একই মাঠে ২৩ বছর আগের কাজ সম্পূর্ণ, আনন্দাশ্রু চন্দ্রকান্ত পন্ডিতের


আবেগতাড়িত মধ্যপ্রদেশ কোচ।

Image Credit source: TWITTER

‘বাবা পারেনি, ছেলে করে দেখাল। আমি যেটা পারিনি, আদিত্য সেটাই করে দেখাল।’

বেঙ্গালুরু : সকলে প্রস্তুতই ছিলেন। রজত পাতিদারের (Rajat Patidar) ব্যাটে উইনিং রান আসতেই, মাঠে দৌড় সতীর্থদের। সেলিব্রেশনের পর সমর্থকদের কথা ভোলেননি। কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে (Chandrakant Pandit) মধ্যমণি করে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ালেন মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেটাররা। মাথা ঝুঁকিয়ে সেলাম করলেন সমর্থকদের। কোচের নির্দেশে মাঠ প্রদক্ষীণ করে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানালেন রজত পাতিদাররা। কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের চোখে জল! কারণটা খোলসা করলেন নিজেই। ২৩ বছর আগের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আনন্দে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন, এমনটাই জানালেন কোচ। কী সেই অসম্পূর্ণ কাজ! ২৩ বছর আগে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। চন্দ্রকান্ত পন্ডিতের নেতৃত্বে রঞ্জি ফাইনালে নেমেছিল মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh)। অধিনায়ক চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত ট্রফি জেতাতে পারেননি। ২৩ বছর পর ফের ফাইনালে উঠেছিল মধ্যপ্রদেশ। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের কোচিংয়ে। এবার চ্যাম্পিয়ন। প্রথমবার রঞ্জি জয় মধ্যপ্রদেশের।

গর্বিত চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত বলছেন, ‘প্লেয়ার-অধিনায়ক হিসেবে মধ্যপ্রদেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারিনি। কোচ হিসেবে পারলাম। তাই একটু আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছি।‘ এরপরই অধিনায়ক আদিত্য শ্রীবাস্তবকে কৃতিত্ব দিয়ে বলেন, ‘কথায় বলে, বাবা পারেনি, ছেলে করে দেখাল। আমি যেটা পারিনি, আদিত্য সেটাই করে দেখাল।‘

কোচ হিসেবে সবমিলিয়ে ষষ্ঠবার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেলেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। গত ছয় বছরে চারবার। এবার মধ্যপ্রদেশকে চ্যাম্পিয়ন করাই কি সেরে অনুভূতি? বলছেন, ‘২৩ বছর আগে এই চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামেই কিছু কাজ যেন অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছিল। সেটা সম্পূর্ণ হল। আপাতত এটাই সেরা মুহূর্ত।‘

পুরো মরসুমেই ধারাবাহিক ভালো খেলার সুফল পেল মধ্যপ্রদেশ। শুভম শর্মা, রজত পাতিদার, কুমার কার্তিকেয় অনবদ্য খেলেছেন। অধিনায়ক আদিত্য শ্রীবাস্তব ব্যাট হাতে ভরসা দিতে পারেননি। রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রাথমিক কারণ কী! কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত বলছেন, ‘আদিত্য শ্রীবাস্তব অনবদ্য অধিনায়ক। রজত, শুভম, অক্ষতরা দারুণ খেলেছেন। আমার মতে, ৫০ শতাংশ কৃতিত্ব অধিনায়কেরই। মাঠে দলটা অধিনায়কই পরচালনা করেন।‘



Leave a Reply