Image Credit source: TWITTER
রেকর্ড রান তাড়া করে জিততে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন আর মাত্র ১১৯ রান।
বার্মিংহাম: একটা উইকেটের প্রত্যাশায়। ২২ তম ওভারে প্রথম সাফল্য এল ভারতীয় শিবিরে। বোর্ডে ৩৭৭ রান। কিন্তু ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি তাতেও স্বস্তি দেয়নি। ইংল্য়ান্ডের মাটিতে সর্বাধিক ৩৫৯ রান তাড়া করে জেতার নজির রয়েছে। যদিও ব্রেন্ডন ম্যাকালাম এবং বেন স্টোকস জুটির বর্তমান দল যে কোনও রান নিয়েই ভয়ঙ্কর। এর আগের তিনটি ম্যাচে তারা প্রায় ৩০০ রান তাড়া করে সহজেই জিতেছে। সেখানে ৩৭৮ রানের লক্ষ্য তাদের জন্য অসম্ভব নয়। তার উপর শতরানের জুটি অ্যালেক্স লিস এবং জ্যাক ক্রলির। শেষবার গত বছর ইংল্য়ান্ডের হয়ে শতরানের জুটি গড়েছিলেন হাসিব হামিদ এবং ররি বার্নস। এদিন ১০৭ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙল। ইংল্যান্ড শিবিরে প্রথম ধাক্কা ভারত অধিনায়ক জসপ্রীত বুমরার। সেনা কান্ট্রি অর্থাৎ সাউথ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় একশো টেস্ট উইকেটের মাইলফলকে জসপ্রীত। কিন্তু দিনের শেষে হাসি মুখে মাঠ ছাড়তে পারল না ভারত। চতুর্থ দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ২৫৯-৩। ক্রিজে জনি বেয়ারস্টো (Jonny Bairstow) এবং জো রুট (Joe Root)। রেকর্ড রান তাড়া করে জিততে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন আর মাত্র ১১৯ রান। ভারতকে এখান থেকে সিরিজ জেতাতে পারে ৭ টি ম্যাজিক ডেলিভারি কিংবা বৃষ্টি।
সিরিজে ২-১ এগিয়ে ভারত। গত বছর ওভাল টেস্টে ভারতের দেওয়া ৩৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শতরানের ওপেনিং জুটি গড়েছিল ইংল্যান্ড। এরপর তারা অলআউট হয় ২১০ রানে! এজবাস্টনেও এমন কিছুর প্রত্যাশায় ছিল ভারতীয় শিবির। চায়ের আগে বল পরিবর্জন করা হয়। তারপরই উইকেট। চায়ের বিরতির পর প্রথম বলেই উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরা। জাডেজা আক্রমণে আসতে তাল কেটেছিল ইংল্যান্ডের। অ্যালেক্স লিসকে স্লেজিংয়ে লাগাতার বিব্রত করছিলেন বিরাট। জাডেজার ওভারে লিসের ব্য়াটের কানায় বল লেগে স্কোয়ার লেগে। রুটের কলে ভরসা হয়নি লিসের। বল খুঁজছিলেন। সামি বল ধরে বোলিং প্রান্তে জাডেজাকে অনবদ্য থ্রো করেন। রান আউট হয়ে ফেরেন লিস। ইংল্যান্ড ১১০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায়। রুট-বেয়ারস্টো জুটিকে চাপে রাখতে এক প্রান্ত থেকে দীর্ঘ স্পেল করেন জাডেজা। উল্টো প্রান্তে ঘুরে ফিরে সামি-বুমরা। সিরাজ আক্রমণে এসে উইকেটের পরিস্থিতি তৈরি করেন। সেকেন্ড স্লিপে (ওয়াইড) বেয়ারস্টোর ক্যাচ ফেলেন হনুমা বিহারি। টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায় সেটাই। রুট-বেয়ারস্টো অর্ধশতরান করে ১৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ক্রিজে রয়েছেন।
ইংল্যান্ডকে চাপে রাখতে হলে অন্তত ৪৫০-র লক্ষ্য দিতে হত। সেটা করতে পারেননি ভারতীয় ব্যাটাররা। তৃতীয় দিনের শেষে ২৫৭ রানের লিড ছিল। এদিন বাকি ৭ উইকেটে মাত্র ১২০ রান যোগ করে ভারত। পূজারা দিনের শুরুতেই কাট শট খেলতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচে ফেরেন। বাঁ হাতি স্পিনার জ্যাক লিচের বোলিংয়ে রিভার্স সুইপের চেষ্টা স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ঋষভ। ইংল্যান্ডের শর্ট বল থিয়োরির ফাঁদে পা দিয়ে উইকেট হারান শ্রেয়স, শার্দূলরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত প্রথম ইনিংস ৪১৬। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ২৮৪। ভারত দ্বিতীয় ইনিংস ২৪৫। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস ২৫৯-৩ (জো রুট ৭৬ অপরাজিত, জনি বেয়ারস্টো ৭২ অপরাজিত, জসপ্রীত বুমরা ২-৫৩)। স্কোর অসম্পূর্ণ।