Image Credit source: TWITTER
জোরাল হাসিতে যোগ করেন, ‘টয়লেট ব্রেকটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।’
লন্ডন : দু সেট পিছিয়ে। কুছ পরোয়া নেহি। কারণ, তাঁর নাম নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic)। ২০ টি গ্র্যান্ড স্লাম বিজয়ী। উইম্বলডনে (Wimbledon) গতবারের চ্যাম্পিয়ন। জানিক সিনার (Jannik Sinner) ভাল এস মারতে পারেন। কিন্তু নোভাককে পাঁচ সেটে নিয়ে হারানো কঠিন। গতবারের চ্যাম্পিয়ন তথা প্রতিযোগিতার শীর্ষ বাছাই নোভাক জকোভিচ অনবদ্য প্রত্যাবর্তন করলেন। প্রথম দু সেটে নোভাক পিছিয়ে ছিলেন ৫-৭, ২-৬ ব্যবধানে। এরপরই ব্রেক নেন নোভাক। কোর্টে ফিরলেন, ম্যাচেও। বাকি তিন সেট হেলায় হারালেন জানিক সিনারকে। ম্য়াচের ফল নোভাকের পক্ষে ৫-৭, ২-৬, ৬-৩, ৬-২, ৬-২। টানা চতুর্থ উইম্বলডন জয়ের লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন জকোভিচ। ম্য়াচের টার্নিং পয়েন্ট! নোভাক জানালেন সেই বিরতির কথা।
ম্যাচ শেষে কোর্টে ইন্টারভিউতে নোভাক বলেন, ‘বাকি তিন সেটের তুলনায় প্রথম দু সেটে যেন আলাদা ম্যাচ ছিল। প্রথম দু সেটে ও ভাল প্লেয়ার ছিল। আমি টয়লেট ব্রেকে কিছুক্ষণের জন্য কোর্টের বাইরে যাই। তরতাজা হয়ে ফিরি। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে কিছু পেপ টক দিই। এটাই সত্যি।’ আরও বলেন, ‘কখনও ইতিবাচক কিছু না হলে, এই বিষয় গুলো খুব জরুরি। একটা ছোট্ট বিরতি, নিজেকে নতুন করে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। আমি ভাগ্যবান, তৃতীয় সেট খুব ভালোভাবে শুরু করতে পেরেছি। ওর সার্ভিস ব্রেক করি। সেখানেই আত্মবিশ্বাস বাড়ে। ওর খেলার মধ্যে দ্বিধা তৈরি হয়। আমার অভিজ্ঞতা চাপের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে।’ এরপরই জোরাল হাসিতে যোগ করেন, ‘টয়লেট ব্রেকটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।’
সেমিফাইনালে নোভাকের প্রতিপক্ষ ক্যামেরন নরি। কোয়ার্টার ফাইনালে ডেভিড গফিনকে পাঁচ সেটের ম্যাচে হারান নরি। প্রতিটা সেটের জন্য লড়তে হয়েছে। শেষ অবধি জয় ৩-৬, ৭-৫, ২-৬, ৬-৩, ৭-৫’এ। কেরিয়ারে প্রথমবার কোনও গ্র্যান্ড স্লামের সেমিফাইনালে উঠলেন ক্য়ামেরন নরি।