উইম্বলডনে উদ্ভট ঘটনা, ১ দিনে ২৭টি দই খাচ্ছেন এক কোচ!!!
চলতি বছরের তৃতীয় গ্ল্যান্ড স্লামে উঠে এসেছে এক উদ্ভট ঘটনার খবর। সেটি খাবারকেই কেন্দ্র করে।
লন্ডন: অল ইংল্যান্ড ক্লাবে চলছে টেনিসের (Tennis) মহোৎসব। এ বারের উইম্বলডনে (Wimbledon) নেই পয়েন্ট সিস্টেম। অর্থাৎ বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্লামে খেলে কোনও পয়েন্ট পাবেন না প্লেয়াররা। কিন্তু তাও ঘাসের কোর্টের উৎসব জৌলুস হারায়নি। রাফা-নাদালদের নিয়ে বেশ রমরমিয়ে এগিয়ে চলেছে এই টুর্নামেন্ট। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আক্রমণের ফলে এ বারের উইম্বলডনে খেলতে পারছেন না রাশিয়া এবং বেলারুশের টেনিস প্লেয়াররা। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ফলেই এ বারের উইম্বলডনে নেই পয়েন্ট সিস্টেম। কিন্তু পয়েন্ট সিস্টেম নেই বলে অন্য সিস্টেম থাকবে না তা তো নয়! এ বারের উইম্বলডনে অংশ নেওয়া প্রতিটি প্লেয়ারদের দৈনিক খাদ্যের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৯০ পাউন্ড। এবং তাঁদের কোচেদের দৈনিক খাদ্যের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৪৫ পাউন্ড করে। তবে এক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশিকা নেই যে প্লেয়াররা ও তাঁদের কোচেরা কীভাবে এই বরাদ্দ অর্থ ব্যবহার করবে। তবে চলতি বছরের তৃতীয় গ্ল্যান্ড স্লামে উঠে এসেছে এক উদ্ভট ঘটনার খবর। সেটি খাবারকেই কেন্দ্র করে।
অল ইংল্যান্ড ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছে, একজন কোচ তাঁর দৈনিক খাদ্য ভাতা ব্যবহার করার জন্য ২৭টি প্রোবায়োটিক দই (yoghurt) নিজের মেনুতে রেখেছেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই, উইম্বলডনের তরফে একটি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অল ইংল্যান্ড ক্লাবের পক্ষ থেকে সমস্ত খেলোয়াড়দের তাঁদের দৈনিক খাদ্যের জন্য বরাদ্দ অর্থ ব্যবহার করার সময় আরও ‘বিবেচক’ হতে বলা হয়েছে। এই মর্মে তাঁদের একটি মেইলও পাঠানো হয়েছে। এবং তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, অপ্রয়োজনীয়ভাবে তাঁরা যেন এই অর্থ ব্যয় না করে।
উইম্বলডনের এক নিকট সূত্র বলেন, “প্রত্যেক খেলোয়াড় এবং তাঁদের কোচেরা প্রতিদিন খাদ্যের জন্য একটি বরাদ্দ পরিমাণ অর্থ পান। তাই প্রত্যেকে তাঁদের প্রাপ্ত অর্থের পুরোটাই ব্যবহার করতে চান।”
এ বারের উইম্বলডনে অংশ নেওয়া প্লেয়ার এবং তাঁদের কোচিং স্টাফরা তাঁদের বরাদ্দ অর্থ ছয়টি আলাদা আউটলেটে খরচ করতে পারেন। যার মধ্যে দুটি কফি শপ, দুটি স্যান্ডউইচ আউটলেট এবং দুটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। কোচ এবং খেলোয়াড়দের মেনুতে রাখা হয়নি অ্যালকোহল। অল ইংল্যান্ড টেনিস ক্লাবের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ইংল্যান্ডের জীবনযাত্রার মানের সঙ্গে মানিয়ে চলতে অনেকটাই খরচ হয়। কিন্তু তার সঙ্গে প্লেয়ারদের যে মেইলটি পাঠানো হয়েছে সেখানে খরচ কমানোর কোনও সম্পর্ক নেই।
তবে, এটা প্রথমবার নয়, যে কোনও গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়দের খাবার ও পানীয় গ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলোয়াড় এবং কোচদের জন্য পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে বিনামূল্যে খাবার, পানীয় এবং রিফ্রেশমেন্ট দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু সুযোগের অপব্যবহার হতে দেখে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষ সেই সুবিধাটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল।