Image Credit source: TWITTER
মাঝে মাঝে অবশ্য এমন শট খেলে, সকলের রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। এখন আমাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।
বার্মিংহাম: প্রথম ইনিংসে লিড। প্রতিপক্ষকে ৩৭৮ রানের বড় লক্ষ্য দেওয়া। তারপরও হার। গত দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। কেপটাউনে রেকর্ড রান তাড়া করে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার ইংল্য়ান্ড (England)। এজবাস্টনে শেষ দুদিনেই হেরেছেন, এমনটাই মনে করছেন ভারতের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল দ্রাবিড় বলেন, ‘অবশ্যই ম্য়াচের তিন দিন আমাদের নিয়ন্ত্রণ ছিল। সম্ভবত গতকাল আমরা ভালো ব্য়াটিং করিনি। হয়তো,চতুর্থ ইনিংসে বোলিংয়েও একইরকম তাগিদ ছিল না। ইংল্য়ান্ডকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। ওরা খুবই ভাল খেলেছে। জো রুট- জনি বেয়ারস্টোর জুটি খুবই ভাল হয়েছে। আমরা দু একটা সুযোগও পেয়েছিলাম। হয়তো, আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। কখনও কখনও প্রতিপক্ষকেও কৃতিত্ব দিতে হয়। রুট-বেয়ারস্টো অনবদ্য খেলেছে।’
এই টেস্টে হার নিয়ে পর্যালোচনা কবে করবেন! গম্ভীর মুহূর্তেও হেসে ফেললেন দ্রাবিড়। বলছেন, ‘এত ক্রিকেট হচ্ছে, আলোচনার সময়ই নেই। দুদিন পর অন্যকিছু নিয়ে কথা বলতে হবে। তবে অবশ্যই ভাবব। হার-জিত, প্রতিটা ম্যাচেই কিছু না কিছু শেখার থাকে। কেন আমরা, তৃতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাটিং করতে পারছি না। কিংবা চতুর্থ ইনিংসে উইকেট নিতে ব্যর্থ হচ্ছি, সেটা নিয়ে ভাবতেই হবে।’ দ্বিতীয় স্পিনার খেলালেও কোনও পার্থক্য হত না বলেই দাবি রাহুল দ্রাবিড়ের। বলছেন, ‘অশ্বিনের মতো স্পিনারকে বাইরে রাখা সহজ নয়। কিন্তু প্রথম দিন পিচ দেখার পর মনে হয়েছিল, পেসারদের জন্য সাহায্য রয়েছে। পিচে ঘাস ছিল। এমনকি পঞ্চম দিনেও কিন্তু স্পিনারদের জন্য কোনও সাহায্য নজরে পড়েনি। উইকেটে চিড় ধরেনি। দ্বিতীয় স্পিনার খেলিয়ে লাভ হত না। প্রথম দিন থেকে অনেক গুলো টার্নিং পয়েন্ট রয়েছে ম্যাচে। ব্যাটার, বোলার কাউকে দোষ দিচ্ছি না। তবে গুরুত্বপূর্ণ সময় গুলোতে প্রতিপক্ষ ভাল খেলেছে।
এই ম্য়াচ থেকে ঋষভ পন্থ প্রাপ্তি বলেও মনে করেন রাহুল। কেপটাউনেও অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন। এজবাস্টনে দুই ইনিংস মিলিয়ে ২০৩ রান। ঋষভকে প্রশংসায় ভরিয়ে রাহুল জানালেন, ‘কেপটাউন এবং এখানেই শুধু নয়, টেস্টে দারুণ খেলছে ঋষভ। মাঝে মাঝে অবশ্য এমন শট খেলে, সকলের রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। এখন আমাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। ও এভাবেই খেলুক। আমরা ওকে এভাবেই গ্রহণ করতে চাই।’