে দিতে চান ক্লাব কর্তারা। শুক্র অথবা শনিবার ইমামির কর্তাদের সঙ্গে সামনাসামনি এক দফা বৈঠক করতে পারে ক্লাব। সেক্ষেত্রে সামনের সপ্তাহের শুরুতেই হয়তো দুই তরফের মধ্যে চূড়ান্ত স্বাক্ষর হয়ে যেতে পারে।
চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের পাশাপাশি দলগঠনের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ইমামিকে চিঠি পাঠিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ইমামির কর্তা আদিত্য আগারওয়াল বলছেন, ‘চূড়ান্ত সই হওয়ার পরই দলগঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমরা তো চাইছি বিষয়টা দ্রুত মিটিয়ে ফেলতে। ক্লাবের উপরেই এখন বাকিটা নির্ভর করবে।’ ইমামির কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় অবশ্য খুশি ইস্টবেঙ্গল। কর্তারা আশাবাদী, যে এক-দুটো বিষয় নিয়ে তাঁদের দাবি দাওয়া আছে সেই জটও কেটে যাবে।
২ বছর আগে শ্রী সিমেন্টের টার্মশিটে সই করার পর মূল চুক্তিপত্রে সই করেনি ক্লাব। যা নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তর জলঘোলা হয়। তাই আইনী দিকটা সব জেনেই এগোতে চাইছেন কর্তারা। প্রশ্ন হল, দুই তরফের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হলেও সেটা কিসে হবে? প্রাথমিক চুক্তিপত্র নাকি চূড়ান্ত চুক্তিপত্র? আদিত্য আগারওয়াল অবশ্য বলছেন, ‘একেবারে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রেই সই হবে।’ অন্যান্য ক্লাবগুলো দ্রুত দলগঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। ট্রান্সফার উইন্ডো খোলার পর কোনও দলই আর বসে নেই। দ্রুত গাঁটছড়া বেঁধে দলগঠনের প্রক্রিয়া কবে শুরু করবে ইস্টবেঙ্গল, সে দিকেই তাকিয়ে সমর্থকরা।