Image Credit source: BCCI
উইকেট নিয়ে স্টেইনের স্টাইলে সেলিব্রেশনও করেন উমরান।
ডাবলিন: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে গতির ঝড় তুলেছেন। সুযোগ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভারত এ দলের হয়ে খেলারও। অবশেষে সিনিয়র দলে অভিষেক দেশের দ্রুততম পেসারের। উমরান মালিক (Umran Malik)। আইপিএলে সানরাইজার্স জার্সিতে নজর কেড়েছেন। ডেল স্টেইনের সান্নিধ্য পেয়ে গতির পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ, লাইন লেন্থেও উন্নতি হয়েছে। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন উমরান। হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় জানিয়েছিলেন, তাঁকে সুযোগ দিতে চান, তবে কতটা সম্ভব নিশ্চিত ছিলেন না। প্রতি ম্যাচের আগেই প্রত্যাশা করা হত, উমরানকে সুযোগ দেওয়া হবে। তবে পাঁচ ম্যাচেই অপরিবর্তিত একাদশ নামানোয় ওয়েটিং লিস্টেই থাকতে হয়েছিল উমরানকে। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি ২০ তে অভিষেক। ৯৮ নম্বর ক্যাপ পেলেন উমরান। তাঁকে অভিষেক ক্যাপ তুলে দেন দলের সিনিয়র পেসার ভুবনেশ্বর কুমার। ১৫ বছর আগে আয়ারল্যান্ডে সাদা বলের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল রোহিত শর্মার (Rohit Sharma)। সাদা বলের ক্রিকেটে রোহিতের কীর্তি অনবদ্য। পেসার উমরানের ভবিষ্যৎ তেমনই উজ্জ্বল হোক, ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা তেমনই।
উমরানের বিশেষ দিনে উচ্ছ্বসিত হতে পারেন জম্মু কাশ্মীরের আরেক ক্রিকেটার আব্দুল সামাদ। তাঁর পাঠানো ভিডিও-র জন্যই উমরানের জীবনে এই বিশেষ দিন। আবদুল সামাদও সানরাইজার্স হায়দরাবাদেই খেলেন। কোভিডের কারণে আরব আমিরশাহীতে অনুষ্ঠিত আইপিএলের আগে টম মুডিকে উমরানের বোলিংয়ের ভিডিও পাঠান সামাদ। সেই ভিডিও দেখেই উমরানকে দলে নেয় সানরাইজার্স। তাঁকে প্রস্তুতির সুযোগ দেয়। আইপিএলের পঞ্চদশ সংস্করণে পরিণত এক উমরানকে পাওয়া যায়। সৌজন্যে কিংবদন্তি পেসার ডেল স্টেইন। হায়দরাবাদের বোলিং কোচ উমরানকে আরও ধারালো করেন। প্রচন্ড গতি ছিলই উমরানের। সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ, সঠিক লাইন লেন্থের পাঠ দেন স্টেইন। উইকেট নিয়ে স্টেইনের স্টাইলে সেলিব্রেশনও করেন উমরান। ১৫০ কিমি/ঘণ্টায় বোলিং করা উমরানের সহজাত। কিন্তু এই স্পিডে ইয়র্কার দিলে! বিশ্বের যো কোনও ব্যাটসম্যান সমস্যায় পড়বেন। আইপিএলে সেটাই দেখা গিয়েছে। বোলিংয়ে বৈচিত্র এসেছে। পঞ্চদশ আইপিএলে ২০টির বেশি উইকেট নিয়েছেন উমরান। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে নজর কাড়লে সামনে আরও মহড়া। ধারাবাহিকতা দেখাতে পারলে অস্ট্রেলিয়ায় টি ২০ বিশ্বকাপের দলেও সুযোগ মিলতে পারে উমরানের। অস্ট্রেলিয়ার পেস এবং বাউন্সি পিচে তাঁর ১৫০ কিমি/ঘণ্টারও বেশি গতিতে বোলিং, ভারতকে বাড়তি সুবিধা দিতেই পারে।