Image Credit source: TWITTER
দেশের ৩৬তম টেস্ট অধিনায়ক হলেন বুমরা
বার্মিংহাম: পেসারদের কি নেতৃত্বের মস্তিষ্ক থাকে না? না কি, ভারতীয়রা মনে করেন ব্যাটাররাই শুধু নেতৃত্ব দিতে পারেন! কারণ যাই হোক, এমন রীতিই চলে আসছে। কপিল দেবের পর কোনও পেসার টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দেননি। বোলারদের মধ্যে শেষবার অনিল কুম্বলে। কপিল দেবের পাশে এবার নাম লেখালেন জসপ্রীত বুমরা। ৩৫ বছর পর কোনও পেসার ভারতকে টেস্টে নেতৃত্ব দেবেন। আজ ভারতীয় দলের ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল। সাংবাদিক সম্মেলনের আগে কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে পিচ দেখতে যান জসপ্রীত বুমরা। এর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায়, এজবাস্টনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বুমরাই। আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে অবশ্য নেতৃত্ব প্রসঙ্গে কিছু খোলসা করেননি কোচ রাহুল দ্রাবিড়। রোহিতের জন্য অপেক্ষা করা হবে বলেই জানিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ আগেই বোর্ডের তরফে নিশ্চিত করা হয়, বুমরাই অধিনায়ক। সহ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ।
বোলার হিসেবে টেস্ট রেকর্ড অনবদ্য বুমরার। সংক্ষিপ্ত টেস্ট কেরিয়ারে, ২৯ ম্যাচে ১২৩ উইকেট নিয়েছেন বুমরা। গড় মাত্র ২১.৭৩। সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৬-২৭। জামাইকায় এই ইনিংসে হ্যাটট্রিকও করেছিলেন বুমরা। ধীরে ধীরে ব্যাটিংয়েও উন্নতি করেছেন বুমরা। গত ইংল্যান্ড সফরে লর্ডস টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে মহম্মদ সামির সঙ্গে ৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছিলেন। এবার দেশের ৩৬তম টেস্ট অধিনায়ক হলেন বুমরা।
রোহিত শর্মা কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই জল্পনা চলছিল। গত এক বছর ভারতীয় ক্রিকেটে নেতৃত্বে ব্যাপক পালাবদল হয়েছে। সব ফরম্যাট মিলিয়ে সাতজন দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিরাট কোহলি, আজিঙ্ক রাহানে, শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, ঋষভ পন্থ, হার্দিক পান্ডিয়া। তালিকায় নতুন সংযোজন জসপ্রীত বুমরা। এবার ইংল্যান্ড সিরিজে মাত্র একটা টেস্ট। গত সফরে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে খেলেছিল ভারত। সিরিজে এগিয়ে ২-১ ব্যবধানে। একটি মাত্র টেস্টের কারণেই সরকারিভাবে কাউকে সহ অধিনায়ক করা হয়নি। গত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে রোহিত শর্মা চোটের কারণে না যেতে পারায় ওডিআই সিরিজে লোকেশ রাহুলের ডেপুটি ছিলেন জসপ্রীত বুমরা। জোহানেসবার্গ টেস্টে বিরাট কোহলির অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিয়েছিল লোকেশ রাহুল। ডেপুটি ছিলেন জসপ্রীত বুমরা। তেমনই বেশ কিছু সিরিজে সহ অধিনায়ক এবং সম্প্রতি ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি ২০ সিরিজে নেতৃত্ব দেন ঋষভ পন্থ। রোহিত শর্মার কোভিড এবং লোকেশ রাহুলের অনুপস্থিতিতে এজবাস্টনে জসপ্রীত বুমরা এবং ঋষভ পন্থেক মধ্যেই কাউকে বেছে নেওয়া হত।
সম্ভাবনা আরেকটাও ছিল। বিরাট কোহলির নেতৃত্বেই যেহেতু সিরিজে এগিয়ে থাকা, সিরিজ সম্পূর্ণ করার জন্য বিরাট কোহলিকেও নেতা করা যেত। গত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ২-১ ব্যবধানে হাররে পর দীর্ঘতম ফরম্যাটেও নেতৃত্ব ছাড়েন। বোর্ডের পক্ষ থেকে তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছিল কী না, স্পষ্ট নয়। অনুরোধ করা হলেও বিরাট রাজি হতেন, এমনটাও নয়।