Wimbledon: উইম্বলডনের ফাইনালে উঠে ইতিহাস অনস জাবেউরের


ফাইনালের পথে অনস।

Image Credit source: TWITTER

মারিয়াকে সঙ্গে নিয়ে কোর্টে গেলেন, দর্শকদের বার্তা দিলেন, ‘আমরা একসঙ্গেই জিতেছি’।

লন্ডন : তিউনিশিয়ার অনস জাবেউর উইম্বলডনের ফাইনালে। গ্র্য়ান্ড স্লামের মঞ্চে এটিই এখনও অবধি তাঁর সেরা পারফরম্যান্স। ইতিহাসও গড়লেন অনস। প্রথম আরব এবং আফ্রিকান মহিলা হিসেবে উইম্বলডনের ফাইনালে অনস। বন্ধু মারিয়া তাৎজানাকে ৬-২, ৩-৬, ৬-১ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেন অনস। মারিয়া তাৎজানা ৪৭ বারের চেষ্টাই এবারই প্রথম গ্র্যান্ড স্লামের সেমিফাইনালে উঠেছিলেন। তাঁর স্বপ্ন আপাতত সেমিফাইনালেই থামল। প্রথম সেট জিতে এগিয়েছিলেন অনস। দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ান মারিয়া। তবে তৃতীয় সেট এবং ম্যাচ জেতেন তিউনিশিয়ার অনস জাবেউর। কোর্টে নামার আগে টেনিস কিংবদন্তি বিলি জিন কিং অনস সম্পর্কে মন্তব্য করেন,’টেনিসকে মঞ্চ করে তিউনিশিয়া, আরব এবং আফ্রিকাকে সাহায্য করছে অনস।’ প্রথম ফাইনালে উঠে যেন সেটাই করে দেখালেন। সেমিফাইনালে হারালেন দুই সন্তানের মা তাৎজানাকে।

MARIA_ONS

বন্ধুত্ব। মারিয় তাৎজানা ও অনস জাবেউরের আলিঙ্গন।

বছর ৩৪-র মারিয়া প্রথম গেমেই তিনটি ব্রেক পয়েন্ট বাঁচান। তাঁর প্রতিরোধ বেশিক্ষণ টেকেনি। ৬-২ ব্যবধানে প্রথম সেট জেতেন অনস। পরের সেট ৬-৩’এ জিতে সমতা ফেরান মারিয়া। তবে তৃতীয় সেটে অনসেরই দাপট। অনসকে ‘পরিবার’ হিসেবেই বর্ণনা করেন মারিয়া। ম্যাচ শেষ হতে তেমনটাই দেখা গেল। মারিয়াকে সঙ্গে নিয়ে কোর্টে গেলেন, দর্শকদের বার্তা দিলেন, ‘আমরা একসঙ্গেই জিতেছি’।

কোর্ট ইন্টারভিউতে অনস বলেন, ‘বছরের পর বছর যে স্বপ্ন দেখেছি, পরিশ্রম করেছি, তার সুফল পেলাম। আমি খুশি পরিশ্রম গুলো কাজে লাগছে। আরও একটা ম্যাচ আমাকে জিততেই হবে। আমি গর্বিত তিউনিশিয়ান মেয়ে। আজ এখানে দাঁড়াতে পেরেছি। যতটা পারি, সকলকে অনুপ্রেরণা জোগানোর চেষ্টা করি। আমি চাই, আরও আরব-আফ্রিকান খেলোয়াড় বড় মঞ্চে উঠে আসুক। এই খেলাকে বড় ভালোবাসি।’



Leave a Reply