১০ বছরের সচিন ৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ের দিন কী ঠিক করেছিলেন জানেন?
আজ, ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের ৩৯ বছর পূর্ণ হয়েছে। সেই উপলক্ষ্যে ভারতের প্রাক্তন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) টুইটারে বার্তা দিয়েছেন।
মুম্বই: ২৫ জুন… ৩৯ বছর আগেকার এই দিনটা টিম ইন্ডিয়ার (Team India) কাছে যতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ভারতের প্রতিটা মানুষের কাছেও এই দিনটা ঠিক ততটাই বিশেষ ছিল। ভারতের হয়ে ১১ জন সেদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে লর্ডসে নামলেও, টিম ইন্ডিয়ার হয়েই খেলছিলেন কোটি কোটি ভারতবাসী। কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন ভারত ১৯৮৩ সালে ক্লাইভ লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দেশকে বিশ্বকাপ (1983 World Cup) এনে দিয়েছিল। সেদিনটা প্রতিটা ভারতীয় ক্রিকেটারের কাছে বিশেষ ছিল। আজ, ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের ৩৯ বছর পূর্ণ হয়েছে। সেই উপলক্ষ্যে ভারতের প্রাক্তন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) টুইটারে বার্তা দিয়েছেন। পাশাপাশি জানিয়েছেন, সেদিনই তিনি ঠিক করেছিলেন ভবিষ্যতে কী করবেন।
দুটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন সচিন। একটি হল, বিশ্বকাপ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কপিল দেব। অপরটি সচিনের নিজের বায়োপিক ‘সচিন এ বিলিয়ন ড্রিমস’ এর একটি ছবি। যেখানে ছেলেবেলায় ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের দিন কেমন সেলিব্রেশন করেছেন খুদে সচিন, তার ঝলক রয়েছে। এই ছবি দুটির ক্যাপশনে সচিন লিখেছিলেন, “জীবনে কিছু কিছু মুহূর্ত থাকে, যেগুলো আপনাকে অনুপ্রেরণা জোগায়। আপনাকে স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করে। ১৯৮৩ সালে আজকের দিনেই আমরা প্রথম বার ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতেছিলাম। আর তখন থেকেই আমি মনে মনে ঠিক করে ফেলেছিলাম, যে আমাকে কী করতে হবে।”
Some moments in life inspire you & make you dream. On this day in 1983, we won the World Cup ? for the first time. I knew right then, that’s what I wanted to do too!? pic.twitter.com/hp305PHepU
— Sachin Tendulkar (@sachin_rt) June 25, 2022
১৯৮৩ সালের ২৫ জুন, লর্ডসে টসে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড ভারতকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান। শুরুতে ব্যাটিং করে ১৮৩ রান তোলে কপিল দেবের ভারত। বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ক্যারিবিয়ানদের টার্গেট ছিল ১৮৪। ৫২ ওভারে ১৪০ রানের মাথায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল আউট করে দেন অমরনাথরা। যার ফলে ৪৩ রানে সেই ম্যাচে জিতে যায় কপিল দেবের ভারত। এবং টিম ইন্ডিয়ার হাতে ওঠে প্রথম বিশ্বকাপ। সচিন তেন্ডুলকরের সেই বিশ্বকাপের সময় বয়স ছিল ১০ বছর। এরপর ৩৮ বছর বয়সে এসে বিশ্বকাপ হাতে পেয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টারও।