Image Credit source: Twitter
কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছিল। জানা গেল, এমন আরও এক কুকীর্তিতে নাম জড়িয়ে রয়েছে অভিযুক্ত ফুটবলারের। আইনি জটিলতার কারণে প্রিমিয়র লিগে খেলা ওই ফুটবলারের নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
লন্ডন: ইংলিশ প্রিমিয়র লিগের (EPL) এক ফুটবলার। যিনি আবার ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের সদস্য। বছর শেষে কাতার বিশ্বকাপে গ্যারেথ সাউথগেটের দলে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল নিশ্চিত। সেসব এখন অনেক দূরের বস্তু। ধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের জালে এক ইংরেজ ফুটবলার। আইনি জটিলতার কারণে যার নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি। এদিকে তদন্তে নেমে ফুটবলারের অতীতের কীর্তিকলাপও এখন পুলিশের হাতে । এই প্রথম নয়, গতবছরই এক মহিলাকে ধর্ষণ (Rape) করে ওই ফুটবলার। অর্থাৎ, দুই বছরের জোড়া ধর্ষণ! লজ্জায় মাথা হেঁট ইংল্যান্ডের ফুটবল (England Football) মহলের।
ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে ২৯ বছরের ফুটবলারকে পাকড়াও করে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। ভোর তিনটের সময় নাটকীয়ভাবে ঘুম থেকে তুলে আটক করা হয়। উত্তর লন্ডনের ম্যানসনের উপরের তলার নরম বিছানায় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। ভোরবেলায় পুলিশের ছয়টি গাড়ি ম্যানসনের চৌহদ্দিতে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণ পর অভিযুক্তকে পাকড়াও করে নিয়ে যায় পুলিশ। যে মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে এই গ্রেফতারি, তিনি ওই ফুটবলারের হাতে নির্যাতিত প্রথম মহিলা নন। নির্যাতিতাকে ইনস্টাগ্রামে ব্যক্তিগতভাবে মেসেজ করেন অন্য এক মহিলা। তাঁর দাবি, অভিযুক্ত ফুটবলার ২০২১ সালে তাঁকেও ধর্ষণ করে। অভিযোগকারিণী দুই মহিলার বয়স ২০ বছর।
পুলিশকে দেওয়া স্টেটমেন্টে নির্যাতিতা বলেছেন, গতমাসে ওই ফুটবলারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ছুটির আনন্দ বিভীষিকায় বদলে যায়। ধর্ষণের পাশাপাশি মারধর করা হয়। হলিডের মাঝেই পাঁচতারা হোটেল থেকে পালিয়ে যান তিনি। ইংল্যান্ডে ফেরার পর রবিবার রাতে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কাছে সেই বৃত্তান্ত দিতে গিয়ে অপর নির্যাতিতা মহিলার মেসেজ পুলিশকে দেখান। দুটি অভিযোগকে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখে জোড়া ধর্ষণের দায়ে ওই ফুটবলারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৫ ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ।