Image Credit source: Twitter
আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব বেচে ৫০ হাজার কোটি টাকা পকেটে পুরেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সেই বিসিসিআইয়ের কাছে নাকি ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে (Ranji Trophy Final) ডিআরএসের প্রযুক্তি ব্যবহার করার অর্থ নেই!
বেঙ্গালুরু: বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড। সম্প্রতি আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব বেচে হাজার হাজার কোটি টাকা পকেটে পুরেছে বিসিসিআই। যা নিয়ে বোর্ড প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতির খাতে ব্যবহৃত হবে এই অর্থ। অথচ দেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম প্রযুক্তির ব্যবহারে অনীহা বোর্ড কর্তাদের। বোর্ডের এক কর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, ঘরোয়া ক্রিকেটে ডিআরএস সিস্টেমের মতো ‘দামী’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অর্থ ব্যয় করার মানে নেই। বিশ্বের সবচেয়ে রইস ক্রিকেট বোর্ডের কর্তার মুখে এমন কথা শুনে চোখ কপালে উঠেছে ক্রিকেট অনুরাগীদের।
তিন দশক পর রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে উঠেছে মধ্যপ্রদেশ। প্রতিপক্ষ এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল, 41 বারের খেতাব জয়ী মুম্বই। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এইমুহূর্তে চলছে ফাইনালের মহারণ। জয়ী দলের মাথায় উঠবে ভারতসেরার খেতাব। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই ঘটে গিয়েছে ‘বড় ভুল’। স্বপ্নের ফর্মে থাকা মুম্বইয়ের ব্যাটার সরফরাজ খান ফাইনালে দুরন্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। ধুঁকতে থাকা মুম্বই তাঁর হাত ধরেই ম্যাচে ফিরেছে। সেই সরফরাজ মধ্যপ্রদেশের পেসার গৌরব যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হতে হতে বেঁচে গিয়েছেন। মুম্বই ব্যাটারকে গৌরব প্রায় ফাঁদে ফেলেই ফেলেছিলেন। যদিও আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় ‘প্রাণ’ ফিরে পান ২৩ বছরের ব্যাটার। এই সিদ্ধান্ত ফাইনালের ভাগ্যটাই বদলে দিতে পারে।
২০১৯-২০ মরসুমে প্রথমবার রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনাল ডিআরএস সিস্টেমের পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত ব্যবহার করা হয়। তাতে হক আই এবং আল্ট্রা এজের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি ছিল না। যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যবহৃত হয়। রঞ্জিতে ডিআরএসের ব্যবহার কিছুটা বাধ্য হয়েই করতে হয়েছিল বিসিসিআইকে। ২০১৮-১৯ মরসুমের সেমিফাইনালে সৌরাষ্ট্রর ব্যাটার চেতেশ্বর পূজারা দু’বার জীবন ফিরে পেয়েছিলেন। ম্যাচ হেরে যার মূল্য চোকাতে হয়েছিল কর্নাটককে। সেই থেকে শিক্ষা নিয়ে বছর দুয়েক আগে রঞ্জির সেমিফাইনালে ডিআরএসের ব্যবহার করে বিসিসিআই। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো রঞ্জিতে ব্যবহৃত এই প্রযুক্তিতে নেই আলট্রা এজ, স্কিনোমিটার এবং হক আই।
হক আইয়ের জন্য অতিরিক্ত ক্যামেরার প্রয়োজন। একটি ম্যাচে ২টি ক্যামেরার সেটআপের জন্য ৬ হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে। চারটি ক্যামেরার জন্য ১০ হাজার ডলার। সবমিলিয়ে 16 হাজার ডলার অর্থাৎ সাড়ে ১২ লাখ টাকার ধাক্কা। যে অর্থ খরচ করতে রাজি নয় ভারতীয় বোর্ড। বোর্ডের এক কর্তার কথায়, “আম্পায়ারদের উপর আমাদের ভরসা আছে। ডিআরএস ভীষণ দামী প্রযুক্তি। তার পরিবর্তে দেশের দুই সেরা আম্পায়ারের উপর দায়িত্ব সঁপে দিয়েছি।”