Image Credit source: Twitter
এ বারের বিশ্বকাপে অফসাইড (offside) নিয়ম প্রয়োগে নতুন প্রযুক্তি আনল ফিফা (FIFA)।
কাতার: কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup) নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। এ বারের বিশ্বকাপে অফসাইড (offside) নিয়ম প্রয়োগে নতুন প্রযুক্তি আনল ফিফা (FIFA)। কাতার বিশ্বকাপের বলে লাগানো থাকবে এক ধরণের বিশেষ সেন্সর। গত দুটি বিশ্বকাপে ফিফা বিশেষ প্রযুক্তি নিয়ে এসেছিল। ২০১৪ বিশ্বকাপে গোল-লাইন প্রযুক্তি এবং ২০১৮ বিশ্বকাপে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি প্রযুক্তি এনেছিল। বর্তমানে ভিএআর প্রযুক্তি অফসাইড জানাতে যে সময়টা নিত, এই নতুন প্রযুক্তিতে অনেক তাড়াতাড়ি সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
কীভাবে কাজ করবে এই সেমি-অটোমেটেড অফসাইড টেকনোলজি?
কাতার বিশ্বকাপের বল তৈরি করছে অ্যাডিডাস সংস্থা। তাদের তৈরি প্রতিটি বলের মধ্যেই থাকবে ছোট্ট চিপ। এ ছাড়া আলাদা করে ১২টি ট্র্যাকিং ক্যামেরা থাকবে প্রতিটি স্টেডিয়ামের ছাদে। পাশাপাশি প্রতিটি খেলোয়াড়ের শরীরের ২৯টি ডেটা পয়েন্ট ট্র্যাক করবে ওই চিপ। আর সেটি হবে প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার। এরপর সেই ডেটাটি কাজে লাগিয়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (AI) মাধ্যমে একটি থ্রিডি অফসাইড লাইন তৈরি করা হবে, যা ভিএআর অফিশিয়ালদের কাছে পৌঁছে যাবে। এর ফলে নিখুঁতভাবে অফসাইডের বিচার করা সম্ভব হবে। এবং ভিএআরে (VAR) সিদ্ধান্ত নেওয়াটা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
Semi-automated offside technology to be used at FIFA World Cup 2022™. System provides an automated offside alert to the video match officials team. 3D animation improves communication to in-stadium fans and television viewers.
? https://t.co/sSWofZErPK#FootballTechnology pic.twitter.com/D1e0ZrBvVb— FIFA Media (@fifamedia) July 1, 2022
ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এ ব্যাপারে বলেন, “সেমি-অটোমেটেড অফসাইড টেকনোলজি ভার সিস্টেমের একটি বিবর্তন, যা সারা বিশ্বে প্রয়োগ করা হয়েছে। তিন বছরের গবেষণা এবং বিভিন্ন পরীক্ষার পর এই প্রযুক্তি চালু করা হল, যাতে কাতারে (বিশ্বকাপে) দল, খেলোয়াড় এবং দর্শকেরা সেরাটা পান। প্রযুক্তির সহায়তায় ফুটবলের সকল স্তরে উন্নতি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ফিফা। ২০২২ বিশ্বকাপে আধা স্বয়ংক্রিয় অফসাইড প্রযুক্তি ব্যবহার করাটা তারই প্রমাণ।’