Image Credit source: TWITTER
নিজের ছেড়ে যাওয়া পদে ফিরবেন বিরাট! তাঁকে নেতৃত্বের অনুরোধ জানানো হবে কী না সেটাও প্রশ্ন। আর অনুরোধ করা হলেও, বিরাট রাজি হবেন কী না সেটা আরও বড় প্রশ্ন।
বার্মিংহাম: রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) না খেলতে পারলে…। শনিবার ভোর রাতে বোর্ডের তরফে ই-মেলে জানানো হয়, রোহিত শর্মার কোভিড ধরা পড়েছে। হোটেলে আইসোলেশনে রয়েছেন রোহিত। রবিবার আরও একবার পরীক্ষা করার কথা ছিল রোহিতের। সেই তথ্য এখনও আসেনি। এজবাস্টন টেস্টে নেতৃত্ব কে দেবেন! গত টেস্ট সিরিজের অংশ এজবাস্টন টেস্ট। ভারত এগিয়ে ২-১ ব্যবধানে। গত সফরে অধিনায়ক ছিলেন বিরাট কোহলি। তাঁর নেতৃত্বেই এগিয়ে থাকা। গত এক বছরে সবকিছুই প্রায় বদলে গিয়েছে। টি ২০ থেকে নিজে নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন বিরাট, ওডিআই থেকে তাঁকে সরিয়ে দেয় বোর্ড। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজের পর এই ফরম্যাটেও নেতৃত্ব ছাড়েন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)।
এজবাস্টনে একান্তই রোহিত খেলতে না পারলে, নেতৃত্বের বিষয়ে ভাবা হতে পারে জসপ্রীত বুমরা এবং ঋষভ পন্থের কথা। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিন ম্যাচের সিরিজে দ্বিতীয় টেস্টে খেলেননি বিরাট। জোহানেসবার্গে সেই টেস্টে নেতৃত্ব দেন লোকেশ রাহুল। জসপ্রীত বুমরা সহ অধিনায়ক ছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে প্রথমবার এই ফরম্যাটে নেতৃত্ব দেন রোহিত। তাঁর ডেপুটি ছিলেন বুমরা। গত এক বছরে সব ফরম্যাট মিলিয়ে অনেককেই অধিনায়ক এবং ডেপুটি করা হয়েছে। যদিও এজবাস্টন টেস্টের জন্য সরকারিভাবে কাউকেই সহ অধিনায়ক বাছা হয়নি। সে কারণেই জোরালো প্রশ্ন, রোহিত না খেলতে পারলে কে! জসপ্রীত বুমরী এবং ঋষভ পন্থের মধ্যে কোনও একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হবে! ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের সুযোগ। এমন পরিস্থিতিতে অনভিজ্ঞ কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে!
তেমন না হলে, ভরসা হতে পারেন বিরাট কোহলি। কিন্তু নিজের ছেড়ে যাওয়া পদে ফিরবেন বিরাট! তাঁকে নেতৃত্বের অনুরোধ জানানো হবে কী না সেটাও প্রশ্ন। আর অনুরোধ করা হলেও, বিরাট মানবেন কী না সেটা আরও বড় প্রশ্ন। এর পেছনে কারণ, বোর্ডের সঙ্গে বিরাটের সম্পর্কের অবনতি। শুরুটা হয়েছিল অনিল কুম্বলের সময়ে। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর কোচের পদ থেকে কুম্বলেকে সরতে হয়েছিল অধিনায়ক বিরাটের অপছন্দের কারণেই। সে সময় বিরাটকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন বোর্ডের ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি বোর্ড সভাপতি। এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে আরও একবার বিতর্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়। বোর্ড সভাপতি একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, বিরাটকে টি ২০-র নেতৃত্ব ছাড়তে বারণ করা হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে রওনা হওয়ার দিন বিরাট সাংবাদিক সম্মেলনে পাল্টা দাবি করেন, পুরো বিষয়টিই মিথ্যে, তাঁকে কেও বারণ করেনি, সিদ্ধান্তকে ভালোভাবেই নিয়েছিলেন বোর্ড কর্তারা এবং ওডিআই নেতৃত্ব থেকে সরানোর দেড় ঘণ্টা আগে তাঁকে জানিয়েছেন নির্বাচকপ্রধান। বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরেই টেস্ট থেকেও নেতৃত্ব ছাড়েন বিরাট। এজবাস্টন টেস্টের আগে নেতৃত্ব নিয়ে বিরাট মাথাব্যথা ভারতের।